২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজউককে জনবান্ধব করতে চান নতুন গৃহায়ন মন্ত্রী

রাজউককে জনবান্ধব করতে চান নতুন গৃহায়ন মন্ত্রী - সংগৃহীত

সেবার মান উন্নত করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে চান নবনিযুক্ত গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। রাজউকে এসে সেবা প্রত্যাশীরা যে অনাকাঙ্খিত বিলম্বের শিকার হন হয় দূর করতে তিনি রাজউকের সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি রাজউকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দায়িত্বশীলতা বাড়াতে এবং আরো গতিশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

রোববার রাজউক সভাকক্ষে চলমান প্রকল্প এবং অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে আলোচনাকালে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম একথা বলেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকালই তিনি প্রথম রাজউকে বৈঠক করেন।

তিনি বলেন, রাজউক সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যে ধারণা রয়েছে তা খুব সুখকর নয়। এখানে মেধাবী কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কাজ করেন। তাই কাজে স্থবিরতা, দুর্নীতি বা অনিয়ম কোনভাবেই কাম্য নয়। মুষ্টিমেয় কর্মকর্তা-কর্মচারির অনিয়ম বা দুর্নীতির কারণে গোটা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা খাটো হয়।

এখানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা থাকতে হবে। যথা সময়ে ফাইল ছেড়ে দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের আইন ও নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে স্বচ্ছতার সাথে দ্রুত সেবা প্রদানে সকলকে তৎপর হতে হবে। কারো রাজনৈতিক বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠানের কাজের সাথে মেলানো যাবে না। কোন বিষয়ে অনিয়ম বা গাফিলতির অভিযোগ এলে সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দূর্নীতির অভিযোগ থাকলে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, ধানের মধ্যে চিটা থাকে। রাজউকে সে ধরনের চিটাও থাকতে পারবে না।

মন্ত্রী রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা সমস্যা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। মন্ত্রীকে জানানো হয় যে, রাজউকের আটটি জোনের মধ্যে দুইটিতে নকশা অনুমোদনে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আটটি জোনেই এ সুবিধা চালু করা হবে।

অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আখতার হোসেন, মো: ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, রাজউকের সদস্যগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী সকালে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখা আকষ্মিকভাবে পরিদর্শন করেন। এসময়ে তিনি বিভিন্ন শাখার কাজের খোঁজ-খবর নেন এবং শাখায় অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।

গৃহায়ণ ও গণপুর্ত সচিব শহিদ উল্লা খন্দকার বলেন, রাজউক নকশা অনুমোদন দিয়েই তার দায়িত্ব পালন শেষ বলে মনে করে। পরে মালিক ইচ্ছামতো ভবন তৈরি করে। যেটুকু জায়গা খালি রাখার কথা তাতো রাখেই না বরং ভবনের বাড়তি অংশ রাস্তার জায়গায় নিয়ে যায়। পরে রাজউক সে ভবন ভাঙ্গতে যায়। শহিদ উল্লা খন্দকার সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, এমনটি কেন হবে। তাহলে রাজউকের অথরাইজ অফিসারের কাজটা কি ? এখান থেকে রাজউককে বের হয়ে আসতে হবে এবং গতিশীল হতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement