২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা ভাবছে চীন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে - ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করছে চীন।

গতকাল বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ঝেং জাও বলেন, আমি আশা করি বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের দেয়া সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাবে চীন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক নতুন নতুন সুযোগ এসেছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তা কাজে লাগানো যেতে পারে। আমি আশা করি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক চিরদিন অটুট থাকবে।

তিনি বলেন, পরস্পরের জন্য লাভজনক বৃহত্তর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের সহযোগিতার সম্পর্ক পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হচ্ছে। অর্থনীতি ও বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি ও জনগণের মধ্যে সম্পৃক্ততার মতো ক্ষেত্রগুলোতে এ সহযোগিতা গভীরতর হচ্ছে। 

২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওই সফরকালে দুই দেশের নেতৃবৃন্দ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছেন। এটি সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করেছে। দুই দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) হাতে নেন। এটি বিশ্বজুড়ে বেশ ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। বিআরআইয়ের লক্ষ্য এশিয়া, ইউরোপ ও অফ্রিকা মহাদেশের রাষ্ট্রগুলোকে সড়ক ও সমুদ্রপথে সংযুক্ত করা এবং এ সব অঞ্চলের দেশগুলোতে ভারসাম্যপূর্ণ ও টেকসই উন্নয়ন সাধন করা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান বেশ ভালো। গত বছর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের চেয়ে পাঁচ দশমিক আট শতাংশ বেশি। চীন বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। অবকাঠামো খাতে চীনের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সাথে ১০ দশমিক চার বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। চীনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।

মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত করতে বাংলাদেশের প্রতি ইইউর আহ্বান
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ঢাকায় অবস্থানরত ইইউ রাষ্ট্রদূতরা গতকাল সংবাদপত্রে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। তারা বলেন, প্রতি বছর ১০ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডবিরোধী বিশ্ব দিবস পালন করা হয়। অথচ গত ১০ অক্টোবর বাংলাদেশে ১৯ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে (২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারের রায়)। 

বিবৃতিতে বলা হয়, যেকোনো পরিস্থিতিতে ইইউ মৃত্যুদণ্ডের ঘোর বিরোধী। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত করতে ইইউ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মৃত্যুদণ্ড জীবনের অধিকারকে কেড়ে নেয়। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। মৃত্যুদণ্ড একটি নিষ্ঠুর ও অমানবিক শাস্তি। এটি অপরাধ দমনে কার্যকর নয়। এ ধরনের রায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে ভুল শোধরানোর উপায় থাকে না।
পুরোপুরি বিলুপ্ত করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ রহিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূতরা।

ইইউ ডেলিগেশন এবং ইতালি, স্পেন, সুইডেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও ব্রিটেনের মিশন প্রধানরা যৌথভাবে এই বিবৃতি দিয়েছেন। 


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল