২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে না

বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে না - সংগৃহীত

সরকারের দায়িত্বশীলদের নানা বক্তব্য ও মন্তব্যের পরও বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে না। ৩০ থেকে পৌনে ৩০০ টাকায় চলে যাওয়া পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা উদ্যেগেও কোনো কাজ হচ্ছেন। মাঝখানে তুরস্ক, মিসর, মিয়ানমার, চীন, পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। দ্রুত সময়ে সরকারি উদ্যোগ নেয়ায় কমতে থাকে দাম। ২৭০ টাকা থেকে মাত্র চারদিনের ব্যবধানে ১৬০ টাকা কেজিতে নেমে আসে পেঁয়াজের দর।

কিন্তু সপ্তাহ যেতে না যেতে ফের তা বেড়ে ২৫০ টাকা হয়। তবে বেশকিছু দিন ধরে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকার ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছে পেঁয়াজ বাজার। এতে করে সরকারের পেঁয়াজ আমদানি, ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ, বাজার নিয়ন্ত্রণে নানা ঘোষণায় কোনো সুফলই দেখছেন না সাধারণ ক্রেতারা। বরং ক্রেতারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাজারদর নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের শতভাগ ব্যর্থতায়।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, আমদানি করা বিভিন্ন বার্মা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে, মিসর ২০০ টাকা, চীনা পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, গাছসহ পেঁয়াজ (পেঁয়াজের কালি) বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়।

দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খুচরাতে প্রভাব পড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজ থাকলেও অতি মুনাফার আশায় দাম কমাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে পেঁয়াজ বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় অব্যাহত রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) খোলা বাজারে ট্রাকসেলে পেঁয়াজ বিক্রি। দীর্ঘ সময় ধরে সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে অনেককে। ভিড় থাকায় বাড়তি চাপ সামলাতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন একেকটি ট্রাকযোগে এক হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


আরো সংবাদ



premium cement