২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইলিশের দাপট থাকবে আরো দুই দিন

ইলিশ - ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীসহ সারা দেশের কাঁচাবাজারে এখন রুপালি ইলিশের দাপট চলছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে নদী ও সাগরে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। ফলে দামও অনেকটা সহনীয়। দেড় হাজার টাকার ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার টাকায়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল রোববার থেকে থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রজনন ক্ষেত্রের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ইলিশ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত ও কেনা-বেচা নিষিদ্ধ থাকবে। ফলে আগামী দুই দিনও বাজারে ইলিশের দাপট অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল রাজধানী ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশের সরবরাহ ব্যাপক। ভরা মওসুম হওয়ায় বাজারে ইলিশের দাম অনেক কমেছে। ছোট আকারের ইলিশের হালি (ওজন প্রায় দুই কেজি) এক হাজার টাকা। বড় আকারের (প্রতিটি এক কেজির বেশি) ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, ছোট আকারের ইলিশগুলো দুই সপ্তাহ আগেও হালি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। বড় ইলিশগুলো তো সাড়ে তিন হাজার টাকার নিচে চিন্তাই করা যেত না। খুচরা বাজারে বড় আকারের ইলিশ এক জোড়া (প্রতিটি ৯০০ গ্রাম) এক হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশের জোড়া ৮০০ টাকা এবং ছোট আকারের ইলিশ হালি এক হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশের দাম কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে অন্যান্য মাছের ওপরও। বেশির ভাগ মাছের দামই অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে কম বলে জানান বিক্রেতারা। এই সপ্তাহে রুই-কাতলের দাম কেজিতে অন্তত ৫০ টাকা করে কমেছে বলে দাবি করেন কয়েকজন বিক্রেতা। তারা জানান, বড় আকারের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। কাতল মাছ ২৮০ থেকে ৩৪০ টাকায়। এ ছাড়া রুপচাঁদা, বাইম, শিং, বোয়াল, আইড় প্রভৃতি মাছের দামও তুলনামূলক কম বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা।

এ দিকে ইলিশের ব্রিডিং গ্রাউন্ড নিরাপদ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ৩৭টি জেলার সব ক’টি নদীতে আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময় মা ইলিশসহ সব ধরনের ইলিশ শিকার বন্ধের ব্যাপারে গণসচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষি, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ঘনঘন সমন্বয় সভা করার পাশাপাশি অভিযান চালাবে নৌপুলিশ। কেউ মাছ ধরার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সর্বাত্মক অভিযান চালানো হবে নদনদী, ঘাট, মৎস্য আড়ত ও হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে।

মাছের বাজার কিছুটা সহনীয় হলেও সবজির দাম বেশ চড়া। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, বেগুন ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়ার ফালি ২০ থেকে ৪০ টাকায়, কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকায়, আলু ২৫ থেকে ২৮ টাকায়, ঢেঁড়স ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, পটোল ৫৫ টাকায়, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, বরবটি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, করল্লা ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে, গরুর গোশত ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, কক মুরগির হালি ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশী মুরগির হালি ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৮ টাকায়, চিনি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩৫ টাকায়, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। প্রতি কেজি পাইজাম চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মোটা চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, পোলাও চাল (চিনি গুঁড়া) ৯০ থেকে ১০৫ টাকা, কাটারিভোগ চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement