২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বৃহস্পতিবার বসছে পদ্মাসেতুর ৯ম স্প্যান

বৃহস্পতিবার বসছে পদ্মাসেতুর ৯ম স্প্যান - নয়া দিগন্ত

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মাসেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের ওপর ৮ম স্প্যান বসানো হবে বৃহস্পতিবার। এই লক্ষ্যে বুধবার মুন্সিগঞ্জের কুমারভোগ থেকে সকাল পৌনে ৯টার দিকে রওয়ানা হয়ে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই এর মাধ্যমে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের ৯ম স্প্যানটি দুপুর ১২টার দিকে জাজিরা প্রান্তে এসে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার পর ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হবে বলে সেতু বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে। জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে ৮ম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হবে ১২০০ মিটার। এছাড়াও গত বছরের মাওয়া পয়েন্টে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর আরেকটি স্প্যান বসানো হয়। ফলে সেতুর দুই প্রান্তে দৃশ্যমান হবে ১ হাজার ৩৫০ মিটার।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান, ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারী ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৬ষ্ঠ স্প্যান এবং সর্বশেষ ২০ ফেব্রুয়ারি জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে ৭ম স্প্যান বসানোর মধ্যদিয়ে জাজিরা প্রান্তে ১০৫০ মিটার ও মুন্সীগঞ্জ প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানো ১টি স্প্যানসহ এখন দৃশ্যমান রয়েছে ১২০০ মিটার। আর বৃহস্পতিবার সেতুর ৯ম স্প্যান বসানো হলে দুই প্রান্তে দৃশ্যমান হবে ১ হাজার ৩৫০ মিটার।

উল্লেখ্য, ৪২টি খুটির উপর এমন ৪১টি স্প্যানের সাহায্যে পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ২১টি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।

সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেড়ে যাবে কয়েকগুন। সেতুর কাজ শেষ হলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। দেশের অর্থনৈতিতে যোগ হবে নুতন মাত্রা। পদ্মাসেতুর দু’পাড়ে গড়ে উঠবে বিশ্বমানের শহর। কল কারখানায় ভরে উঠবে এ এলাকা। শ্রমজীবি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সর্বক্ষেত্রে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে সেতুর জাজিরা প্রান্তে। ইতোমধ্যে এপ্রোজ সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু করেছে। টোল প্লাজার নির্মাণ কাজ শেষ করেছে সেতু বিভাগ। দোতলা এ সেতুর নিচ তলায় চলবে ট্রেন। স্থাপন করা স্প্যানগুলোয় এখন রেলের স্লাব বসানোর কাজ চলছে। জাজিরা প্রান্তের স্প্যানগুলোয় ১২৮টি স্লাব বসানো হয়েছে। পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি স্লাব বসানো হবে। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে স্প্যান ও স্লাব বসানোর কাজ চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement