২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ঈদের অযুহাতে বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম

ঈদের অযুহাতে বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম - সংগৃহীত

কথায় আছে, বাঙ্গালির তিন হাত। যান হাত, বাম হাত এবং অযুহাত। অযুহাতের তাদের শেষ নেই। আর এদেশের ব্যবসায়ীরা তো সারা বছরই থাকেন অযুহাতের অপেক্ষায়। কখনই অতিবৃষ্টি, কখনও অতি রোদ, কখনও রোজা, কখনও পুজা, কখনও ঈদ। অযুহাত পাওয়ামাত্রই সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেন। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের সামনে এবার অযুহাত হয়ে দেখা দিয়েছে ঈদুল ফিতর। এ অযুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অধিকাংশ পণ্যের। তবে সরকার নির্ধারিত ৪৫০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি গরুর গোশত।

এসব অসাধু ব্যবসায়ীই রোজার শুরুতে কোনো কারণ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। রোজার শুরুতে বেড়ে যাওয়া ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, তেল, মাছ, মুরগির দাম মাঝে এক সপ্তাহ বেশ কমই ছিল। শুক্রবার আবার দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। কারণ শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার অনেকেই বাজারে এসেছেন ঈদের প্রয়োজনীয় মুদিপণ্য কিনতে। সুযোগ বুঝে মাছ, মুরগি, চিনি, তেল, মশলা প্রভৃতির দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার রাজধানী ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফার্মের লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া ফার্মের লেয়ার মুরগি শুক্রবার খুচরা বাজারে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রিকরতে দেখা যায়। পাকিস্তানি জাতের কক মুরগি ২০০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হয় ১৪০ টাকা পর্যন্ত। মাঝারি আকারের এক হালি কক মুরগির দাম হাঁকা হয় ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। আর দেশি মুরগির দাম তো আকাশ ছোঁয়া। কেজি পড়ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

বাজারে শুক্রবার পটল, ভেন্ডি,বরবটি, চিচিঙ্গা প্রভৃতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পেপে ও কাকরোল এখন পাওয়া যাচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কাঁটা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, জালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধনিয়া পাতার কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কাচ কলার হালি ২৫ থেকে ২৮ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়ার কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে সবধরণের মাছের। বাজারে গতকাল মাঝারি আকারের একেকটি ইলিশ বিক্রি হয় ৯০০ থেকে এক হাজার টাকাদরে। খুচরা বাজারে গতকাল প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি কেজি পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, প্রকারভেদে চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল