১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গণভবনে সংলাপে গিয়ে কী খাবেন, মেন্যু পছন্দ করলেন বি. চৌধুরী

গণভবনে সংলাপে গিয়ে কী খাবেন, মেন্যু পছন্দ করলেন বি. চৌধুরী - নয়া দিগন্ত

গণভবনে সংলাপে গিয়ে কী খাবেন, মেন্যু পছন্দ করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেছেন, গণভবনে সংলাপ শেষে নৈশভোজে লাল আটার রুটি খেতে চান। 

এছাড়া নৈশভোজের মেন্যুতে সাদা ভাত, ফুলকপি, শিম, আলুভাজি, যে কোনো মাছের ঝোল, মসুর ডাল রেখেছেন বি. চৌধুরী। তার পক্ষ থেকে পছন্দ করা তালিকা এরইমধ্যে গণভবনে জানানো হয়েছে।

গণভবনে শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে চলমান রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে সংলাপ করবেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার ১৪ প্রতিনিধি দল। সংলাপ শেষে নৈশভোজে বি. চৌধুরীকে তার পছন্দের মেন্যু দিয়ে আপ্যায়ন করানো হবে।

বিকল্প ধারার গণমাধ্যম কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বুধবার (৩১ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রতিনিধি দলের তালিকা নিয়ে যান বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। এর আগে ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি লেখেন বি. চৌধুরী। এই চিঠি পাওয়ার পর সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

আরো পড়ুন : সংলাপে যে দাবি করবেন বি চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:০৪

যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন পেলেই কেবল সংলাপের বিজয় হবে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করবেন। এবং কিভাবে তা হতে পারে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক করা হবে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যুক্তফ্রন্টে যোগদান ও বিভিন্ন দলের নেতাদের বিকল্পধারায় যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ যোগদান অনুষ্ঠানে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান সভাপতিত্ব করেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিকল্প ধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈশা, বিকল্প ধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক প্রমুখ।


বি চৌধুরী আরো বলেন, উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র একসাথে চলতে হবে। গণতন্ত্রকে মাইনাস করে কোন উন্নয়ন দেশবাসী চায় না। কিন্তু সরকার বলছে উন্নয়নই যথেষ্ট। কিন্তু তাদের এধরণের বক্তব্যতো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর এ সরকার যে উন্নয়ণ করেছে তার ফিফটি পার্সেন্ট দুনীতির মাধ্যমে অন্যের পকেটে চলে গেছে। সঠিকভাবে দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন হলে সাত পার্সেন্ট নয় দশভাগে তা উর্ত্তীর্ণ হতো। ভবিষ্যতে উন্নয়ণ করতে হলে দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ণ প্রকল্প করতে হবে।

বি চৌধুরী ডিজিটাল আইনের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এর মাধ্যমে জনগণের কন্ঠরোধ করে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের কলম বন্ধ হয়েছে। তাদের মুখ বেঁেধ দেয়া হযেছে। তাদেও হাত পায়ে শিখল লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, এ ধরণের নিন্দিত আইন সারা পৃথিবীর কোথায় অসে বলেন। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরণের আইন নেই। তিনি বলেন, জনসভার ওপর বিধি নিষেধ চলবে না।

তিনি প্রশ্ন করে বলেন, কেন এ দেশে জনসভা করতে গিয়ে অনুমতি নিতে হবে। আমাদের দেশের পুলিশ আমাদেও লোক তারা। তাদের অনুমতি নিয়ে জনসভা করতে হবে? প্রশ্ন করেন তিনি। এর চাইতে লজ্জ্বার বিষয় আর হতে পারে না। তিনি বলেন দেশে গণগ্রেফতার চলছে। এটা কৌশলি গ্রেফতার। তিনি সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করেন। দেশে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে অবশ্যই তাদের মুক্তি দিতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি নির্বাচনের সময় পক্ষপাতদুষ্ট সরকারি কর্মচারীদের সরিয়ে দেয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, পক্ষপাতদুষ্ট সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, আমরা দেশে অশ্রদ্ধার রাজনীতি চাই না। শ্রদ্ধার রাজনীতি দিয়ে দেশকে ভরে দিতে চাই।

সংলাপে যাচ্ছে বিকল্পধারাও

প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে অংশ নেবে ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারাও। দলটি সংলাপে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করার পর তাতে সাড়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে গত রোববার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে সংলাপে বসতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান ড. কামাল হোসেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাও মঙ্গলবার সকালে ড. কামাল হোসেনকে লেখা একটি চিঠিতে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আমন্ত্রণ জানান। এরপর গতকাল মঙ্গলবার বিকল্পধারাকেও সংলাপে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement