২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ওজন, দাম ও পণ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান

শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক ও রুটিন ওয়ার্ক প্রয়োজন

-

রোজার মাস একটা মহলের জন্য প্রতারণার সুযোগ এনে দেয়। তারা বাড়তি কামাইয়ের জন্য এ মাসকে কাজে লাগায়। তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, ওজনে কম দেয়া ও পণ্যের গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ এ মাসে একটু বেশিই দেখা যায়। অভিজাত এলাকাও এর বাইরে নেই। যেমনÑ সুপারশপ স্বপ্নের বনানী আউটলেটকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া পচা ও বাসি খাদ্যদ্রব্য রাখা ও বিক্রির দায়ে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার ৯টি ফাস্ট ফুডের দোকানিকে চার লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সুপারশপটিতে দেখা গেছেÑ তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোমল পানীয়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারিখ পরিবর্তন করে সেগুলো বিক্রি করছে। এ ছাড়া যেসব দুধ বা জুসের মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছে তা-ও বিক্রি করছে। স্টোর রুমে তারা মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ আছে এমন পণ্য একসাথে রেখেছে। এ ছাড়া গোশত ৪৫০ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও তারা বিক্রি করছিল ৫৫০ টাকায়। এই তালিকা অনেক দীর্ঘ এবং সর্বত্র। এ ধরনের অনৈতিক কাজে এক শ্রেণীর মানুষ কম-বেশি সব যুগে ছিল। তবে সুশাসন ও আইনের শাসন যেখানে যে যুগে যত বেশি ছিল সেই সময় এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রিত ছিল। আজকের যুগে এ ধরনের অপরাধ করাকে সুযোগ হিসেবে নেয়া হচ্ছে। বিশেষত, সমাজে জবাবদিহিতার অভাব এ ধরনের অপরাধ মহামারীর মতো রূপ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, একই সুপারশপে একটি পণ্যের গায়ে লেখা আছে ৯৮ টাকা, আর তারা নিচ্ছিল ১৬৭ টাকা। এ ছাড়াও, পাঁচ কেজির পেঁয়াজে ২০০ গ্রাম কম দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটাও স্বাভাবিক প্রবণতায় রূপ নিয়েছে।
একই দিন নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে দোকানগুলো থেকে বাসি খাবার জব্দ করা হয়। দোকানিরা স্বীকার করেন তারা সুকৌশলে ক্রেতাদের পুরনো বাসি খাবার খাইয়ে থাকেন।
ভ্রাম্যমাণ আদলত পচা ও বাসি খাবার রাখা এবং বিক্রির দায়ে অভিযান চালাচ্ছে জেনে অনেক দোকানি ও কোনো কোনো ফাস্ট ফুডের মালিক আগেই পালিয়ে যান। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না থাকায় এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ হচ্ছে না। যেমন জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে ও রেস্টুরেন্ট মালিকদের পাওয়া না গেলে দোকানগুলো বড়জোর সিলগালা করে দেয়া হবে। এ ছাড়া কর্মচারীর প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। কখনো কখনো তদবির করে জরিমানা না দিয়েই পার পেয়ে যায়, এটি একটি খণ্ডিত চিত্রমাত্র। বেশির ভাগ দোকানি ভেজাল পণ্য বিক্রি করে। ওজনে কম দেয়াও সাধারণ বিষয়। পণ্যের দাম ইচ্ছেমতো আদায় করার বিষয়টিও হররোজ দেখা যায। এ ক্ষেত্রে ক্রেতারা নিত্য প্রতারিত হচ্ছে। তাই এসব প্রতারণার বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালানোর সময় অভিজাত বা বনেদিপাড়া না দেখে ফুটপাথ থেকে সুপারমল ও নাম করা বিপণিবিতান ও কাঁচাবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন। সেই সাথে এ ধরনের তৎপরতা রুটিন ওয়ার্কে পরিণত করে হররোজ অভিযান চালানো উচিত, তবেই কিছু সুফল পাওয়া যাবে। তা ছাড়া শাস্তি হতে হবে আরো কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক। আশা করি, সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে আরো বেশি মনোযাগ দেবে।


আরো সংবাদ



premium cement
পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার

সকল