২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মোবারক হোসেন খান তাঁর সাহিত্য ও সঙ্গীতকৃতী

-

আমাদের সাহিত্য ও সঙ্গীতাঙ্গনের একজন উজ্জ্বল পুরুষ ছিলেন মোবারক হোসেন খান। তার কত পরিচয়, কোনটা রেখে কোনটা বলি, কোনটা দিয়ে শুরু করি। তিনি গত শনিবার এ নশ্বর পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে বিদায় নিয়েছেন। ৮১ বছর বয়সে মৃত্যু পরিণত বয়সই বলতে হবে। তবু মন মানতে চায় না। আর কবি, লেখক, গবেষক, শিল্পীর তো মৃত্যু হয় না। আমাদের সান্ত্বনা এখানেই। তিনি তার লেখার মাঝে, কাজের মাঝে বেঁচে থাকবেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে শেষ সময়টাতে তিনি চলে গিয়েছিলেন পাদপ্রদীপের আড়ালে। তার মৃত্যু এসে জানান দিলো, তিনি আমাদের মাঝে ছিলেন উজ্জ্বল তারকার মতো। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত সাধক ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ছিলেন তার চাচা। বলতেই হয়, তার জন্ম উপমহাদেশের এক বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিবারে। আলাউদ্দীন খাঁর নাম উপমহাদেশ তথা বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তিনি আছেন শ্রদ্ধার আসনে। মোবারক হোসেন খানের বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ সঙ্গীত জগতের আরেক প্রতিভা। তার মায়ের নাম উমর-উন-নেসা খানম। এই পরিবারে গুণী সঙ্গীতপ্রতিভা অজস্র। তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইয়াসমিন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী। স্বাধীনতা উত্তরকালে তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত একুশে পদক, ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন এবং ২০০২ সালে সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও আরো কিছু পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন।
২.
মোবারক হোসেন খান ১৯৩৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আগেই বলেছি, তার বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ একজন প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মোবারক সর্বকনিষ্ঠ। তার বড় তিন বোন আম্বিয়া, কোহিনূর ও রাজিয়া এবং বড় দুই ভাই প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ আবেদ হোসেন খান ও বাহাদুর হোসেন খান। এর পরের অনেক শাখা-প্রশাখা সঙ্গীত জগতের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাদের মধ্যে আছেন সঙ্গীতপরিচালক শেখ সাদী খান, ইয়াসিন খান, ওস্তাদ ফুলঝুরি খান ও ইউসুফ খান প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই পরিবারটি আদি থেকেই সঙ্গীতের সাথে যুক্ত। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী তার বড় দুই ভাই সঙ্গীতে মগ্ন। তাই তার বাবা চেয়েছিলেন তিনি যেন সঙ্গীতের পাশাপাশি পড়াশোনা করেন। এ জন্য সঙ্গীতে দীক্ষা গ্রহণের আগে তিনি মাইনর স্কুলে প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ গ্রহণ করেন। দেশ বিভাগের পূর্ব থেকে তার বাবার গান শেখানোর উদ্দেশ্যে কুমিল্লা জেলায় যাতায়াত ছিল এবং ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তারা সপরিবারে সেখানে চলে যান। মোবারক হোসেন কুমিল্লা জিলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৫২ সালে মেট্রিক পাস করেন। পরে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আপন প্রতিভার জোরে তিনি আদায় করে নিয়েছেন নানা বরমাল্য।
৩.
মোবারক হোসেনের কর্মজীবন শুরু হয় বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে ২০ অক্টোবর, ১৯৬২ সালে। পরে তিনি বেতারের মহাপরিচালক হিসেবে দীর্ঘ দিন কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার সঙ্গীত বিষয়ক লেখা প্রকাশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিশিষ্ট শিশুসংগঠক লেখক ও সম্পাদক দেশের সর্ববৃহৎ শিশু সংগঠন কচি কাঁচার মেলার পরিচালক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই। কারণ, গানের বিষয়ে লেখা কেউ প্রকাশের দায়িত্ব নিতে চাননি। এর ফলে এগিয়ে আসেন দাদাভাই। তিনি ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের ফিচার এডিটর। লেখালেখি সূত্রে মোবারক হোসেনের পরিচয় হয় কবি আল মাহমুদের সাথে। আল মাহমুদ তখন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহকারী পরিচালক। তার মাধ্যমে ১৯৮০ সালে শিল্পকলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম সঙ্গীত বিষয়ক বই ‘সঙ্গীত প্রসঙ্গ’। বিভিন্ন পত্রিকায় তার সঙ্গীত বিষয়ক লেখা নিয়ে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় বই ‘বাদ্যযন্ত্র প্রসঙ্গ’। কার্যত এসব বিষয়ে খুব বেশি লেখা এর আগে প্রকাশিত হয়নি। ফলে এগুলো সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর তিনি রচনা করেন ‘সঙ্গীত মালিকা’। এই বইটিও প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে পরবর্তীতে তিনি সঙ্গীত, অনুবাদ সাহিত্য ও শিশুসাহিত্য নিয়ে ৫০টির মতো গ্রন্থ রচনা করেন। এটা একজন লেখকের বড় প্রাপ্তি।
৪.
মোবারক হোসেন খান অনুবাদ ও শিশুসাহিত্য নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি কলামও লিখেছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে সঙ্গীতবিষয়ক গ্রন্থই অধিক। এসব বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘সঙ্গীত প্রসঙ্গ’ ১৯৮০, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি; ‘ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, ১৯৮১, মুক্তধারা, ঢাকা; ‘বাদ্যযন্ত্র প্রসঙ্গ’ ১৯৮২, বাংলা একাডেমি; ‘রাগ সঙ্গীত’ ১৯৮৫, বাংলা একাডেমি; ‘যন্ত্রসাধন’ ১৯৮৬, বাংলা একাডেমি; ‘সঙ্গীত গুণীজন ’১৯৮৬, ঢাকা: মুক্তধারা; ‘ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ ও তার পত্রাবলি’ ১৯৮৬, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি;
‘সঙ্গীত মালিকা’ ১৯৮৭, বাংলা একাডেমি; ‘কণ্ঠসাধন’ ১৯৮৯, বাংলা একাডেমি; ‘মুক্তিযুদ্ধের গান ’১৯৯১, শোভা প্রকাশ; ‘ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ’ ১৯৯৪, আগামী প্রকাশনী; ‘আমি যে বাজিয়ে ছিলেম’ ১৯৯৭, একাডেমিক প্রেস অ্যান্ড পাবলিশার্স লাইব্রেরি; ‘সঙ্গীত দর্পণ ’ ১৯৯৯, বাংলা একাডেমি;
‘উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত’ ১৯৯৯, বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড; ‘গড়লো যারা সুরের তাজমহল’ ১৯৯৯, ঢাকা : মুক্তধারা; ‘সঙ্গীতামৃত’ ২০০১, শোভা প্রকাশ; ‘ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ : জীবন ও সাধনা’ ২০০৩, বাংলা একাডেমি; ‘সঙ্গীতসাধক অভিধান’ ২০০৩, বাংলা একাডেমি; আমার সঙ্গীত স্বজন ২০০৪, মাওলা ব্রাদার্স; গীত মঞ্জুরী ২০০৫, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি; নজরুল সঙ্গীতের বিচিত্র ধারা ২০০৫, নজরুল ইনস্টিটিউট; সুরের স্বরলিপি, মুক্তধারা; সঙ্গীত সন্দর্শন, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ; নজরুল সঙ্গীত প্রসঙ্গ, সুচয়নী পাবলিশার্স ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ সঙ্গীতজ্ঞ, সাহিত্য প্রকাশ। এই বিশাল সৃষ্টিমালা বাংলা ভাষায় তুলনা রহিত। দেখা যাচ্ছে, সঙ্গীতের এমন কোনো শাখা নেই যা নিয়ে তিনি লিখেননি। এগুলো সবই উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। বলতেই হয় তার সঙ্গীতজ্ঞ বাবা তার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
৫. শুধু তা-ই নয়, সঙ্গীত বিষয়ে ইংরেজি ভাষায়ও তিনি লিখেছেন বেশ কয়েকটি বই। এগুলো ভারতের নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত। এসব বইয়ের মাধ্যমে তিনি তার চাচার মতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মেলে ধরেছেন নিজ প্রতিভা। এটা বাংলাদেশের একজন লেখকের সেই সাথে বাংলাদেশেরও বড় প্রাপ্তি। এসব বইয়ের মধ্যে রয়েছে : গঁংরপ ধহফ রঃং ংঃঁফু সঙ্গীত ও এর গবেষণা ১৯৮৮, স্টারলিং পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, নয়াদিল্লি, ওংষধসরপ ঈড়হঃৎরনঁঃরড়হ ঃড় ঝড়ঁঃয অংরধ'ং ঈষধংংরপধষ গঁংরপ দক্ষিণ এশিয়ার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে মুসলমানদের অবদান, ১৯৯২; স্টারলিং পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ঐ; টংঃধফ অষধঁফফরহ কযধহ: ঞযব খবমবহফ রহ গঁংরপ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান : সঙ্গীতের কিংবদন্তি, ২০০২, স্টারলিং পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ঐ। এসব বইও ভারতবর্ষে প্রশংসা পেয়েছে।
৬. শুধু তা-ই নয়, মোবারক হোসেন খান শিশুতোষ গান বিষয়ক বই রচনায় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তার শিশুতোষ সঙ্গীতবিষয়ক গ্রন্থ হচ্ছে : সুর লহরী ১৯৭০, পুনঃমুদ্রণ ১৯৭২, বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড; সুরের রাজা ১৯৭৯, মুক্তধারা; সুর নিয়ে যার খেলা ১৯৮১, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি; ছোটদের আলাউদ্দিন ১৯৮২, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন; সুরেলা টইটম্বুর ১৯৯৯, শোভা প্রকাশ; ছোটদের সারেগামা ও সঙ্গীতবিদ্যা ২০০২, আহমদ পাবলিশিং হাউজ; ছোটদের সঙ্গীত গুণীজন ২০০৪ মাম্মী প্রকাশনী।
তিনি অনুবাদও করেছেন অনেক বই। এগুলোর মধ্যে শিশুতোষ বইও আছে। এর মধ্যে আছে মুক্তধারা প্রকাশিত আইভানহো ১৯৭৮, বাংলা একাডেমি প্রকাশিত নিঃসঙ্গ ১৯৭৯, ক্যাপ্টেন-দুহিতা ১৯৮১, মুক্তধারা; শিকারীর গুহা ১৯৮১, বাংলা একাডেমি; তিন তরঙ্গ ১৯৮৩, বাংলা একাডেমি; আফ্রিকার নির্বাচিত গল্প ১৯৮৫, রূপম প্রকাশনী; পৃথিবীর সেরা গল্প ১৯৮৫, বিউটি বুক হাউজ; নোবেল বিজয়ীদের নির্বাচিত গল্প ১৯৯১, রূপম প্রকাশনী নোবেল পুলিৎজার ও বুকার বিজয়ীদের শ্রেষ্ঠ গল্প, পলল প্রকাশনী; শতাব্দীর সেরা গোয়েন্দা রহস্য, ঝিনুক প্রকাশ। এর মধ্যে আইভানহো ও আফ্রিকার নির্বাচিত গল্প নাম করেছে। আর একান্তভাবে শিশুতোষ বইয়ের মধ্যে রয়েছে : একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা, আহমদ পাবলিশিং হাউজ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, জনতা প্রকাশ, গ্রামীণ গল্প, শিকড়, এশিয়ার লোককাহিনী, অয়ন প্রকাশন, রবিন হুড, প্রকাশ ভবন, সাগরের হাতছানি, প্রকাশ ভবন, জনতা প্রকাশ থেকে প্রকাশিত সিন্ডারেলা, কুমির আর শিয়াল, চরকা বুড়ি, বুদ্ধির জয়, উপকারের ফল ও সততার পুরস্কার। মোবারক হোসেন খানের দুটো উপন্যাসও রয়েছে। এগুলো হলো : হত্যাকারী ১৯৮৫, সেবা প্রকাশনী ও নিহত আগন্তুক ১৯৮৭, অক্ষর প্রকাশনী। আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে জীবন স্মৃতি ১৯৯৮, আগামী প্রকাশনী, আমার যুগ আমার স্মৃতি ১৯৯৯, শোভা প্রকাশ। বলতে নিজস্ব ভাষাগুণ ও কাহিনী বয়নের কারণে এগুলো পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলা সঙ্গীত ও সাহিত্যাঙ্গনে মোবারক হোসেনের নাম লেখা থাকবে সম্মানের সাথে, এ কথা জোর দিয়েই বলা যায়। একজন সঙ্গীত গবেষক ও লেখক হিসেবে তিনি বহুকাল বরিত হবেন। লেখার শেষে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ ভারতের মাঝারি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চেন্নাইকে হারাল লক্ষৌ

সকল