১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রথম বিদেশ সফরে ভারত যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

- ফাইল ছবি

দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ভারত যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা জানান।

ড. মোমেন বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ভারত বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশ। তাই সম্ভবত প্রথম সফরে আমি ভারত যাচ্ছি। তবে এ সফরের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।

জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশের নতুন সরকারের প্রতি সমর্থন বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পশ্চিমা দুনিয়া সরকারের সাথে আছে। তারা সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবে।

রোহিঙ্গা সঙ্কট সহজেই সমাধান হবে না মন্তব্য করে ড. মোমেন বলেন, এটি একটি গুরুতর ইস্যু যা আমাদের অগ্রাধিকারে রয়েছে। এই বিষয়ে অনেক আলাপ করতে হবে। আলোচনা করেই সমাধানে পৌঁছাতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের ফলে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত কি কি হুমকি রয়েছে তা বের করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই ইস্যুতে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়েরও দায়িত্ব রয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট জিইয়ে থাকলে ভারত, থাইল্যান্ড, চীনসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। কেননা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি হুমকি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনসহ কয়েকটি দেশের বিরোধিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্থায়ী অবস্থান বলে কিছু নেই।

অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. মোমেন বলেন, বিদেশ থেকে কীভাবে বিনিয়োগ আনা যায়, বাণিজ্য বাড়ানো যায় সামনের দিনে এসব বিষয় অগ্রাধিকার পাবে। সমুদ্র অর্থনীতির বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগানোর উপায় নিয়ে কাজ করব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। অনেক বিদেশী এখনো মনে করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে অর্জিত অর্থ নিজ দেশে নেয়া যায় না, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রচুর কর দিতে হয়। অথচ বাস্তব পরিস্থিতি হল, এদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশীরা সহজেই লভ্যাংশ নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কর দিতে হয় না। ট্যাক্স হলিডের আওতায় তারা কর অবকাশের সুবিধা পান। তাই বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে বিশ্বের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের ব্যবস্থা করব।

ড. মোমেন বলেন, মহাজোট সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি, তাই দায়িত্বও অনেক বেশি। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবো। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হতে, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসঙ্ঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র অর্জনে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে কাজ করবো।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অবকাঠামো দুর্বলতা ছাড়াও অনেক বাধা-বিপত্তি রয়েছে। সবাইকে সাথে নিয়ে এই বাধা অতিক্রম করতে চাই।


আরো সংবাদ



premium cement