২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে জাতিসংঘের আহবান

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এবং এই সংকটের স্থায়ী সমাধান দেখতে চায় জাতিসংঘ।

আজ বিকেলে কক্সবাজারের একটি তারকা হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মানবিক সাহায্য বিষয়ক সংস্থার প্রধান মার্ক লুকোক এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিতোরিনো।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখার জন্য বৃহস্পতিবার কক্সবাজার আসেন জাতিসংঘের শীর্ষ এই তিন কর্মকর্তা। শুক্রবার সকালে তাঁরা রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। পরে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, রাখাইনের পরিবেশ রোহিঙ্গাদের জন্য এখনও নিরাপদ নয়। কাজেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনুকূল পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টের পর ৯ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শিশু এখানে পর্যাপ্ত শিক্ষা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লুকোক বলেন, মিয়ানমারের সাথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য যে চুক্তি হয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ করছে না মিয়ানমার। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তারা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্থ করেছি, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এজন্য আমরা কৌশলগত ভাবে কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসার কারণে স্থানীয় জনগণ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নেও কাজ করা হবে।

আইওএম-এর মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিতোরিনো বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়দের সমস্যা বেড়েছে, এটা বুঝতে পেরেছি। এই সমস্যার সমাধান হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে। তাই জাতিসংঘ চেষ্টা করছে দ্রুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করার।

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর নিয়ে অ্যান্তোনিও ভিতোরিনো বলেন, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়টি সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের উপর নির্ভর করে। তবে বর্ষা মৌসুমসহ যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে এই দ্বীপটা বাসযোগ্য করে তোলা প্রয়োজন।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল