টাকাকে ‘কালো’ না বলার পরামর্শ বাণিজ্যমন্ত্রীর
- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৭ জুন ২০১৯, ২০:৪৮, আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯, ২০:৫৭
টাকাকে কালো না বলে অপ্রদর্শিত বলার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, কালো কথাটা সবসময় ভালো লাগে না। তাই এ টাকাকে আমরা কালো টাকা না বলে অপ্রদর্শিত টাকা বলি। তিনি বলেন, সবসময় শুনি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। আসলে আমরা এই টাকাকে কালো না বলে বলি অপ্রদর্শিত টাকাকে করের আওতায় নিয়ে আসা। অর্থাৎ যে টাকা এখনো দেখানো হয়নি, সেই অপ্রদর্শিত টাকাকে বিনিয়োগের একটা সুযোগ দেয়া।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) উদ্যোগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক, বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাষ্ট্রিজ (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) প্রমূখ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হলেও বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে করের পরিমাণ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে আমার সাজেশন— ইপিজেডগুলোতে বেশি টাকা বিনিয়োগ করে বেশি কর্মসসংস্থান তৈরি করতে পারলে আরও কম ট্যাক্সে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কালো টাকা নিয়ে আমার একটা সাজেশন আছে। সেটা হলো বিনিয়োগের জন্য ১০ শতাংশ কর দিয়ে অর্থনৈতিক জোনগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগ আরও প্রসারিত হতে পারে। যে কোম্পানি একশ জন কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে আর যে কোম্পানি ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে, দু’জনের করের হার এক হওয়া উচিত না। তিনি বলেন, আমার মতে, যে প্রতিষ্ঠান বেশি লোকের কর্মসংস্থান করেছে তার ক্ষেত্রে করের হার আরও কমানো যেতে পারে। কারণ যিনি বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করছেন, আর যিনি কম লোকের কর্মসংস্থান করছেন, তাদের দু’জনের জন্য সুযোগ এক হতে পারে না।
টিপু মুনশি বলেন, আমরা চাই দেশের টাকা যেন দেশের বাইরে না যায়। যেভাবেই হোক টাকা দেশে থাকুক। এই সুযোগ দেওয়ার পর যতটুকু টাকা বিনিয়োগ হবে, ততটুকুই লাভ। কম কর দিয়ে হলেও যদি কিছু টাকা মূল স্রোতে আসে, তাও ভালো। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয়, আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পোশাক খাতে প্রণোদনার ওপর কর আরোপ করা হলে ঠিক হবে না। এটা হবে দাওয়াত দিয়ে কাটা চামচ দিয়ে স্যুপ খেতে দেওয়ার মতো। আয়কর অফিসের জনবলের কারণে যেন ব্যবসায়ীদের হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা