২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝুঁকিতে ব্যাংকের ভল্ট

ব্যাংকের ভল্ট - সংগৃহীত

ইচ্ছেমাফিক ভল্ট নির্মাণ করছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পরিপালন না করার অভিযোগ উঠেছে কিছু ব্যাংকের বিরুদ্ধে। এতে নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে পড়েছে ব্যাংকগুলোর ভল্ট। এমনি পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর ভল্টে নিরাপত্তার ঝুঁকি হ্রাস করতে ভল্ট নির্মাণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা যথাযথ পরিপালনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর জন্য গতকাল এক সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকালই তা সব তফসিলি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিদের অবহিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, অতীতে খোদ রাজধানীতে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে গ্রাহকের স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সম্পদ লুট হয়ে যায়। ২০১৪ সালে কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংক থেকে সাড়ে ১২ কোটি টাকা লুট হয়। এরপর বগুড়ায় একই ঘটনা ঘটে। এরপর ভল্টের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি এক সার্কুলার জারি করা হয়। ওই সার্কুলারে ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় ভল্ট নির্মাণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। বলা হয়, ভল্ট স্থাপনের জন্য প্রতি বর্গফুট ভবন ভাড়াবাবদ দেড় হাজার টাকা এবং ভল্ট স্থানান্তরের জন্য প্রতি বর্গফুট এক হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবে ব্যাংক শাখাগুলো। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগ উঠেছে কিছু কিছু ব্যাংক সঠিকভাবে ভল্ট স্থাপন করছে না। কিছু কিছু ব্যাংক তাদের শাখার জন্য ভাড়াকৃত ভবনগুলোর মালিকদের দ্বারা ভল্ট নির্মাণ করছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আবার ব্যয়ের সীমাও মানা হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, ভল্ট একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর অবকাঠামো, যার নিরাপত্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত পদ্ধতিতে নিশ্চিত করা আবশ্যক। ভাড়া ভবনের মালিকদের দ্বারা ভল্ট নির্মাণ করা হলে অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড পরিপালিত না-ও হতে পারে।

এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ভল্ট নির্মাণের জন্য গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ব্যাংকের ব্যবসাকেন্দ্র স্থাপন ও সাজসজ্জায় ব্যয়সীমা বৃদ্ধি : এ দিকে ব্যাংকের কোনো শাখা স্থাপন, স্থানান্তর ও সাজসজ্জায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালে এক নির্দেশনায় নতুন শাখা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটের জন্য দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করা ছিল। চার বছরে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ ব্যয়সীমা গতকাল নতুন করে নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন শাখা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ভবন ভাড়াবাবদ প্রতি বর্গফুটে সাড়ে তিন শ’ টাকা বৃদ্ধি করে দেড় হাজার টাকা থেকে এক হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে বিদ্যমান শাখা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ভবনভাড়া ব্যয় প্রতি বর্গফুটে আড়াই শ’ টাকা বৃদ্ধি করে এক হাজার ২৫০ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক সার্কুলার জারি করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement