২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাপানে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশীরা 

জাপানে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশীরা  - সংগৃহীত

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, জাপানে বাংলাদেশের দক্ষ জনবল প্রেরণের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কার্যকর নীতি কৌশল, সুদক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণের মাধ্যমে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

জাপানে জনশক্তি প্রেরণের সম্ভাবনা ও করণীয় নিয়ে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মঙ্গলবার জাপানে জনশক্তি নিয়োগ ও সরবরাহখাত সংশ্লিষ্ট বেসরকারি কর্মী প্রেরণ সংস্থা, প্রতিনিধি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জাপানে কাজ করার জন্য নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, জাপানি ভাষা ও নিয়ম-শৃঙ্খলার জ্ঞান এবং কর্মঠ হতে হবে।’

তিনি দেশের সুনাম বজায় রেখে, স্বল্পখরচে এবং সরকারি বিধি-বিধান মেনে দেশ থেকে আরো জনশক্তি জাপানে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জাপান সরকারের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর এবং সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বর্ণনা করেন।

সভায় এইখাত সংশ্লিস্ট বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণ তাদের মতামত তুলে ধরেন তারা বলেন, জাপানে আইটি, কেয়ার গিভার, নির্মাণশিল্প, কৃষি, জাহাজ তৈরি, ওয়েল্ডিং, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হোটেলসেবা ইত্যাদি খাতে জনবলের চাহিদা রয়েছে।
তারা বেসরকারি পর্যায়ে লোক নিয়োগকে উম্মুক্ত করার অনুরোধ জানান এবং তাদের অভিজ্ঞতা, ধারণা ও নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন : বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা ভাবছে চীন
কূটনৈতিক প্রতিবেদক ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১২:১৬

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছে চীন।

গতকাল বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ঝেং জাও বলেন, আমি আশা করি বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের দেয়া সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাবে চীন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক নতুন নতুন সুযোগ এসেছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তা কাজে লাগানো যেতে পারে। আমি আশা করি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক চিরদিন অটুট থাকবে।

তিনি বলেন, পরস্পরের জন্য লাভজনক বৃহত্তর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের সহযোগিতার সম্পর্ক পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হচ্ছে। অর্থনীতি ও বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি ও জনগণের মধ্যে সম্পৃক্ততার মতো ক্ষেত্রগুলোতে এ সহযোগিতা গভীরতর হচ্ছে। 

২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওই সফরকালে দুই দেশের নেতৃবৃন্দ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছেন। এটি সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করেছে। দুই দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) হাতে নেন। এটি বিশ্বজুড়ে বেশ ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। বিআরআইয়ের লক্ষ্য এশিয়া, ইউরোপ ও অফ্রিকা মহাদেশের রাষ্ট্রগুলোকে সড়ক ও সমুদ্রপথে সংযুক্ত করা এবং এ সব অঞ্চলের দেশগুলোতে ভারসাম্যপূর্ণ ও টেকসই উন্নয়ন সাধন করা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান বেশ ভালো। গত বছর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের চেয়ে পাঁচ দশমিক আট শতাংশ বেশি। চীন বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। অবকাঠামো খাতে চীনের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সাথে ১০ দশমিক চার বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। চীনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।


আরো সংবাদ



premium cement