২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাহিত্য কবিতাবলী

-

শাহাজাদা বসুনিয়া
বায়স্কোপে মহাকাল

হে জীবন, তুমি কেন এত সুন্দর?
রঙধনুর মতো রঙিন-রঙ ছড়ায় পলকে পরতে
কিশোর-শৈশব মেঘহীন-মুক্ত আকাশের মতো
ময়ূরপঙ্খিতে নীলাকাশ ছোঁয়া
সব কিছু বেদনাবিহীন দুরন্তপনা।
আহ! কী আনন্দ, কী মজা!
হে জীবন, তুমি কেন চঞ্চলা?
দুয়ারে যৌবন দাঁড়িয়ে থাকে
প্রবেশ করে দুয়ারে উন্মত্ততা
যৌবন যারÑ সেই তো সবল
মানে না বাধা, বিশাল সমুদ্রও মনে হয় পুকুরসম
যুদ্ধজয়ই যেন ঈপ্সিত লক্ষ্য।
আহ! কী আনন্দ! কী দারুণ উন্মাদনা
হে জীবন, কেন তুমি ফ্যাকাশে?
প্রৌঢ়ত্ব আমার অহঙ্কার
কর্মহীন অলসপ্রহরে মহাকালে হাঁটি
আদিকালে চর্যাপদ মাত্রাবৃত্তে ছিলো
শাস্ত্রী পুঁথি সাহিত্যের খোঁজে হরপ্রসাদ নেপালে
চর্যাপদের মহিলা কবি কুক্কুরীপা
অতঃপর তমাসার যুগে জেগে থাকে
শূন্যপুরাণ ও শুভোদয়া
নেপালের পুরান রাজধানী ভক্তপুরে
মূর্তিমান দাঁড়িয়ে থাকা সর্পরাজের সামনে
ভক্তরা মাথানত রাখে
মধ্যযুগের শ্রীকৃষ্ণ-কীর্তন আর মনসামঙ্গল
অতঃপর প্রৌঢ়ত্ব মুখরিত হয় আধুনিকতায়
আহ! কী আনন্দ! কী মজা!
প্রৌঢ়ত্বে সুপ্ত থাকে জীবনের সব উৎসব
কিশোর-শৈশব-যৌবন-প্রৌঢ়ত্ব
মানেই জীবনের পুরান-মধ্য-আধুনিকতা
সব কলরব থেমে যায় একদা নিশ্চুপ প্রহরে
মৃত্যু, সমাপনী অনিবার্য সত্যÑ
থাকে মহাকালে বিধৃত।

 

 

শাহানা সিরাজী
ফেরানো যায় না

ভেঙে টুকরো করা যায় গড়া যায় না
শবদেহ সমাহিত হয় ঘরে রাখে না।
তবুও জোনাকির আলোয় পথ খুঁজি
ঝিনুকের যন্ত্রণা না বুঝে মুক্তো বুঝি

হলুদ পাতায় কে আর সাজে বরষায়
ভেসে যায় নির্মল অঝোর ধারায়
আমি অসম্ভব, অবাস্তব, অলীক কিছুক্ষণ
তবুও কী এক অনুরাগে জুড়ায় এ মন!

ভোরের পাখিদের ডাকে ঘুম যায় টুটে
দেখি বর্ণিল আলোচ্ছটায় ঝলসানো ঠোঁটে
অলিখিত দলিলের নির্ভার স্বাক্ষর, ‘তুমি আমার’
প্রিয়তমা, চোখ খোলো এই দিকে উচ্ছল সাগর!
উন্মাদ ঘড়ির কাঁটা টিক টিক টিক চলে
সৌরমণ অহেতুক পুড়ে ছাই ডুবে যাই জলে।

 

 


বোরহান উদ্দিন আহমদ
নিশিদিন মুখোমুখি

গজলের গভীর প্রেম আর বিষণœতার সাথে
তুমি আসো আমার উদয়ের অন্তঃপুরে
বসো মুখোমুখি।
তোমার চোখের গভীর চাওয়ায়
পৃথিবীর সব প্রেম সব বেদনা
আমি দেখি।
আমার হৃদয় সেই কতকাল আগে
তুলে দিয়েছি তোমার হাতে
গোলাপের মতো।
পৃথিবীর সব আনন্দ ভালোবাসায়
আমি পৃথিবীর পথে পথে
তোমাকে খুঁজে বেড়াই।
আমি তো হৃদয় বিছিয়ে রেখেছি
তুমি এসো সখী প্রিয়তমা রাঙ্গা পায়ে।
তোমার মিষ্টি হাসি
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর কবিতা
হৃদয়ের গভীরে যা করেছি পাঠ
আমি লক্ষ কোটি বার।
তুমি আছো যেন নিশিদিন
আমার মুখোমুখি মধুর।

 


মুন্সি আব্দুল কাদির
জীবন নামের গ্রন্থখানা

কত দিন
আর কত রাত
সুখ দুঃখ
মন্দ ভালো
আসে সন্ধ্যা হাসে প্রাত।
জীবন গ্রন্থের সকল পাতা
উল্টে দেখা বিষয় দায়
কিছু স্মৃতি
কিছু প্রীতি
সামনে এসে ঠায় দাঁড়ায়।

 


মো. আবদুল কুদদূস
ছায়াছন্দ

আমার সবুজ ঘাসফুল ফুটবে ভোরে
ভাত শালিক সব কিচিরমিচির ডাকবে,
আমার সকাল বেলার নীহার বিন্দু
শুকিয়ে গিয়ে রবীর কিরণ মাখবে।
আমার ছায়াছন্দ-হাসনাহেনা
ঝরে গিয়ে শুধবে দেনা,
বনফুলের ঘ্রাণ আমারে
পাগল করে রাখবে।

আমার বাংলাদেশের-মুক্তাকাশে
কোটি তারকা বেড়ায় ভেসে,
আমার সাগর পাড়ে গাঙচিল উড়ে
লাল কাঁকড়ার দল দূর চড়ে হাসে।
আমার ভৈরবী সুর-পূরবী রাগ -
কোমল কঠোর রাগ-অনুরাগ,
মায়ের মুখের মিষ্টি হাসি -
দেশমাতার মান রাখবে।

 

 

সাহিদা আক্তার
তবুও ভালো

এক খণ্ড কালো মেঘ হয়তোবা
আকাশে থেকে যাবে চিরদিন
এক ঝাঁক বুঁনোহাস হয়তোবা
বাসা বাঁধবে নদীর কিনারেই।
এক ঝলক মৃদু হাওয়া হয়তোবা
বুকের মায়ায় বয়ে যাবে ক্লান্তিহীন
একদল শ্যামলিমা হয়তোবা
সৌন্দর্য ছড়াবে দিগন্ত জুড়ে
তোমার মাঝে শুধু আমি নেই
তবুও তুমি ভাল থাকবেই তো

হাজার কথার ফুলঝুরিতে হয়তোবা
দুলবে কত কথামালা
মহাকালের গহীন তলে হয়তোবা
হারাবে কত অভিসারের মধুর স্মৃতি
বিভোর রবে তুমি ভুলবে আমায়
তবুও তোমার ভাল লাগবেই তো।


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার অবৈধ গাড়ি কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগে বিভেদ শরীয়তপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টার আবাদ মিরসরাইয়ে ৩ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আলুতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা ফরিদপুরের পদ্মাপাড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ২৩ এস্কেভেটর ও ৮ ট্রাক ফেলে পালালো বালুদস্যুরা বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা গলাচিপায় নির্বাচনী মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীবকে শোকজ হোসেনপুরে গ্রামের গ্রাহকরা দিনে এক ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না ঈদগাঁওতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ৭ প্রার্থীকে জরিমানা গাজীপুরে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন

সকল