মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন জরুরি
- ০৮ জুন ২০১৮, ০০:০০, আপডেট: ০৮ জুন ২০১৮, ০০:০৪
মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশাসন যতটা ব্যবস্থা নিচ্ছে, মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন নিয়ে সেভাবে ভাবা হচ্ছে না। অথচ একবার মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন জরুরি। বিষয়টি মোটেও গুরুত্ব পাচ্ছে না। তা ছাড়া মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় যেভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে সে ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টরা নির্বিকার।
আমরা চাই মাদকবিরোধী অভিযান চলুক, সেই সাথে মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনেরও একটি রুটিন ওয়ার্ক চালাতে হবে। কারণ হত্যা করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তা ছাড়া মাদকের মতো নেশার বস্তু হত্যা করে নিঃশেষ করা সম্ভব হয় না।
এই মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনের বিষয়টি অভিযানের মতোই গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত না করলে জাতির দায়িত্ব পালন কোনোভাবেই শেষ হয় না। বলা হচ্ছে মাদকের উৎসমুখে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি, যেসব চোরাপথে মাদক দেশে প্রবেশ করছে এবং একটি গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশজুড়ে আসক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে সংশ্লিষ্ট অভিযান সেখানে এখনো কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না। অথচ অভিযানের মূল ব্যবস্থা হচ্ছে আগে উৎসমুখ ও নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে হয়। তারপর মাঠপর্যায়ে অভিযান চললে সেটা কার্যকর ফল দেয়। তা ছাড়া একটি নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নেশাগ্রস্তদের পুরোপুরি দমন করা কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করুন। প্রয়োজনে কিছু নেশাখোরকে সংশোধন করে সুপথে আনার ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দিনÑ এর সুফল মিলবে বেশি। তা ছাড়া সামাজিক আন্দোলন সব সময় ইতিবাচক সুফল বয়ে আনে। বাংলাদেশে বাস্তবে মাদকের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠেনি বা গড়ে তোলা হয়নি।
আমাদের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ, এ পর্যন্ত বিচারবিহীন যেসব হত্যা হয়েছেÑ তার সব ক’টি বিচারবিভাগীয় তদন্ত করুন এবং মাদকবিরোধী অভিযানকে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন পর্যন্ত এগিয়ে নিন। তবেই আশা করা যায় আইনের শাসনও বহাল হবে। মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর একটা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থাও নিশ্চিত হবে। আশা করি, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এভাবে সামগ্রিক বিবেচনায় রেখে সমস্যার সমাধান খুঁজতে সচেষ্ট হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা