২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
৩০০ মৎস্যজীবীর ভিজিএফের চাল

দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কষ্ট লাঘব করুন

-

সাধারণত, প্রান্তিক চাষি ও জেলেসহ শ্রমজীবী মানুষের জন্য যেসব প্রণোদনার ঘোষণা করা হয়, বাস্তবে সেটা অনেক সময় যারা প্রাপক তারা পান না, পেলেও বিলম্বে পান। যেমন : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে সরকার ঘোষিত জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চার মাসের ভিজিএফের চাল পাননি ৩০০ জেলে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত চার মাসের ভিজিএফের চাল বিতরণ হয়; কিন্তু মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে চার মাসেও ভিজিএফের চাল বিতরণ না করায় ওই ইউনিয়নের জেলেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জাটকা শিকার থেকে বিরত থাকা সংশ্লিষ্ট জেলেরা জানান, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তালিকাভুক্ত জেলেদের ভিজিএফের চাল দেয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তালিকা তৈরি করতে বিলম্ব করায় এখন পর্যন্ত চাল বিতরণ হয়নি।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণ মওসুমে (নভেম্বর-জুন) দেশের নদ-নদীতে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ। এ সময়ে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা প্রতিটি জেলে পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত চার কিস্তিতে বিশেষ ভিজিএফের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি থেকে চার কিস্তিতে ওই চাল বিতরণ করার কথা ছিল। এ জন্য উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৯৫২টি জেলে পরিবারকে তালিকাভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে অন্য পাঁচটি ইউনিয়নে তালিকা জমা দিয়ে তাদের বরাদ্দকৃত চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে; কিন্তু উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে যথাসময়ে তালিকা প্রস্তুত করতে না পারায় ৩০০ জন জেলে এখনো চাল পাননি। এতে অনেক জেলে পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে জেলেদের সংখ্যা বেশি; কিন্তু বরাদ্দ কম। তাই তালিকা তৈরি করতে বিলম্ব হওয়ায় চাল বিতরণ করা হয়নি। মির্জাগঞ্জ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার মন্তব্য হলোÑ ইউপি চেয়ারম্যানকে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও চেয়ারম্যান যথাসময়ে চাল বিতরণ করেননি।
বিষয়টি আমাদের কাছে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও নিষ্ঠুর বলে মনে হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা করে প্রতিশ্রুতি পূরণ করা যেমন জরুরি তেমনি জেলেদের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনও রয়েছে। অন্যথায় ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রণোদনার প্রতি জেলেরা আস্থা হারাবে এবং সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে বাধ্য হবে। এ জন্য তাদের কাছে বড় কৈফিয়ত হবে চার মাসের ভিজিএফের চাল না পাওয়ার মনবেদনা ও কষ্টের অভিজ্ঞতা। এই ব্যাপারে বিলম্ব না করে যে ৩০০ জেলে তালিকাভুক্ত হয়নি ও চাল পায়নি তাদের জন্য দ্রুত চালের বরাদ্দ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।


আরো সংবাদ



premium cement