২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বর্ধিত মেয়াদেও প্রকল্প সমাপ্তিতে অনিশ্চয়তা

-

নির্ধারিত মেয়াদে শেষ হচ্ছে না সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো। যে মেয়াদে শেষ করার জন্য প্রকল্প অনুমোদন নেয়া হয় বেশির ভাগ বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ করে না। আর নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্প শেষ না করাটা পরিকল্পনা শৃঙ্খলার ব্যত্যয়। তেমনি ব্যত্যয় ঘটেছে কিশোরগঞ্জে চলমান সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রকল্পটি। ২০১৫ সালের জুনে সমাপ্ত করার কথা থাকলেও ২০১৯ সালের জুন এসেও প্রকল্পের অনেক কাজ সমাপ্ত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা। এখন আবারো সময় বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা বৈঠকের তথ্যানুযায়ী, ৫৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ মেডিক্যাল কলেজ ও ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি স্থাপনের জন্য তিন বছর মেয়াদে বাস্তবায়নে ২০১২ সালের ২৪ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১৫ সালের জুনে প্রকল্পটি সমাপ্ত করার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের জুন মাস চলমান, এখন প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। অথচ ব্যয় এখন প্রায় ৬০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। 
এ প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হলো, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন, অ্যাকাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য আলাদা হোস্টেল, ইন্টার্নি ডাক্তারদের জন্য আলাদা ডরমেটরি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন, বিভিন্ন কাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়, আসবাবপত্র কেনা ইত্যাদি। 
প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কিশোরগঞ্জের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, অধিকাংশ নির্মাণকাজ এ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তবে কিছু মামলাজনিত কারণে দু’টি আবাসিক ভবন নির্মাণকাজ অসমাপ্ত রয়েছে। বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজের সীমানার বাইরে অবস্থিত প্রায় ৩৩ শতাংশ জমির সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজ এ মাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া গ্যাস সংযোগের কার্যক্রমও এখনো সমাপ্ত হয়নি। গ্যাস সংযোগের অনুমতি যথাসময়ে না পাওয়ায় এ কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আবারো বাড়ানো প্রয়োজন। 

প্রকল্প পরিচালকের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পে অর্থ ব্যয় হয়েছে ৫২২ কোটি টাকার বেশি। তিনি জানান, নার্সিং কলেজের জনবল অনুমোদনের বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনবল অনুমোদনের বিষয়টিও ত্বরান্বিত করা দরকার। 

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধানের নির্দেশনা হলো, প্রকল্পটি ২০১২ সালের জুলাই থেকে চলমান আছে। ইতোমধ্যে দুইবার সংশোধন ও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় প্রকল্পটির মেয়াদ আর বাড়ানো সমীচীন হবে না। আপাতত বর্ধিত অনুমোদিত মেয়াদেই প্রকল্পটি সমাপ্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। আর নার্সিং কলেজের জনবল কাঠামো অনুমোদনের বিষয়টি ত্বরান্বিত করার দায়িত্ব প্রকল্প পরিচালকের। এ ব্যাপারে তিনিই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। তবে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement