২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার ব্যর্থ : রিজভী

ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার ব্যর্থ : রিজভী - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শুধু ডেঙ্গু প্রতিরোধ নয় ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ও মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে ঈদযাত্রায় মানুষজনের দুর্ভোগ চরমে।

শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দলীয় লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন। গুলশানে এনসিসি মার্কেটে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দলের প্রকাশিত লিফলেট মানুষজনের কাছে বিতরণ করেন রিজভী।

এ সময় বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সহসভাপতি আবুল হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, আজকে স্টিমার ঘাটে, লঞ্চঘাটে ভয়ংকর ভিড়, আরিচা ঘাটে আপনার ৪০ কিলোমিটার, ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন, ভয়ংকর যানজট। ট্রেনের ভেতরে প্যাক্টআপ এবং ট্রেনের যে ছাদ সেটা প্যাক্ট আপ। এই যে ঈদের সময়ে ঘরে ফেরা মানুষের যাবার যে প্রস্তুতি সেটা কখনোই এই সরকার পদক্ষেপ গ্রহন করেনি, এটাকে নির্বিঘ্ন কখনো করেননি। তাদের অব্যবস্থাপনার কারণেই।

তার উপরে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা-ঘাটের খানা-খন্দ হয়ে পড়ে আছে। সেখান দিয়ে গাড়ি-ঘোড়া-যানবাহন কিছুই চলতে পারছে না। এক ভয়ংকর দুযোর্গের মধ্যে, দুর্বিপাকের মধ্যে এই দে্শ অতিবাহিত করছে।

তিনি বলেন, বলেন, ঈদের সময়ে মানুষ বাড়ি যাবে নির্বিঘ্নে যাবে, কেনো পথের মধ্যে মরে পড়ে থাকবে? কেনো আমাকে সিডিউল ট্রেন পেতে আমাকে ১২ ঘন্টা/২৪ ঘন্টা/৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। তাহলে উন্নয়নের যে কথা বলা হচ্ছে-এটা কথার ফুলঝুড়ি ছাড়া আর কিছুই না। মুখ এক ধরনের কথা বলা হচ্ছে। বাস্তবে ভয়াবহ দুর্যোগ, দুর্ভোগের মধ্যে জনগণকে ফেলে রাখা হয়ে্ছে। তারা উন্নয়নের কথা বলেছেন। সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন হয়নি, পকেটের উন্নয়ন হয়েছে, ভেনিটি ব্যাগের উন্নয়ন হয়েছে, ব্যক্তিগত লাভালাভের উন্নয়ন হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের ব্যাংক ব্যালেন্সের উন্নয়ন হয়েছে, বিদেশে তাদের বাড়ি-ঘরের উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু জনগণ যে তিমিরে ছিলো, যে অন্ধকারে ছিলো, সেই অন্ধাকারেই আছে।

এডিস মশা নির্মূলে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এখন যে ওষুধ দিচ্ছে সেটাতে তো মশা মরছে না। ওই ওষুধে মশা শান্তির ঘুম ঘুমায়, ৫ মিনিট পরেই আবার মশা জাগ্রত হয়ে কামড় দেয়।এটা মশা মারার ওষুধ নয়, এটা মশাকে সমায়িকভাবে ঘুম পাড়ানোর ওষুধ। তাহলে এই কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বিদেশ থেকে যে মশার ওষুধ আনলে সেটা টাকা কোথায় গেলো, কার পকেটে গেলো-এটা আজকে জনগনের জিজ্ঞাসা। এটা কিসের ঔষধ দেয়া হচ্ছে? এটা সম্পূর্ণ ফাঁকিবাজী, যোচ্চুরি, এই যোচ্চুরি করেই তারা ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার দেশনেত্রীকে মুক্তি দিচ্ছে না। কারণ আজকে আইন নাই, বিচার নাই, সব কিছু এক ব্যক্তির হাতের কবজার মধ্যে আছে। আজকে ন্যায় বিচার নেই বলে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে, আজকে আইনের শাসন নাই বলে হাজার হাজার বিরোধী দলের নেতা-কর্মী কারাগারে। ন্যায় বিচার থাকলে এসব হতো না।দেশনেত্রীকে আঁটকিয়ে রেখেছে বলেই মধ্য রাতের নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে। উনি বাইরে থাকলে তিনি সোচ্চার হতেন, তিনি প্রতিবাদ করতেন, এতো বড় অন্যায় তিনি হতে দিতেন না।


আরো সংবাদ



premium cement