লোহা শিল্পে ট্রেডিং পর্যায়ে ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদ ব্যবসায়ীদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ জুলাই ২০১৯, ১৭:২৯
ট্রেডিং পর্যায়ে ভ্যাট আরোপে ফলে ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীর। রোববার সংসদে পাশ হওয়ার পর বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আয়রন এন্ড ষ্টীল ইম্পোর্টারস এসোসিয়েশন এ প্রতিক্রিয়া জানান। তারা কাঁচামালের ট্রেডিং পর্যায়ে ১৫ শতাং ভ্যাট প্রত্যাহার, ভ্যাট আদায়ে আগ্রাসী ও নানামুখি হয়রানী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সোমবার বংশালে এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি আবুজার গিফারী জুয়েল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসিরউল্লাহ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমীর হোসেন নূরাণী, ব্যবসায়ী নেতা আবুল কাশেম, আহমেদ আলী, সেলিম স্বপন, কেরানীগঞ্জ সীট মালিক সমিতির সভাপতি মাহমুদ আলম, মীর হাজিরবাগ সীট মালিক সমিতির সভাপতি কাজী হাবিবুর রহমান হাবু এবং ১৪টি অংঙ্গ সংগঠন থেকে আগত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
সভায় নতুন ভ্যাট আইন ও বাজেট সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুজার গিফারী জুয়েল বলেন, গত ৯ মাসে লৌহ ব্যবসায়ীরা শিল্পের কাঁচামাল আমদানী করে কাস্টমস হাউজে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব প্রদান করেন। এই বিপুল পরিমান রাজস্ব আহরণের খাতটি ব্যপকভাবে বঞ্চিত ও অবেহেলিত। প্রাক বাজেট আলোচনার ফল বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি যা খুবই দুঃখজনক।
এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমীর হোসেন নূরাণী বলেন, জাতীয় বাজেটে তারা বন্ড ও ভ্যাট রেজিস্টার কোম্পানির অপব্যবহার রোধে বার বার অবতিহত করলেও বাজেটে এর কার্যকর কোন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এতে দূনীর্তিবাজরা উৎসাহীত হবে ও সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাবে। এতে সাধারণ ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে পারবে না। আমদানী পর্যায়ে শুল্ক বৈষম্য দূর করার জন্য সমান শুল্কহার করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। বাজেটে তার কোন প্রতিফলন ঘটেনি। তিনি আরো বলেন, কিছু পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না ফলে এর রেগুলারেটি ডিউটি ৩% প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছিল। এর কোন প্রতিফলন ঘটেনি। এছাড়া নতুন ভ্যাট আইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরনের আশ্বাস দেওয়া হলেও মূলত তা বেশ জটিল করা হয়েছে। যা একজন সাধারণ ব্যবসায়ীর পক্ষে দাখিল করা সহজ নয়।
সাধারণ সম্পাদক নাসিরউল্লাহ বলেন, লৌহ ব্যবসায়ীরা আমদানি পর্যায়ে কাস্টমস হাউজে সকল শুল্ক ও করাদি পরিশোধ করে আসছি। যার মধ্যে ভ্যাট ১৫ শতাংশ ও এটি (এ্যাডভান্স ট্যাক্স) - ৫ শতাংশ। তারপরও ট্রেডিং পর্যায়ে আবারও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে এর ফলে পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তাদের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবী না মানা হলে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা