২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফণীর কারণে বাতিল হতে পারে বিমানের ফ্লাইট

ফণীর কারণে বাতিল হতে পারে বিমানের ফ্লাইট - সংগৃহীত

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উপকূলের দিকে যতই এগিয়ে আসছে মানুষের মধ্যে ততই বাড়ছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। ধেয়ে আসা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বসে নেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সেইফটি বিভাগও। তারাও প্রতি মুহূর্তে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করছে। 

গতকাল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর সর্বশেষ অবস্থা সেইফটি বিভাগ থেকে গভীর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এভিয়েশন আবহাওয়া অনুকূলেই রয়েছে। নিয়মিত ফ্লাইটগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে অবতরণ করছে। বর্তমানে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশে মোট বিমানবন্দর রয়েছে ৮টি। এর মধ্যে ৪টি আন্তর্জাতিক এবং ৪টি অভ্যন্তরীণ। আন্তর্জাতিক অপর বিমানবন্দরগুলো চট্টগ্রামের শাহ আমানত, কক্সবাজার ও সিলেটের এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অপর দিকে অভ্যন্তরীণ রুটের ৪টি বিমানবন্দর হচ্ছে যশোর, রাজশাহী, বরিশাল ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর। 

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ নয়া দিগন্তকে বলেন, ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’, নিয়ে বিমানের পক্ষ থেকে আমরা ঘূর্ণিঝড়ের গতি প্রকৃতি এবং আবহাওয়া গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা এর গতিপথ বিচার বিশ্লেষণ করে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কয়েকটি রুটের ফ্লাইট বাতিল করা হতে পারে। তবে সেটি এখনই বলা যাবে না। মুভমেন্ট বুঝে যদি কোনো ফ্লাইট বাতিল করতে হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে আমরা ওই সব ফ্লাইটের যাত্রীদের এসএমএসের মাধ্যমে আগেই জানিয়ে দেবো। 

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ফণী এখনো উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত করেনি। এটি কাল (শুক্রবার) সকালে আঘাত করার কথা রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ কোনো বিমানবন্দরে ওয়েদার সম্পর্কিত কোনো ওয়ার্নিং নেই। তবে সতর্কসঙ্কেত রয়েছে। এভিয়েশন ওয়েদার যা দেয়া হয় সেটা এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে।


আরো সংবাদ



premium cement