২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
শ্রুতি ও স্মৃতির সোনালি শিখা

যেমন দেখেছি তাঁকে

-

আটত্রিশ.

২০০৬ সাল থেকে আল মাহমুদের লেখালেখির নতুন অধ্যায় শুরু। যেহেতু নিজ হাতে লেখার সুযোগ সঙ্কীর্ণ হয়ে গেল। হাত সচল থাকলেও চোখের আলো আর সচল থাকেনি। নিজে লেখার অবকাশও ছিল না তাই। ফলে শুধু লেখালেখি নয়Ñ বিচরণক্ষেত্রও সীমিত হয়ে গেল। একা চলাফেরা করা প্রায় অসম্ভব হলো। কোথাও যাওয়া, কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ অন্যের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হচ্ছিল না। বাসা থেকে বের হলেই কেউ না কেউ সাথে থাকতে হয়। নিয়ে যেতে হয় সাথে করে। আবার পৌঁছে দিতে হয়। এ সময়টা ভীষণ কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করেছেন।
একজন বিচরণশীল কবি তিনি। হঠাৎ তার বিচরণব্যবস্থা একেবারে ক্ষীণ হয়ে উঠল। স্বাভাবিকভাবেই তিনি কিছুটা ভেঙে পড়লেন। মনোবেদনায় ভুগছিলেন। তবে এ বেদনাও সহসা কাটিয়ে উঠলেন তিনি। কাটিয়ে উঠলেন নানান উৎসাহ-উদ্দীপনা আয়োজনের মাধ্যমে। আমরা বিভিন্নভাবে সাহস দেয়ার চেষ্টা করেছি। সাহিত্যানুষ্ঠান, কবিতার আসর এবং নানা জাতীয় আয়োজনে অংশগ্রহণ করানোর বিষয়ে আমরা সাহায্য করেছি। বিশেষ করে অনুষ্ঠান আয়োজক যারা তাঁকে দাওয়াত দিতে এলেই শর্ত ছিল, একজন লোক দিয়ে আনা-নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই হতো। আয়োজক কর্তৃপক্ষই লোক দিয়ে অনুষ্ঠানে নিয়ে আসা এবং অনুষ্ঠান শেষে বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করত। যে কারণে অন্তত অনুষ্ঠানে যাওয়া-আসার বিষয়টি বন্ধ হয়ে যায়নি। এতে তিনি একদম ঘরে বন্দী থাকার কষ্ট থেকে বেঁচে গেলেন। বেঁচে গেলেন চোখ হারানোর হতাশা থেকে। তবে ঢাকার বাইরে কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ একেবারেই কমে গেল। বিশেষ অনুষ্ঠানে এবং সেখানেও বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে অংশ নিতেন। অনুষ্ঠানকারীদের থাকত তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। আসা-যাওয়া তো বটেই। খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও ছিল অন্য রকম। একজন বয়সী কবির জন্য যে ধরনের খাবার উপযোগী, তেমন সঙ্কুলানই করতে হতো। এভাবেই চলছিল অনুষ্ঠান এবং আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণ।
লেখালেখির বিষয়টি ডিকটেশনেই। আত্মজীবনীÑ বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ প্রতি সপ্তাহে ছাপা হচ্ছিল নয়া দিগন্তের সাহিত্য পাতায়। লেখাটির জন্য সপ্তাহে দুই দিন বসতে হতো তাঁর সাথে।
আল মাহমুদের বাসা তখন গুলশান-১ এ। আমার বাসা শান্তিনগর। অফিস আরামবাগের কাছেই। নটর ডেম কলেজের উল্টো দিকে। অফিস করে ৪টার দিকে বেরিয়ে যেতাম গুলশানের উদ্দেশে। পৌঁছতে ঘণ্টাখানেক লেগেই যেত। আল মাহমুদের বাসায় পৌঁছানোর একটু পরই চা নাশতা এসে যেত। দু’জন চা খেতাম আর নানান বিষয়ে গল্পস্বল্প চলত। উঠে আসতো সাহিত্যপাড়ার খবরাখবর। উদগ্রীব থাকতেন তিনি সাহিত্যের নতুন কি ঘটল জানার জন্য। কোন পত্রিকায় কী লেখা হলো। কী ছাপা হলো। কে লিখলেন। কোথায় লিখলেন। পরিচিত লেখক। খ্যাতিমান লেখক ও তরুণ লেখক সবার লেখা নিয়েই হতো আলোচনা। যেহেতু আল মাহমুদ পড়তে অক্ষম ছিলেন। ফলে আমাকেই পড়ে শোনাতে হতো। শোনাতাম আমি। এতে একসাথে দুটো কাজ হতো। আল মাহমুদ শুনতেন আর আমার পাঠও হয়ে যেত। পাঠ করতে ভালোই লাগত আমার। অবশ্যই সব লেখা পড়ার দরকার হতো না। সব লেখা পাঠযোগ্যও হতো না। হয় না। পাঠের যোগ্য হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি লেখা যথার্থ হওয়া। পড়তে ভালো লাগা কিংবা পড়তে শুরু করলে যদি সামনে এগিয়ে যেতে ইচ্ছে করে তবেই তো পাঠ করা যায়। পাঠ করে তৃপ্তি পাওয়া যায়। লেখা পাঠ করে তৃপ্তি না জাগলে সেই লেখা পাঠ করা যায় না। পাঠ করার আনন্দও থাকে না। পাঠের আনন্দ না থাকলে সে লেখা কেউ পাঠ করে না। আমি পাঠ করতাম তেমন লেখাই। তিনিও প্রথম লেখকের নাম শুনতেন। তারপর লেখার শিরোনাম। এ দুটো মিলে গেলে কথাই নেই। শুনতেনই। কখনো কখনো লেখকের নাম পছন্দ কিন্তু লেখার শিরোনাম শুনে প্রয়োজন হতো না পাঠের। আবার অনেক সময় লেখক যে-ই হোক শিরোনাম বা বিষয়ের কারণে শুনতে চাইতেন। এভাবে আল মাহমুদ নিজেকে সমৃদ্ধ করার লোয়াজিমায় তাজা রেখেছিলেন। খোঁজখবরে নিজেকে সময় উপযোগী রেখেছিলেন। নতুন লেখিয়েদের প্রতি তাঁর ছিল আলাদা আকর্ষণ। অবশ্য নতুন বলতে যারা নতুন কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের। নতুন দৃষ্টিতে উপস্থাপন করছে এমন। বিশেষ করে কবিতায় নতুন চিত্রকল্প উপস্থাপন করছে। নতুন উপমা হাজির করছেÑ এমন তরুণদের লেখার প্রতি ছিল তাঁর প্রবল আকর্ষণ। কান খাড়া করে শুনতেন। মনোযোগ দিতেন খুব। এর কারণ অবশ্য ছিল। তিনি একটি কথা বারবার বলতেনÑ কবিতা তারুণ্যের মুখাপেক্ষী। বলতেনÑ তারুণ্যের হাতে কবিতা নতুন প্রাণ পেয়ে থাকে। বর্ষার নদীর মতো তারুণ্যই বদলে দেয় কবিতার ধারা। তবে তরুণ বলতে তরুণ নয় কিন্তু। তারুণ্য শব্দটি কম বয়সের সাথে যুক্ত নয়। তবে বয়সে তরুণ হলে তার তারুণ্যের দ্বীপ্তি থাকে প্রখর। এভাবে গল্পের পর গল্প। আর পাঠের পর পাঠ। এবং পাঠ শেষে পর্যালোচনার তুমুল ধারা। সময় যেতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। জীবন সম্পর্কে, জগৎ সম্পর্কে তাঁর অনেক ধারণারও বদল হতে থাকে। চর্মচোখ যেহেতু নিভে এলো। অন্তর চোখ খুলে গেল তারই পরিপ্রেক্ষিতে। অন্তর চোখের ক্ষমতা চর্মচোখের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিধর।
অনেক বেশি স্পর্শকাতর এবং অনেক বেশি অনুভূতিপ্রবণ। তিনি তাঁর এই ভেতর অনুভূতির তীক্ষèতায় ডিকটেশনে লেখা এগিয়ে নিতে থাকলেন। বিভিন্ন আলোচনা শেষে শুরু হতো ডিকটেশন। এভাবে আমরা প্রবেশ করতাম লেখার জগতে।
ডিকটেশনে লেখার ধরনটি ছিল এমনÑ আগের লেখাটি পড়ে শোনাতে হতো তাঁকে। মন ঢেলে কান খাড়া করে শুনতেন তিনি। শুনতে শুনতে মাঝে মাঝে ফুঁপিয়ে উঠতেন। দু’চোখে ঝরত অশ্রুধারা। কখনো কখনো ডুকরে উঠতেন। এভাবে আগের লেখাটি শোনা শেষ হলেই সাথে সাথে বলতেন লেখো। এই বলে শুরু করতেন তিনি। বলতেন যখন বলতেনÑ মনে হতো তিনি অন্য কোনো জগৎ থেকে বলছেন। যে জগৎ আমাদের পরিচিত জগৎ নয়। মনে হতো তিনি তাঁর পক্ষে নির্মাণ করে নিয়েছিলেন আরেকটি জগৎ। এক ধরনের ধ্যানী তিনি। ধ্যানের গভীরতা থেকে স্মৃতির প্রাচুর্য খুঁজতেন। কিন্তু খোঁজার সময় বেশি নিতেন না অথবা বেশি সময় দেয়ার প্রয়োজন হতো না। অবলীলায় তাঁর স্মৃতি তাঁকে সাহায্য করেছে। স্মৃতিরা ভাষার আনন্দে লাফিয়ে উঠছে তাঁর কণ্ঠে। অনর্গল বলে যেতেন। বলতেন নান্দনিক বাক্যের মোড়কে। যেখানে যে শব্দ কাক্সিক্ষত। যেখানে যেটি প্রযোজ্য ঠিক তাই উচ্চারণ করতেন। বলার ধারাবাহিকতা ছিল যথার্থ। থামতেন বাক্য শেষ করে। খুব কমই থমকাতেন। বলতে বলতে থেমে যাওয়া। তার পর অনেকক্ষণ ভেবে বলা এমন হতোই না। মাঝে মধ্যে খানিকটা দম নিতেন। দম নিয়ে আবার শুরু হতো বলা। যতদূর বলতেন কোথাও রিপিট করতেন না। ঘটনাপরম্পরা রক্ষা করতেন। অনেক কাহিনী, ঘটে যাওয়া অনেক গল্প এবং গল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট চরিত্র বর্ণনা করতেন। ঘটনাবহুল একটি দীর্ঘ জীবনের কাহিনী নির্মাণ করা খুব সহজ বিষয় ছিল না। এমন কঠিন বিষয়কে বেশ সহজেই তিনি উদ্ধার করেছেন। তিনি যেভাবে বলতেন, শুনে কিছুটা অবাক হতে হতো। মনে হতো স্ক্রিপ্ট দেখে বলছেন। কোনো লিখিত পাণ্ডুলিপি পাঠের মতো বলতেন। অথচ তিনি তো বলতেন স্মৃতি থেকে। ভাবতাম, কী করে সম্ভব? জবাবটিও মিলেছে। সত্যি কথা তিনিও দেখেই বলতেন। কিন্তু দেখতেন তাঁর স্মৃতির আয়নায়। অন্তত আমার মনে হয়েছে এমন। মনে হয়েছে কোনো একটি ঘটনা তিনি বলছেন তাঁর স্মৃতি থেকে। সে ঘটনাটি স্মৃতির পৃষ্ঠায় তুলে নিতেন তিনি। তার পর মনচোখ তাকে দেখত এবং মনচোখে দেখেই বলতেন তিনি।
আরো একটি বিষয় আমার অনুভূতির শিখায় জ্বলছে। এটি জন্ম নিয়েছে দীর্ঘ দিন পর্যবেক্ষণের পর। তিনি যে সময়ের ঘটনা বলতেন, ঠিক ফিরে যেতেন সেই স্থান, সেই সময়ে। সেই ফেলে আসা পথের বাঁকে ফিরতেন তিনি। সেটি হোক কৈশোর যৌবন অথবা বার্ধক্যের। সব ঘটনার সাথেই তাঁর মন উড়ে যেত সেখানে। একেবারে চাক্ষুষ করে তোলার মতো তিনি বলতেন। বলেছেন ঘটনার খুঁটিনাটি। ব্যক্তি সংশ্লিষ্টতায় ব্যক্তির নাম। স্থান-সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানের নাম এবং সংঘটিত অবস্থার নাম উল্লেখ করেই বলেছেন। কিছুটা বিস্ময় জাগে বৈকি। বৃদ্ধ বয়সে সাধারণত স্মৃতি দুর্বল হয়ে ওঠে। স্মৃতিমন কুয়াশাক্রান্ত হয়ে ওঠে। ক্ষীণ হয়ে যায় স্মরণের দ্বার। আল মাহমুদের ক্ষেত্রে বিষয়টি উল্টো। যেন আরো স্মৃতিধর হয়েছিলেন তিনি। গোটা একটি জীবন যা কবিতার জন্য অকাতর খরচ করে দিলেন। সেই জীবন তিনি স্মৃতির আয়নায় তুলে ভাষা দিলেন তাকে। দিলেন পাঠকের জন্য আনন্দায়োজন করে। পাঠক লুফে নিলো তার স্মৃতি থেকে জেগে ওঠা জীবনকথার কাহিনী। স্মৃতিকথা যারা লেখেন। তারা অনেক তথ্য-তত্ত্ব হাজির রাখেন। ডায়েরি রাখেন। ডায়েরির নোট দেখে ঘটনার দিন-তারিখ বর্ণনা করেন। পত্রপত্রিকার সাহায্য গ্রহণ করেন। বন্ধুবান্ধবের সহযোগিতা নেন। এমনকি বইপুস্তকের কাছে ধার করতেও দ্বিধা করেন না। আল মাহমুদ? শুধু স্মৃতির কাছ থেকে ঋণ করেছেন। ধার নিয়েছেন অভিজ্ঞতা থেকে।
বিকেলবেলা করেই যেতাম তাঁর বাসায়। এ সময়টা ভীষণ আনন্দের ছিল আমার। আল মাহমুদেরও। আমাকে পেলে তিনি শিশুর মতো সরল হয়ে উঠতেন। মনখুলে হাসির আনন্দ ছিল তাঁর। হাসলে গোটা শরীর দুলে উঠত। বিকেলেই আমি পৌঁছে যেতাম বাসায়। ফিরতে খানিকটা রাতের অংশ পেরিয়ে যেত। তবুও কথা শেষ হতো না আমাদের। কথার রাজ্যে এত আনন্দ কে জানত। কথা মানে শুধু কথা নয়। কথা জ্ঞানেরই এক এক অধ্যায়। জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে বসতেন তিনি। বলতেন একটির পর একটি।
একদিন বিকেলে পৌঁছলাম তাঁর বাসায়। কলিংবেল চাপলাম। কাজের মেয়েটি সাধারণত দরজা খুলে দেয়। আজ দরজা খুললেন ভাবী সৈয়দা নাদিরা মাহমুদ। বললেন আসুন। যান ড্রয়িংরুমেই আছে। ঢুকেই আমার মনে হলো বাসার পরিবেশটি আর দশটি দিনের থেকে খানিকটা আলাদা। আমি ড্রয়িংরুমের থাই দরজা ঠেলে ঢুকলাম। ঢুকেই দেখি রাহমান ভাই। অর্থাৎ কবি শামসুর রাহমান। ড্রয়িংরুমের দক্ষিণ পাশের জানালায় দু’জন পাশাপাশি অথচ মুখোমুখি বসা। বেশ অন্তরঙ্গ পরিবেশ।
সালাম দিলাম আমি। রাহমান ভাই তাঁর স্বভাবসুলভ হাসিটি টেনে বললেনÑ তুমি একটি অসাধ্য কাজ করিয়ে নিচ্ছো আল মাহমুদকে দিয়ে। এমন কাজ সাধারণত কবিদের ভাগ্যে জোটে না। অন্তত আমার জানা নেই কোনো কবি ডিকটেশন দিয়ে আত্মজীবনী লিখেছেন।
বললামÑ দোয়া করবেন রাহমান ভাই। লেখাটি যেন শেষ পর্যন্ত টেনে নেয়া যায়।
তিনি বললেনÑ আল মাহমুদ তোমার প্রতি যে মুগ্ধতা দেখাল, তাই দোয়া। বসে বসে তোমার প্রশংসাই তো শুনেছি এতক্ষণ।
আমি খানিকটা লজ্জা পেলাম। কিন্তু আনন্দটা এত বেশি জাগলÑ আমার বুক ঠেলে ওপরে উঠে আসার উপক্রম হলো। পাশের একটি সোফায় বসলাম আমি। বললেন রাহমান ভাই, তোমার কষ্ট হলেও লেখাটি তুলে নিও।
আবেগাপ্লুত হলাম আমি। বললামÑ তাই হবে ইনশা আল্লাহ।
অল্পক্ষণের মধ্যেই বিদায় নিলেন রাহমান ভাই। তাঁর শারীরিক অবস্থাও তখন বেশ খারাপের দিকে। তবু আল মাহমুদকে দেখতে এলেন কষ্ট করে। রোগ-শোক যেমনি হোক রাহমান ভাইয়ের হাসিটি অমলিন ছিল। বিদায় নিলেন রাহমান ভাই। লিফটে তাঁর সাথে মাহমুদ ভাইও নামলেন। সাথে আমি। গাড়িতে উঠলেন রাহমান ভাই। উঠে হাতটি বাড়িয়ে দিলেন মাহমুদ ভাইয়ের দিকে। বললেনÑ আল মাহমুদ দোয়া করবেন আমাকে। আমার শরীরটি ভালো যাচ্ছে না মোটেই।
মাহমুদ ভাই বললেনÑ দোয়া করি আপনার জন্য। দু’জন দু’জনের হাত ছেড়ে দিলেন। গাড়ির কাচ উঠে গেল। ছুটে চলল গাড়িটি। মাহমুদ ভাই ও আমি দু’জনেই চেয়ে রইলাম গাড়ির দিকে। [চলবে]


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি!

সকল