২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিঙ্গাপুর যেতে কেন এত টাকা লাগে!

সিঙ্গাপুর - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে যতগুলো শ্রমবান্ধব দেশে কাজের উদ্দেশে শ্রমিকেরা পাড়ি জমাচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিবাসন ব্যয় করতে হচ্ছে দ্বীপ রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের জন্য। এ মুহূর্তে নতুন একজন (আইপিএ) শ্রমিকের জন্য দেশে ট্রেনিং করা থেকে শুরু করে সিঙ্গাপুরের নিয়োগকারী কোম্পানি, এজেন্টসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মোট ১৬ হাজার সিঙ্গাপুরী ডলার খরচ হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা। এরপরই অভিবাসন ব্যয় বেশি হওয়া দেশের তালিকায় রয়েছে সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত ও মালয়েশিয়া। 

সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ দিন অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞ এ কে এম মহসীন গতকাল ইন্দোনেশিয়া থেকে নয়া দিগন্তকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে এই মুহূর্তে একজন নতুন শ্রমিক সিঙ্গাপুরে যেতে ৯-১০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ এত টাকা খরচ করার পর একজন শ্রমিক প্রতিদিন পারিশ্রমিক পাচ্ছে মাত্র ২৫-২৮ সিং ডলার। যেখানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সিঙ্গাপুরে এখন এক প্যাকেট সিগারেট কিনতেই লাগছে ১৩ সিং ডলার। তাই বিপুল টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান মোতাবেক চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে তিন লাখ ৪৭ হাজার ২৭ জন শ্রমিক মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, জর্ডান, মরিশাস, কুয়েত, কাতার, ফিজিসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তার মধ্যে সৌদি আরবে অনেক শ্রমিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরে গেছে ১৬ হাজার ৫৩৫ জন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গড়ে প্রতি মাসে তিন থেকে চার হাজার শ্রমিক বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে। এসব শ্রমিক পাঠাতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় তালিকাভুক্ত ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে। এর বাইরে আর কেউ শ্রমিক পাঠাতে পারছে না। 

সিঙ্গাপুরগামী ভুক্তভোগী শ্রমিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে মহসীন জানান, একজন শ্রমিককে সিঙ্গাপুরে আসতে হলে তাকে ঢাকায় ট্রেনিং করানো বাবদ মোট অভিবাসন ব্যয়ের ১৬ হাজার সিং ডলারের অর্ধেক খরচ রেখে দিচ্ছে। বাকি টাকা সিঙ্গাপুরের এমপ্লয়মেন্ট, এজেন্ট ও তাদের মনোনীত দালালদের পেছনে খরচ হচ্ছে। কী কারণে সিঙ্গাপুরের অভিবাসন ব্যয় এত বেশি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, মূলত রিক্রুটিং এজেন্সি, সিঙ্গাপুরের নিয়োগকর্তা ও এজেন্টগুলোর ওপর বাংলাদেশ সরকারের কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অন্যান্য দেশের তুলনায় সেখানকার অভিবাসন ব্যয় অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের লেবার উইংয়ের দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আপেক্ষ করে বলেন, ‘তাদের আমরা দেখছি শ্রমবাজার নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই। তারা সেবামূলক কাজের প্রতি খুব একটা মনোযোগী না।

তাই তারা আইওয়াশ হিসেবে দুই-তিন মাস পরপর এক-দুইটা ডরমেটরি ভিজিট করেই দায়িত্ব শেষ করছে। নিজের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সিঙ্গাপুরের অভিবাসন ব্যয় তিন লাখ টাকার বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সিঙ্গাপুর সরকারের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগকারী কোম্পানি নতুন একজন শ্রমিক নেয়ার জন্য এজেন্ট ফি দুই মাসের জন্য ১৪ শ’ সিং ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। নিয়োগকারী কোম্পানির মালিক, এজেন্ট ও ঢাকার ট্রেনিং সেন্টারের খরচ মিলিয়ে সর্বোচ্চ আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা লাগার কথা। কিন্তু কর্মীদের কাছ থেকে ঢাকার ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি নানাভাবে ৯-১০ লাখ টাকা আদায় করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তার মতে, দালালদের প্রলোভনে পড়েই গ্রামের অসহায় মানুষগুলো লাখ লাখ টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছে।

অভিবাসন ব্যয় কমাতে আপনার পরামর্শ কী এমন প্রশ্নের জবাবে মহসীন বলেন, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেই এর সমাধান বের করতে হবে। কিন্তু এই আলোচনার উদ্যোগ যাদের নেয়ার কথা সেই সিঙ্গাপুর হাইকমিশন অনেকটাই নিষ্ক্রিয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। সিঙ্গাপুরের শ্রমবাজারে অভিবাসন ব্যয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে যে অরাজকতা চলছে সেটি দ্রুত তদন্ত করে দূর করার জন্য প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ও সচিবসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

আরো পড়ুন :

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক

মালয়েশিয়ায় বাংলদেশী শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। একইসাথে ২০১৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর কাজে নিয়োজিত ১০ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে।

শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার একটি ইংরেজি পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরপরই দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত করার ঘোষণা দেন। 
তবে মানবসম্পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পুরনো পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নেয়ার কার্যক্রম চলবে যাতে সরকার বিষয়টি দেখভাল করতে পারে।

শ্রমিক পাঠানোয় দুর্নীতির বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দি স্টারের অনলাইনে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় একজন শ্রমিক পাঠাতে খরচ হয় দুই হাজার রিঙ্গিত। বাংলাদেশী একটি চক্র নিচ্ছে ২০ হাজার রিঙ্গিত। এভাবে দুই বছরে একটি চক্র ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ।

সংবাদে এ দুর্নীতি চক্রের হোতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রভাবশালী একজন ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে তার নাম প্রকাশ না করে আরও বলা হয়, ওই ব্যক্তির বয়স ৪০ বছর। তিনি ১৫ বছর আগে এক মালয়েশীয় নারীকে বিয়ে করেন। তার রয়েছে দাতুক সেরি উপাধি।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ২০১৬ সালে একটি চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তির অধীনে সরকারের বাইরেও শ্রমিক নিয়োগের জন্য ১০টি কোম্পানিকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে সরকারই কেবল জনশক্তি পাঠাতে পারত। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণেই চুক্তি সই হয়। তার ছত্রছায়ায়ই এই ১০টি রিক্রুটিং কোম্পানি রাতারাতি গজিয়ে ওঠে।

পত্রিকার খবরে মালয়েশিয়ায় এভাবে লোক পাঠানোকে মানব পাচার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলা হয়েছে হাজার কোটি টাকার এ মানবপাচার ব্যবসাকে ‘বৈধতা’ দেয়ার পেছনে তার ভূমিকাই প্রধান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী এক বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি মানবপাচারচক্র মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের কাজ দিয়ে মাত্র দুই বছরে ২০০ কোটি মালয়েশীয় রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় চার হাজার ২০০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। দ্য স্টারের দাবি, তাদের তদন্তে দেখা গেছে, বাংলাদেশের এজেন্টকে এক লাখেরও বেশি শ্রমিক প্রত্যেকে ২০ হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত দিয়েছে। এই টাকার অর্ধেক স্থানীয় এজেন্ট ‘ওয়ার্ক পারমিট’ অনুমোদন ও মালয়েশিয়ায় বিমান টিকিটে ব্যয় করেছে। ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এক লাখের বেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কাজের জন গেছেন। এ ছাড়া লাধিক শ্রমিক দেশটিতে যাওয়ার অপোয় রয়েছেন। শ্রমিকদের কাছ থেকে ২০ হাজার রিঙ্গিত নিলেও মালয়েশিয়ায় একজন শ্রমিক পাঠানোর নথিভুক্তি ও পরিবহনে খরচ হয় দুই হাজার রিঙ্গিতের চেয়ে কম।

দ্য স্টার জানায়, অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ওই ব্যক্তি ধনী থেকে আরও ধনী হয়েছেন এবং তার ঘনিষ্ঠ ও সহযোগী ব্যবসায়ীরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। তিনি শ্রমিকদের কাছ থেকে নেয়া টাকার কিছু অংশ উভয় দেশের রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের দেন।

ইংরেজি দৈনিকটির খবর অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই এসব কোম্পানি গড়ে তোলা হয়। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের কাজ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার এ কেলেঙ্কারিকে নতুন ধাপে নিয়ে গেছেন এ ব্যক্তি।

শ্রমিক পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়াকে সহজ করতে এবং ১০টি কোম্পানির স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখতে এসপিপিএ নামে অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশী শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে এ নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ব্যবহার করতে হয়। এসপিপিএ অনুসারে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে মালয়েশীয় কোম্পানিকে ৩০৫ রিঙ্গিত দিতে হয়। এ নিবন্ধন ব্যবস্থা পরিচালনা করে বেস্টিনেট এসডিএন বিএইচডি নামে একটি বেসরকারি কোম্পানি। এসপিপিএর সংগৃহীত অর্থ চলে যায় বেস্টিনেটের কাছে। ১০টি কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগকর্তাদের কাছে শ্রমিকদের বণ্টন কাজের জন্য এ অর্থ নেয় বেস্টিনেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়া যেতে ওই দেশগুলোর শ্রমিকদের বাংলাদেশের চেয়ে কম টাকা দিতে হয়। ওই দেশগুলোর শ্রমিকদের খরচ পড়ে আড়াই হাজার রিঙ্গিতের মতো।

কাং ভ্যালিতে বেশ কয়েকটি কোম্পানির কনসালটেন্সি করা একটি কোম্পানির মালিক চিরারা কান্নান দ্য স্টার অনলাইনকে জানান, এসপিপিএ চালু হওয়ার আগে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের খরচ ছিল অনেক কম। আগে শ্রমিকদের সাত থেকে আট হাজার রিঙ্গিত দিতে হতো মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য। কিন্তু এখন মধ্যস্থকারীরা বড় অঙ্কের টাকা নেয় শ্রমিকদের কাছ থেকে।

চিরারা জানান, বাংলাদেশের স্থানীয় গ্রামীণ এলাকার সাব-এজেন্টদের শ্রমিকরা দেন ২০ হাজার রিঙ্গিত। এই সাব-এজেন্টরা আরও অন্তত দুইজন মধ্যস্থতাকারী মাধ্যমে সরকারের অনুমোদিত এজেন্টের কাছে যায়। আগে যারা সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্ট ছিল, তারা এখন বড় ১০টি কোম্পানির সাব-এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।

চিরারা বলেন, পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। অনেক নিয়োগদাতা কোম্পানিও শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। নিয়োগকৃত প্রত্যেক বাংলাদেশী শ্রমিকদের কাছ থেকে অনেক নিয়োগদাতা ১৫০০ রিঙ্গিত করে নিচ্ছেন। এসব কারণে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ ব্যবস্থাটি কলঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন চিরারা।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিতের খবরও গতকাল দ্য স্টারে প্রকাশিত হয়েছে। খবরে মানবসম্পদ মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়াটি একটি সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাধ্যমে হয়েছে যেখানে শ্রমিকদের বাংলাদেশী এবং মালয়েশিয়ার মধ্যস্বত্বভোগীদের অনেক বেশি টাকা দিতে হতো। আমরা এসব অভিযোগ তদন্ত করছি। বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং আমরা আশা করছি শিগগিরই এ বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছব। তিনি বলেন, যারা শ্রমিক পাঠানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement