১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আইসিসিতে মিয়ানমারের বিচার

ন্যায়বিচারের স্বার্থে মতামত পাঠান

-

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযানের জন্য গণহত্যাসহ বিভিন্ন নৃশংসতার দিকটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তারা যে এসব অপরাধের সাথে জড়িত, তা বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত মিয়ানমারের সেনাকর্মকর্তাদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বাংলাদেশকে তাদের মত পাঠাতে বলেছে। ১১ জুনের মধ্যে মতামতের গোপনীয়তা বজায় রেখে এই মত পাঠাতে হবে।
মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশের এটি একটি বড় সুযোগ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কোনো ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সুযোগ নেই। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার ও নিপীড়নের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করা উচিত। বাংলাদেশ যদি এখন আইসিসিতে যথাযথ মতামত দিতে ব্যর্থ হয়, তবে তা হবে আত্মঘাতী। কারণ বাংলাদেশের সামনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর আসবে না। বাংলাদেশ যদি তা দিতে ব্যর্থ হয়, তার সুযোগ মিয়ানমার নেবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, তারা আর কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে না। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা এখন বাংলাদেশের কাঁধে।
এখন মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির এই সুযোগ যদি কাজে না লাগানো যায়, তাহলে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো আরো দুরূহ হবে। বাংলাদেশ যদি বিচারের ব্যাপারে সোচ্চার না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক অবস্থানও দুর্বল হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে মিয়ানমারের সাথে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল। এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। এমনকি মিয়ানমার এখন রোহিঙ্গাদের ‘রোহিঙ্গা’ জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকার না করে বাংলাদেশী হিসেবে উল্লেখ করছে। দুর্ভাগ্যজনক বাংলাদেশ তা মেনে নিয়েছে।
বাংলাদেশকে একটি বিষয় স্পষ্ট করতে হবে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সাথে যেকোনো পর্যায়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু ফৌজদারি অপরাধের বিচার সম্পূর্ণ আলাদা। ন্যায়বিচারের স্বার্থে বাংলাদেশ আইসিসিতে মিয়ানমারের অপরাধীদের বিচার চায়। মিয়ানমার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার বিভিন্ন বন্ধুরাষ্ট্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু এ ধরনের চাপের কাছে মাথা নত করা হবে বাংলাদেশের জন্য বিপর্যয়কর। বাংলাদেশের উচিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র আইসিসির কাছে তুলে ধরে ন্যায়বিচারের পথকে এগিয়ে নেয়া।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল