২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরে গেলেন বেসিক ব্যাংকের এমডি

সরে গেলেন বেসিক ব্যাংকের এমডি - সংগৃহীত

পদত্যাগপত্র দিয়ে সরে দাঁড়ালেন রাষ্ট্রায়ত্ব বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ আউয়াল খান। গত ১৪ আগস্ট তিনি ব্যাংকটির ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী বোর্ড সভায় তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে ব্যাংকটির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ জানান, আগামী বোর্ড সভায় তার পদত্যাগপত্র উপস্থাপন করা হবে। পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। সরকারও বিষয়টি দেখবে। তিনি বলেন, তার (এমডির) পদত্যাগপত্র বোর্ডে অনুমোদন হলে বেসিক ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ দিতে হবে।

তিনি জানান, পদত্যাগের নিয়ম হলো কোনও এমডি পদত্যাগ করতে চাইলে তিন মাস আগে তিনি ব্যাংকের বোর্ডকে জানাবেন। তিনি তাই করেছেন। এখন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। বোর্ড চাইলে তিনি আরও তিন মাস চাকরি করতে পারবেন। বোর্ড না চাইলে তিনি যেকোনও দিন চলে যাবেন। এক্ষেত্রে সরকারের সাথে আলোচনার ব্যাপার আছে।

উল্লেখ্য, মুহাম্মদ আউয়াল খান ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর বেসিক ব্যাংকের এমডি হিসাবে যোগ দেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাকে তিন বছরের জন্য এই পদে নিয়োগ দেয়। ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর বেসিক ব্যাংকের পর্ষদ চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ব বেসিক ব্যাংকের লোকসান হয়েছে, দু’হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, ব্যাংকটির ৬৮টি শাখার মধ্যে ২১টি শাখাই লোকসান গুনছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর আমলের চার বছরে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা বের করে নেয়া হয়। বর্তমানে ব্যাংকটির ৫৯ দশমিক ২২ শতাংশই খেলাপি ঋণ। ব্যাংকটির এখন মোট খেলাপি ঋণ ৮ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা।

জানা গেছে, বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ তখনকার ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বেনামে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে। এটাকে দিবালোকে ডাকাতি বলে উলেøখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ওই ঘটনায় এমডিকে বরখাস্ত করে পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়। পরে আলাউদ্দিন এ মজিদকে চেয়ারম্যান এবং খোন্দকার মো. ইকবালকে এমডি করে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়। এমডি খোন্দকার মো. ইকবালের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। পরে ২৩ অক্টোবর আউয়াল খানকে এমডি পদে নিয়োগ দেয়া হয়। আউয়াল খান এর আগে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর কৃষি ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দেন। পরে চলতি বছরের আগস্টে অবসরজনিত ছুটিতে যান। আউয়াল খান রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকেরও এমডি ছিলেন। এর আগে তিনি ডিএমডি হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ মাহমুদের লাশ দেশে ফিরেছে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে: ড. সুকোমল বড়ুয়া

সকল