১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাঠক না বাড়লে এত সংখ্যক বই প্রকাশকরা বের করত না

-

নির্মলেন্দু গুণ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবি। বয়স দিন দিন বাড়তে থাকলেও নিয়মিত লিখছেন তিনি। এবারের গ্রন্থমেলায় তার একাধিক নতুন বইয়ের পাশাপাশি পুরনো বই নতুন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। জনপ্রিয় এ কবি প্রায় প্রতিদিন হাজির হন বইমেলায়Ñ
কেমন আছেন? বইমেলা তো চলছে!
ভালো আছি। গ্রন্থমেলা শুরু হয়ে গেল, অন্য দিকে ক্রিকেট খেলাও চলছে। আমি আবার খেলা খুব পছন্দ করি। মেলা এবং খেলা দুটো নিয়েই বেশ আনন্দে আছি।
খেলা তো ঘরে বসেই দেখেন, কিন্তু মেলা?
মেলায় তো কয়েকবার গেলাম। নতুন কয়েকটি বই এসেছে। আরও কয়েকটি আসবে কয়েক দিনের মধ্যে। নতুন কয়েকটি বইয়ের পাশাপাশি পুরনো কয়েকটি বইয়ের নতুন সংস্করণ হবে। এখন তো বই ভালোই বিক্রি হচ্ছে। নতুন নতুন পাঠকদের সাথে পরিচয় হচ্ছে। আগামীতেও বইমেলায় যাবো। মন তো মেলাতেই পড়ে থাকে।
মেলায় তো ভিড় দিন দিন বাড়ছে। ভিড় মানে দর্শক। কিন্তু পাঠক কী বাড়ছে বলে মনে করেন?
পাঠক না বাড়লে এত সংখ্যক বই প্রকাশকরা বের করত না। একজন লেখক কবি তো একাধিক বই বের করেন এবং সে বই বিক্রিও হচ্ছে। বলার তো অপেক্ষা রাখে না পাঠক বৃদ্ধি হচ্ছে। পাঠক দিন দিন বাড়ছে এতে সন্দেহ নেই।
বই কিংবা নতুন লেখক তো জনপ্রিয় কিংবা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না?
সময় লাগবে। এক মাস এক বছর দুই বছরে তো কিছু হবে না। একজন লেখকের লেখার সাথে পাঠকের পরিচয় এবং সম্পর্ক হতে অনেক সময় লাগে। সময় যাক, লেখক এবং তার বই অবশ্যই জনপ্রিয় হবে। আমি তো আর এক দিনে-এক বছরেই জনপ্রিয় হইনি। সময় লেগেছে। অন্যদেরও সময় লাগবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
তবে হতাশার কথা আছেই। আপনারা যখন শুরু করেছেন তখন আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না। এখন প্রযুক্তি আছে, তাই বই পাঠের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গেছে।
এটা ঠিক কথা। তবে সহজ বিষয়টি তো বললে না। প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে ফেসবুকে তো প্রতিদিন মেলা বসে। ধরো আমি কিন্তু ফেসবুক ব্যবহার করি। আমি একটা কবিতা ফেসবুকে দিলে আমার ফেসবুক বন্ধুরা পড়ে মন্তব্য করে শেয়ার করে। আমার সাথে অন্যদের একটি সম্পর্ক এবং তথ্যের আদান-প্রদান হচ্ছে এটাও তো একটা মেলা এবং এতে তো পাঠক বাড়ছে।
কিন্তু এতে তো একজনের লেখা অন্যজন নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে দেয় নিজের নামে। এটাও তো খারাপ দিক!
এ কাজটি যে হয় না তা কিন্তু না। তবে তা কিন্তু নিয়মিত হচ্ছে না এবং সবাই করে না। কেউ কেউ অন্যের দেয়া কয়েকটি লাইন হয়তো পছন্দ করে। তবে এটি নিয়ে আমি হতাশ নই। পজেটিভ বিষয় হচ্ছে প্রযুক্তির কারণে লেখক কবিরা পাঠকের কাছে খুব তাড়াতাড়ি যেতে পারছে। একুশে মেলা তো বছরে একবার হয়। আর ফেসবুক মেলা হয় ১২ মাস এবং প্রতিদিন।
এবারের মেলা নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
আশাবাদীর কিছু নেই। মেলা সুন্দর হচ্ছে। আমরা এমন একটি জাতি যে, আমরা মাসব্যাপী মেলা করি। আমি পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রে গেছি। অন্য দেশগুলোতে এক সপ্তাহের বেশি মেলা চলে না বা এক সপ্তাহেই মেলা বসানো হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এক মাস ধরে মেলা চলে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমি আশা করি, ভাষার মাসে বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ক আরও সুন্দর হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির বগুড়ায় পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকভর্তি কলা ছিনতাই : গ্রেফতার ৪ ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ, চুক্তি বাতিল স্নান করতে গিয়ে দূর্গাসাগর দীঘিতে ডুবে একজনের মৃত্যু ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা মানবতার কল্যাণে জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে হবে : জামায়াত আমির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭ ফিট তামিমকে যেকোনো ফরম্যাটের দলে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক বিকেবি ও রাকাব একীভূতকরণের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অপহৃত চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার রামেক আইসিইউতে, গ্রেফতার ২ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার

সকল