২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘ভারত জমি চায়নি, বাংলাদেশের অংশে কিছু লাইট বসাতে চেয়েছে’

‘ভারত জমি চায়নি, বাংলাদেশের অংশে কিছু লাইট বসাতে চেয়েছে’
‘ভারত জমি চায়নি, বাংলাদেশের অংশে কিছু লাইট বসাতে চেয়েছে’ - ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য ভারত, বাংলাদেশের কাছে জমি চেয়েছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে, তা জোর গলায় অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ এবং ভারতের গণমাধ্যমে এই মর্মে খবর বের হয় যে ত্রিপুরা বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য ভারত বাংলাদেশের কাছে জমি চেয়েছে।

এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে নানা ধরণের পরস্পরবিরোধী খবরও বের হয়।

ভারত কি আসলেই বাংলাদেশকে এরকম কোন প্রস্তাব দিয়েছে?

এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ভারত আমাদের কাছে কোন জমি চায়নি। যে খবরটি আপনারা জেনেছেন সেটা সম্পূর্ণ অসত্য।"

শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, "ভারত মূলত যেটা চেয়েছে, সেটা হচ্ছে ত্রিপুরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাইটের কমপ্লিট ফেইজ পূরণ করতে বাংলাদেশের অংশে কিছু লাইট বসাতে।"

"যেকোনো বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান ওঠানামার নির্দেশনা দেয়ার জন্য লাইটের একটি কমপ্লিট ফেইজের প্রয়োজন হয়। যেখানে কয়েক ফুট অন্তর অন্তর প্রায় ৫০টির মতো লাইট বসানো হয়। একে বলা হয় ক্যাট আই লাইট।"

শাহরিয়ার আলম বলেন, "লাইটের এই কমপ্লিট প্যানেলের যে দৈর্ঘ্য সেটা বসানোর মতো জায়গা ভারতের অংশে না থাকায় তারা বাকি কিছু লাইট বাংলাদেশের অংশে বসানোর অনুরোধ করে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে।"

সম্প্রতি ভারত এ নিয়ে একটি অনুরোধপত্র পাঠিয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, "ভারত লাইট বসানোর বাইরে রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য জমি বা কোন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য কিছু চায়নি।"

"এসব লাইটের বেশিরভাগ ভারতেই অংশেই বসবে, এরমধ্যে কিছু লাইট আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে বাংলাদেশের অংশে বসানো হতে পারে।"

তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনকে ভারতের এই অনুরোধ যাচাই বাছাই করে তাদের মতামতের জন্য বলা হয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের মতামতের ভিত্তিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে আলাপ আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মিস্টার আলম বলেন, "ভারতের থেকে কোন প্রস্তাব এলেই এটা নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি করা হয়। অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়। একটি চক্র সবসময় একে তাদের সস্তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করে।"

"কিন্তু সরকারের নীতি হল, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা সমুন্নত রেখে প্রতিবেশী দেশের সাথে ভাল সম্পর্কের ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া।"

তিনি মনে করেন সরকারের এমন নীতির কারণেই বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও যাতায়াতে অনেক ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

"আর সব কিছুই সম্পন্ন হয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট কার্যপ্রণালীর মাধ্যমে। এই লাইট বসানোর বিষয়টিও সেভাবেই করা হবে।"

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু ইসরাইলের রাফা অভিযান পরিকল্পনা স্থগিত

সকল