২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ঈদে এবারো যাতায়াতে মহা দুর্ভোগ!

সরকারের অঙ্গীকার রক্ষা করা উচিত

-

প্রত্যেক বছরই ঈদের সময়ে ঘরমুখো লাখ লাখ যাত্রীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়ক, রেল ও নৌপথÑ প্রতিটি মাধ্যমেই যাত্রীদের অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয় এবং ঝুঁকি নিতে হয় জীবনের। এর মধ্যে সড়কপথের কথা সর্বাগ্রে উল্লেখ করতে হচ্ছে। বর্তমানে দেশজুড়ে সড়কের বিস্তৃতির কারণে এ পথেই অপেক্ষাকৃত অধিক যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। তদুপরি আগে নদীপথ ছাড়া যাতায়াত করা যেত না, এমন বহু এলাকায় এখন সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। সড়কমন্ত্রী এবার দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়েছেন, ঈদে যাত্রীদের দুর্ভোগ ‘সহনীয় মাত্রায়’ থাকবে। অর্থাৎ দুর্ভোগ থেকেই যাচ্ছে সড়কপথে। আর ‘সহনীয়’ মাত্রার যেহেতু নির্দিষ্ট কোনো মাপকাঠি নেই, তাই মন্ত্রীর এ কথায় ঈদের অসংখ্য যাত্রী আশ্বস্ত হতে পারছেন না।
এমনি এক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পত্রিকায় বিশদ তথ্যপ্রমাণসমেত রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে যে, এবারো ঈদে দেশের মহাসড়কে মহা দুর্ভোগ পোহাতে হবে আপনজনের সাথে ঈদ করতে উদগ্রীব অসংখ্য মানুষকে। তারা গ্রামে বা মফস্বল শহরে মা-বাবা, ভাইবোন ও স্ত্রী-সন্তানের সাথে ঈদের আনন্দ করার জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছেন। একই সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটসহ গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোতে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে অতীতের মতো বিভিন্ন দুর্গতি ও যন্ত্রণা।
জাতীয় পত্রিকাগুলোর প্রাসঙ্গিক রিপোর্টগুলোর মধ্যে নমুনাস্বরূপ গত সোমবারের একটি পত্রিকার লিড রিপোর্টের কিয়দংশ তুলে ধরা হলো, কার্যকর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতিতে দীর্ঘ যানজটে পড়ছেন যাত্রীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নাজুক দশা। দাউদকান্দি ও মেঘনা এ দুই সেতুর টোলপ্লাজার ধীরগতির কারণে ছুটির দিনেও এ মহাসড়কে তীব্র যানজট লেগে থাকে। ঈদযাত্রায় যানবাহনের চাপ বাড়লে চরম অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। বাকি নেই আঞ্চলিক সড়কগুলোও। সড়ক সংস্কারের ধীরগতিতে ঈদযাত্রীদের কষ্টের আতঙ্ক কাটছে না। এমন উদ্বেগজনক অবস্থায় অনেকে সড়ক বাদ দিয়ে অন্যভাবে বাড়ি যাওয়ার কথা ভাবলেও নিস্তার নেই দুর্ভোগ থেকে।
পত্রপত্রিকায় গাজীপুর ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক-মহাসড়কের খানাখন্দ, ভাঙাচোরা দশা ও এবড়োখেবড়ো অবস্থার ছবি ছাপা হচ্ছে। একটি পত্রিকার প্রথম পাতায় পাশাপাশি কয়েকটি শিরোনামÑ যেমন, সিলেটের পথে পথে ভাঙছে সড়ক, বাড়ছে দুর্ভোগ; উত্তরাঞ্চলে ভোগান্তি, বগুড়ার ১৬ কিলোমিটার বেহাল; আশঙ্কা ঢাকা-টাঙ্গাইলে এবং নাজুক দশায় খুলনা প্রভৃতি। আসলে বাংলাদেশে উন্নয়নের মহা প্লাবনের মধ্যেও যে, যাতায়াতে মহা যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়, তার তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রায় সবার আছে।
প্রত্যেক বছরই ঈদের আগে সরকারের মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলেরা জোরালো অঙ্গীকার করেন যে, ‘এবার যাতে যাত্রীদের আর দুর্ভোগ না ঘটে, সে জন্য সব কিছু করা হবে।’ বাস্তবে এসব কথার সাথে কাজের মিল অনেক ক্ষেত্রেই পাওয়া যায় না। প্রসঙ্গক্রমে আবার বলা দরকার, বর্তমান বাংলাদেশে যাতায়াতের জন্য সড়কপথের গুরুত্ব শুধু অনেক বৃদ্ধি পায়নি, এখন এটাই দেশের বেশির ভাগ মানুষের চলাচলের মাধ্যম। তেমনি, সড়ক-মহাসড়কের দায়িত্ব পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি। তার রাজনৈতিক অবস্থান এবং নিয়মিত আশ্বাস-অঙ্গীকারের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ আশা করে, জরুরি ভিত্তিতে এবং সাধ্যমতো প্রয়াস চালিয়ে সড়কপথে ঈদযাত্রীদের দুর্ভোগ মোচনের যাবতীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রকৃতপক্ষে দেশে সুশাসন থাকলে যাতায়াতসহ সর্বক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটা কমে আসে। বলাই বাহুল্য, গণতন্ত্র ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তাই জনগণের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে যাতায়াতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করা জরুরি।


আরো সংবাদ



premium cement
‘১ টাকার কাজ ১০০ টাকায়, ৯৯ যায় মুজিব কোটে’ রাত পোহাতেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন শুরু বাংলাদেশের সাটুরিয়ায় প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকা আদায় ইরান নিয়ে মার্কিন হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে গাজায় গণকবরের বিষয়ে ইসরাইলের কাছে ‘জবাব’ চেয়েছে হোয়াইট হাউস দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন করা হলে হামাস অস্ত্র ছাড়তে রাজি শনিবার থেকে শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, প্রস্তত জবি ক্যাম্পাসগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন বাইডেন: মুখপাত্র নোয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ

সকল