প্রকাশকরা চাইলেই প্রতিমাসে
- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
বই বের করা সম্ভব
আনোয়ারা সৈয়দ হক একজন চিকিৎসক ও কথা সাহিত্যিক। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখি করে আসছেন তিনি। এবারের বইমেলায় তার একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। তার নতুন বই, গ্রন্থমেলা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
মনে হচ্ছে খুব ব্যস্ততার মধ্যেই দিন যাচ্ছে?
সত্যি কথা আমি সব সময় ব্যস্ত থাকি। চিকিৎসা পেশায় জড়িত আছি। লেখালেখি করছি। তবে সব মিলিয়ে ভালোই আছি আমি। এমন জীবন ক’জনের আছে?
কদিন চলে গেছে গ্রন্থমেলা শুরু হলো, মেলায় গিয়েছেন?
না, এখনো যাওয়া হয়নি। সময় পাচ্ছি না। তবে শিগগিরই মেলায় যাব। আমি খবর নিয়েছি এখনো মেলা জমে ওঠেনি। সবে তো শরু হলো। সবার বই এখনো মেলায় আসেনি। কাজ চলছে। আমি সুযোগ করে মেলায় যাবো।
এবারের মেলায় আপনার ক’টা বই বের হবে?
আমার একটি বই এখন মেলায় আছে। আরো চারটা মতো বই বের হবে। শিশু কিশোর, ছোটগল্প ও একটি উপন্যাসও বের হবে আশা করছি। সবগুলো বই যতœ নিয়ে লেখা। আমার বিশ্বাস পাঠকদের খুব ভালো লাগবে।
প্রয়াত সৈয়দ হককে নিয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না এবারে মেলাতে?
হ্যাঁ, আমি একটা বই বের করব বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু এবারের বইমেলায় গল্পকার হাসনাত আব্দুল হাই একটি বই বের করেছেন। ওখানে আমিও সহযোগিতা করেছি। এর ফলে আমার বইটা এবারের বইমেলায় আসছে না। বইমেলার শেষে আসবে হয়তো। হাসনাত আব্দুল হাই যে বইটি বের করেছেন সেটি পাঠক সমাধিত হবে আমি মনে করি।
লেখক সাহিত্যিকরা তো মেলা কেন্দ্রিক বই প্রকাশ করছেন, এটা কেন?
এর জন্য প্রকাশরাই মূলত দায়ী লেখকদের কিছু করণীয় নেই। প্রকাশরা চাইলেই প্রতিমাসে বই বের করা সম্ভব। এখন লেখকরা চাইলে তো প্রতিমাসে বই বের করা সম্ভব নয়। লেখকরা তো নিজের টাকা খরচ করে বই বের করবে না। প্রকাশকরা এ বিষয়টি ভেবে দেখলে হয়তো লেখক সাহিত্যিকরা প্রতিমাসেই বই বের করা সম্ভব। প্রকাশরা তাগাদা দিলেই লেখকরা নিয়মিত হতে পারবেন। আরেকটি বিষয় লেখকরা কিন্তু বারো মাসই লিখে থাকেন। তা না হলে সাহিত্য পাতা বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লেখা আসত না।
এবারেই প্রথম মেলা এক দিন পর অনুষ্ঠিত হলো। এ নিয়ে আপনার কী বলার আছে?
আসলে এটা কেন করা হলো সবাই জানেন। তবে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী হয়তো ভাববেন। ভাষার মাস। বিশেষ একটি বিষয়। এক দিন পর শুরু হলো যা আমরা আশা করিনি। পূজার জন্য একদিন পর মেলা শুরু হলো। তবে সবাই চাইলে মেলার দিন আরো কয়েক দিন বাড়ানো সম্ভব। এর জন্য লেখক প্রকাশরাও ভেবে দেখবেন আশা করি।
আপনি তো চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত। আপনার কী মনে হয়, এ পেশায় না এলে লেখালেখিতে আরো ভালো করতেন, আরো সমৃদ্ধ হতেন?
না আমার এমন মনে হয়নি। চিকিৎসা একটি সেবামূলক কাজ। বিভিন্ন রকম রোগীর সঙ্গে আমার দেখা হয় কথা হয়। তাদের জীবনের গল্প শুনি। রোগীদের এলাকার নানা বিষয় আমি জানতে পারি তাদের কাছে। এটা আমার লেখালেখি জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি মনে করি লেখালেখি এবং চিকিৎসা পেশা নিয়ে আমি খুব আনন্দে আছি।
তরুণ যারা লিখছেন তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?
তরুণরা ভালো করছে। ভালো লিখছে। তবে তারা আরও সচেতন হতে হবে। যত লিখবে তার চেয়ে আরও বেশি পড়তে হবে। সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে লিখতে হবে। অস্থির হলে চলবে না। রাতারাতি জনপ্রিয় হওয়ার চেয়ে মানুষের জন্য ভালো কিছু লিখতে হবে। সবার জন্য শুভ কামনা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা