এড়িয়ে গেলেন তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ
- ২৮ মে ২০১৮, ০০:০০
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে গত শুক্রবার এক মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশা করা হয়েছিল, মোদি-মমতার সাথে এবারের বৈঠকে তিস্তার পানিচুক্তির বিষয়ে একটা কিছু সুস্পষ্ট আশ্বাস ভারতের এ দুই নেতা-নেত্রীর কাছ থেকে শেখ হাসিনা আদায় করবেন। কিন্তু এ ব্যাপারে সব পক্ষের নীরবতা যেন বড় হয়ে পরিলক্ষিত হলো।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার দুপুরে ৩০ মিনিট একান্ত বৈঠক করেন, কিন্তু ওই বৈঠকের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি ছিল না। তবে ওই বৈঠকে দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় নিরাপত্তা ও রাজনীতির নানা বিষয় উঠে আসে। দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো আভাস দিয়েছে, শান্তিনিকেতনে আয়োজিত এ বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী তিস্তা ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেছেন। তবে সেসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কথা আসেনি।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে গত বুধবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কি না? মাহমুদ আলী তখন বলেছিলেন, মোদি যদি এ প্রসঙ্গে জানতে চান, তবে কেন নয়। আর এই মন্তব্যের পর পশ্চিমবঙ্গে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে কৌতূহল বেড়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় তাদের বৈঠককে ঘিরে আগ্রহের কমতি ছিল না।
অপর দিকে, দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তাচুক্তি নিয়ে কোনো সুখবর নেই প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফর সময়ে। পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত শনিবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এই বৈঠক করেন। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মমতা বলেন, এ বিষয়ে এখনই প্রকাশ্যে কোনো আলোচনা করতে চান না তিনি। এর অর্থ তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। আলোচ্য সফরের সময় হাসিনা-মমতা বৈঠক হবে কি হবে না, তা নিয়ে ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। এরপর বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিস্তাচুক্তি নিয়ে কোনো অগ্রগতি হবে কি না তা নিয়ে গণমাধ্যম ও রাজনীতিতে আলোচনা অব্যাহত ছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের পশ্চিমবঙ্গ সফর শেষে তাদের ভাষ্যে বলেছেÑ তিস্তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষ নীরবতাই পালন করল। এক দিকে, শেখ হাসিনা তিস্তা নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি; অন্য দিকে মোদির মুখেও ছিল না রোহিঙ্গা ইস্যু। অর্থাৎ তিস্তায় নীরব ছিলেন হাসিনা এবং মোদি চুপ ছিলেন রোহিঙ্গায়।
তবে ভারত কথার ফুলঝুরিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথাটি জানিয়ে দিয়েছে বরাবরের মতো আর শেখ হাসিনা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট নিয়ে অনেকটা হাসিমুখেই ফিরলেন; কিন্তু তিস্তাচুক্তি ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ভারতের এই এড়িয়ে চলা বাংলাদেশের জনমনে নতুন করে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এসব বিষয়ে ভারতের সদিচ্ছা নিয়ে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা