১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, দাবি শিল্পমন্ত্রীর

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, দাবি শিল্পমন্ত্রীর - ছবি : সংগৃহীত

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ূন মঙ্গলবার দাবি করেছেন, পেঁয়াজের দাম বতর্মানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির অনুপস্থিতিতে সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া পেঁয়াজের বাজার এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের পেঁয়াজের বাজার গরম হয়ে ওঠে।’

‘তবে আমরা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। বর্তমানে আমরা মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি,’ যোগ করেন তিনি।

মন্ত্রী জানান, এই মৌসুমে পেঁয়াজ কম উৎপন্ন হয় এবং এ সময়ে সাধারণত সংকট থাকে।

‘তবে কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের বাজারে দেশি পেঁয়াজ চলে আসবে,’ বলেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি রোধে সরকার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলো সারাদেশের বাজার পর্যবেক্ষণ করছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার খানের (লক্ষ্মীপুর-১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজের বাৎসরিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন, আর দেশে ২৩.৩১ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত পেঁয়াজের মধ্যে সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সময় ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়। এর মানে মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬.৩১ লাখ মেট্রিক টন। ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে পেঁয়াজের ঘাটতি কমে।

তবে মন্ত্রী বলেন, মহারাষ্ট্রে (ভারত) বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জন্য রপ্তানি মূল্য ২৫০-৩০০ মার্কিন ডলার থেকে ৮৫০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তারা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর জন্য বাংলাদেশেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।

মন্ত্রী জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement