২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাহিত্য সম্প্রীতি ও সুষম-সুন্দর

-

পরিচিত একটি কথা হচ্ছে, সাহিত্য সমাজের দর্পণস্বরূপ। অর্থাৎ সাহিত্য নামক আয়নায় সমাজের চিত্ররূপ ফুটে ওঠে। তাই বলে সাহিত্যমাত্রই সমাজ নয়। সাহিত্যের মধ্যে সমাজের একটা সবিশেষ রূপনির্মাণই প্রতিবিম্বিত হয়। এর মধ্যে কিছু শর্তসূত্রও জড়িয়ে আছে। ব্যক্তিবিশেষের মেধা-প্রতিভা, কলাকৌশল, শিল্পসূত্র, স্থানকাল, আবহাওয়া, পরিবেশ-পরিস্থিতি ইত্যাকার অবস্থা নির্ভরশীল। সুতরাং সমাজ বরাবরই ব্যক্তিচরিত্রের অনুসারী। ব্যক্তি সমাজকে গড়ে তোলে আবার সমাজের স্থায়িত্ব এর ওপরই নির্ভর করে থাকে। অতএব ব্যক্তিমানুষের মধ্য দিয়ে আমরা সমাজ, রাষ্ট্র ও জীবনব্যবস্থার সার্বিক চিত্র অবগত হতে পারি। এই ব্যক্তিপুরুষ শিল্পসাহিত্যের প্রতিকৃতি হিসেবে আমাদের কাছে প্রতিভাত। জগতের ইতিহাসে অনুরূপ চরিত্রের বদৌলতে বিশ্বসভ্যতার সুষম-সমাজ গড়ে ওঠে এবং তা টিকেও আছে। কারণ এর মধ্যে একটি শিল্পসৃষ্টি ব্যাপ্ত হয়ে রয়েছে; যা অজর অমর মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত। যুগে যুগে শত সহস্র সভ্যতার পতন ঘটলেও শিল্পসৃষ্টির মাহাত্ম্য ততোধিক উজ্জ্বলতার সাথে টিকে আছে। বহু রাজা, রাজ্য কালের অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছে। কিন্তু শিল্পসাহিত্যের অনুপম-অক্ষয় মাহাত্ম্য মাধুর্য দেদীপ্যমান রয়েছে। আদিকাল থেকেই ইসকাইলাস, হোমার, মিল্টন, শেক্সপীয়র, রুমি, শেখ সাদী, কালিদাস, ভবভূতি, চণ্ডীদাস ভারতচন্দ্র, মুকুন্দরাম, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রমুখ সমানভাবে বিশ্বসমাজে সমাদৃত হয়ে আছেন। এত ভাঙাগড়ার মধ্যেও তাদের শিল্পমাধুর্য এতটুকু পর্যন্ত ম্লান হয়নি। এ অর্থে তারা বিশ্বজনীন-সর্বজনীন মানব পরিবারের সন্তান। জগতের কল্যাণপ্রসূ ভাবভাবনা নিয়েই এদের আবির্ভাব ঘটে। কোনোরকম জাতপাত সম্প্রদায় সীমানা ও ভৌগোলিক অবস্থান এখানে উপেক্ষিত। শুধু মানুষ ও মানবতার সমুন্নত চিন্তাচেতনাই প্রধান ব্রত হিসেবে ক্রিয়াশীল।
পৃথিবীর সব মানুষই এক ও অভিন্ন। বাহ্যিকভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রকমফের আছে। ধর্ম-সংস্কৃতি, আবহ অন্বেষা ও ভৌগোলিক কারণে যদিও কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। সহজাত-প্রকৃতিগত দিক থেকে মানুষ অভিন্ন মৌলিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। দয়া-মায়া, স্নেহ-প্রেম, ঔচিত্য-অপত্য, কামনা-বাসনা, মজ্জাগত প্রত্যহ-ইত্যাকার অনুষঙ্গ মিলিয়ে একটা সুগভীর সাজুজ্য লক্ষণীয়। সাহিত্য ও সাহিত্যিক মূলত অনুরূপ বৈশিষ্ট্যবিভার মহত্তম বলয় ঘিরে পল্লবিত হয়ে থাকে। বিশ্বসাহিত্যের চিরায়ত সাহিত্য সৃষ্টির ভাঁজে ভাঁজে এর সাক্ষ্যপ্রমাণ ছড়িয়ে রয়েছে। পাঠকসাধারণ শত সহস্র বছরব্যাপী এরই অমৃতসুধা আস্বাদন করে আসছে। আলোচ্য সাহিত্য কথিত সমাজব্যবস্থা মানুষের কাক্সিক্ষত স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা দেয়। ফলে এরই একটা মোহনীয় মাধুর্য রূপপ্রকৃতি মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। সুতরাং এর আবেদন বিস্মৃত হওয়া কঠিন। শিল্পের এই সমাজচিত্র মহাকালের অক্ষয়পটে অবলীলাক্রমে জায়গা করে নেয়। যা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রণোদনার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তবেই তো বলা হয়, মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির শিল্পসম্মত প্রকাশই হচ্ছে সাহিত্য। এ এক প্রকার সমন্বয়। এখানে বিশ্বপৃথিবীর যাবতীয় মানবাত্মা নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পায়। এভাবেই সাহিত্য সমাজ ও বিশ্বমানবতা একটা সুষম মেলবন্ধন-সীমানায় এসে উপনীত হয়। এ অর্থে সাহিত্য ও সমাজের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। বরং একে অন্যের সাথে হাত মিলিয়ে সমতালে এগিয়ে চলে।
প্রসঙ্গক্রমে রাজনীতির কথাও অনিবার্যরূপে দেখা দেয়। এর মধ্যে রাজনীতির অবস্থান-অস্তিত্ব বা সান্নিধ্য বৈপরীত্য কোথায়? যুগে যুগে রাজনীতির অবয়ব আকার বা স্বরূপ প্রকৃতি বিবর্তনের পথে এগিয়ে চলে। একসময় ছিল রাজার নীতি রাজনীতি। রাজার একক ইচ্ছা-অনিচ্ছা, সিদ্ধান্ত মন্তব্যের ওপর পুরো রাজনীতি নির্ভরশীল ছিল। ব্যক্তির ওপর অন্য সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকত। এরা সমাজদেহে সামন্তপ্রভু হিসেবে অদ্বিতীয় ক্ষমতা সংরক্ষণ করত। অনেকটা দেবতার মতোই এদের কর্তৃত্ব লক্ষণীয়। পাশাপাশি সমাজের মধ্যেও একটা স্বয়ংস্ক্রিয় জীবনপদ্ধতি গড়ে ওঠে। কে রাজা, কেবা মন্ত্রী অথবা কি তার বিধিবিধানÑ এসবের কোনো বালাই নেই। তারা রাজার ওপর নির্ভরশীল নয়। বরং রাজাই এই প্রজাসাধারণের ওপর নির্ভরশীল। কৃষিপ্রধান সমাজে সব কিছুই নিজের আওতাধীন উৎপাদন সম্ভব হতো। যাবতীয় প্রয়োজন মিটিয়ে তারা একটা স্বচ্ছন্দ-মুখর জীবনযাপন উদযাপন করত। অনুরূপ সমাজে শিল্প-সাহিত্যের চর্চা একটা স্বতঃস্ফূর্ত প্রণোদনায় সম্পন্ন হয়ে থাকে। সাহিত্যের প্রধানতম অলঙ্কার হচ্ছে প্রকৃতিপ্রাণতা; যা এ সময়কার সাহিত্যে নিবিড়ভাবে অঙ্গভূষণ হয়ে আছে। এর মধ্যে প্রকৃত সৃষ্টির এক শাশ্বত মহিমা লক্ষণীয় মাত্রায় ফুটে ওঠে। যা মহাকালের ভ্রƒকুটি মাড়িয়ে যুগ যুগান্তর মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত। আর সব কিছু বাদ দিয়ে আমাদের প্রাচীন সাহিত্য সৃষ্টির দিকে তাকালে অনুরূপ সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। বেদ-উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত, মেঘদূত সকুন্তলা, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-প্রণয়োপাখ্যান, পদাবলী-কাহিনীকাব্য-ইত্যাকার সাহিত্যের ভাঁজে ভাঁজে একটা স্বতোৎসারিত ভাবানুভব লুকিয়ে আছে।
তার পরে এলো আধুনিক যুগের সর্বপ্লাবী জয়জয়কার। ফরাসি বিপ্লবের অগ্নিগর্ভ মাদকতা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যক্তিচরিত্রের সমূহ সম্ভাবনার দ্বার উদঘাটিত হতে থাকে। প্রতিটি মানুষ একক অদ্বিতীয় ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকারী হয়। এর ফলে গণতন্ত্র, পুঁজিবাদ, মূল্যবোধ, ইতিহাসবোধ, ঐতিহ্য চেতনা, নারী স্বাধীনতা, বিশ্বায়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার প্রভৃতি অনুষঙ্গ যুক্ত হতে থাকে। এর ফলে রাজনীতি পুরোপুরিভাবে জনগণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। গণতন্ত্রের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিটি মানুষই রাজনীতি-সচেতন ও রাজনীতি-নির্ভর হয়ে পড়ে। আমরা বরাবরই জানি, মানুষ হচ্ছে সামাজিক জীব। কিন্তু এ যুগে মানুষ পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক জীব হিসেবে প্রতিভাত হয়। বিশ্বায়ন-সুবাদে মানুষের প্রতিটি কর্মকাণ্ড প্রতি মুহূর্তে রাজনীতির প্রভাব-বলয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, রাজনীতি-সর্বস্ব এই সমাজের সাহিত্য চর্চার ধারাপ্রকৃতি কী? রাজনীতি ও রাজানুকূল্য অবশ্য যুগে যুগে অনেক সাহিত্য সৃষ্টির পৃষ্ঠপোষকতা দান করেছে। বিশ্বের অনেক মহান সাহিত্যের ফসল রাজানুগ্রহের মহিমায় প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এর ভূরি ভূরি প্রমাণ উদ্ধৃত করা সম্ভব। বিশেষত, মধ্যযুগের বহু সুবিখ্যাত কাব্যসৃষ্টির পেছনে অনুরূপ প্রণোদনা লক্ষণীয়। যা কাব্যরচনার ভূমিকায় কবিরা অত্যন্ত সশ্রদ্ধচিত্তে উল্লেখ করেছেন। এ আজ ঐতিহাসিকভাবেই সত্যতা অর্জন করেছে। তবে ক্ষেত্রভেদে রাজনৈতিক প্রভাব শিল্পসাহিত্যের জন্য মারাত্মক প্রতিবন্ধক হিসেবে পথ আগলে দাঁড়িয়েছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সাহিত্যবিষয়ক চর্চা মুখ থুবড়ে পড়ে। একটা অতলস্পর্শ অমানিশার অন্ধকার এসে সবকিছু ঢেকে দেয়। প্রগতিপথের সব সম্ভাবনা বিপর্যস্ত হতে থাকে। মানবসভ্যতার আলোকিত পথ অন্ধকারে ঢেকে যায়। আবার কখনোবা সাহিত্য প্রবৃত্তি রাজনীতির দাসানুদাস অনুচর হিসেবে দেখা দেয়। এ এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বটে। স্বৈরাচারী রাজন্যবর্গ শিল্পসাহিত্যের ধারাপরম্পরাকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে থাকে। স্বার্থের হাতিয়ার হিসেবে তা প্রয়োগ করতে উদ্যত হয়। ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার অশুভ মানসে আত্মপ্রচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এতে কিছু সুবিধাবাদী ভঙধরা সাহিত্যিক চাটুকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। আত্মপদার্থহীন জ্বি হুজুরের দল দিনরাত পরানুগ্রহ বন্দনায় লেখালেখি কর্মে উৎসাহী হয়ে ওঠে। কিছু ফন্দিফিকিরের ভয়ঙ্কর ফেরেববাজি এদের পেয়ে বসে। মেরুদণ্ডহীন অপ্রতিভ চিন্তাচেতনায় সবসময় কিছু আত্মবিকৃত রচনাকর্ম অব্যাহত থাকে। এতে প্রকৃত শিল্পসাহিত্য ও সাহিত্যিক অনেকটা ছিটকে পড়ে। পৃষ্ঠপোষকতা ও আনুকূল্যহীন অবস্থায় পড়ে দিন দিন নিঃশেষিত হতে থাকেন। অনেক আবার অভিমানহত আত্মসংবৃত অবস্থায় নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করে চলে। ফলে প্রকৃত শিল্প-সাহিত্যের ধারা ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে পড়ে। কারণ, প্রকৃত সৃজনসত্তা কখনো আত্মপদার্থ বিকিয়ে পরানুগ্রহ পাওয়ার জন্য লালায়িত নয়। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ হচ্ছে শিল্প-সাহিত্যের প্রথম ও প্রধানতম শর্ত। তারা হলেন প্রকৃত জাতিসত্তার যথার্থ প্রতিভূ। যেকোনো রকম প্রভাব প্রচ্ছায়া এপথ থেকে তাদের বিচ্যুত করতে পারে না। সত্যের সারথীরূপে উৎসর্গীকৃত এ প্রাণ কখনো মাথা নোয়াবার নয়। রাজা, রাজ্য, রাজশক্তি অথবা অন্য কোনো কিছুর বিনিময়ে সৃষ্টিসত্য টলায়মান নয়। কারণ, সৃষ্টিসত্য স্বয়ং আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত। তা কখনো রাজা অথবা রাজনীতির ক্ষুদ্র স্বার্থে ব্যবহৃত হতে পারে না। প্রসঙ্গক্রমে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কিছু অমোঘবাণী উদ্ধৃত করা যেতে পারে। তিনি রাজবন্দীর জবানবন্দী প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাজার পেছনে ক্ষুদ্র, আমার পেছনে রুদ্র। রাজার পক্ষে যিনি, তাঁর লক্ষ্য স্বার্থ, লাভ অর্থ; আমার পক্ষে যিনি তার লক্ষ্য সত্য, লাভ পরমানন্দ। রাজার বাণী বুদ্বুদ, আমার বাণী সীমাহারা সমুদ্র। আমি কবি অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত। কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন। আমার বাণী সত্যের প্রকাশিকা, ভগবানের বাণী। যে বাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে। কিন্তু ন্যায়বিচারে সে বাণী ন্যায়দ্রোহী নয়, সত্য-দ্রোহী নয়। যে বাণী রাজদ্বারে দণ্ডিত হতে পারে, কিন্তু ধর্মের আলোকে ন্যায়ের দুয়ারে তাহা নিরপরাধ, নিষ্কলুষ, অম্লান, অনির্বাণ, সত্যস্বরূপ।
নজরুলের এই বক্তব্যের আলোকে রাজনীতি সৃষ্টিসত্যের একটা তুলনামূলক ধারণা লক্ষণীয়। এতে রাজনীতির অন্তঃসারশূন্য কদর্য কুৎসিত রূপপ্রকৃতিও প্রকটিত হয়ে ওঠে। যুগে যুগে অনুরূপ ধারা পরম্পরা দেশে দেশে অব্যাহত রয়েছে।
এতে শিল্পসত্যের সাথে রাজনীতির একটা প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব সঙ্ঘাত দানা বেঁধে ওঠে। এ অবস্থায় শাসকের রক্তচক্ষু থেকে নজরুলও রেহাই পাননি। তাকে জেলজুলুম নিপীড়ন, নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি কখনো কোনো অবস্থায়ই আপস করেননি। এর ফলেই তার সাহিত্য সৃষ্টি চিরায়ত কালধারায় অক্ষয় তিলকরূপে দৈদীপ্যমান রয়েছে। এ অর্থে নজরুল বিশ্বসাহিত্য সভায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তরূপে প্রতিভাত। এক অনুকরণীয় আদর্শিক কবিসত্তা হিসেবে সর্বজনীন আবেদন সৃষ্টি করতে সক্ষম।
এ অবস্থায় স্থানবিশেষে সাহিত্যের রাজনীতিকীকরণ অতীব দুর্ভাগ্যজনক। সাহিত্যের নান্দনিক বোধবুদ্ধির ওপর রাজনীতির, নগ্ন থাবায় দেশ জাতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মানব সভ্যতার জন্য এ এক অশনি সঙ্কেত। ক্ষমতার অন্ধ মোহমত্ততার কবলে পড়ে জাতিগত অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তে বাধ্য। এর ফলে বরং রাজনীতিকেই সাহিত্যের আদর্শ-অনুযায়ী সুসংহত হওয়া জরুরি। এতে অন্তত একটা মানবিক বিশ্বসমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। যা সৌহার্দ সম্প্রীতি ও সুষম-সুন্দর পৃথিবীতে উত্তরণ ঘটতে পারে। তা না হলে এই বিশ্বায়নের যুগে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা মোটেই সম্ভবপর নয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি : মিশা সভাপতি, ডিপজল সম্পাদক ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল