১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিল্পের আধুনিকতা

-

‘আধুনিক’ শব্দটি বহুল ব্যবহৃত ও পরিচিত। কিন্তু তার পরেও এর অর্থ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অভিধানে বলা হয়েছে, আধুনিক অর্থ বর্তমানকালের, হালের, সাম্প্রতিক, নব্য, অধুনাতন প্রভৃতি। অভিধানের এ অভিমত অনেককেই বিভ্রান্ত করে। তারা ভাবেন বর্তমান বা সাম্প্রতিক সময়ই হচ্ছে আধুনিক সময়। আর এই সময়ের কাজই হচ্ছে আধুনিক কাজ। কিন্তু শতবর্ষ আগের কিংবা তারও আগের কাজও যে আধুনিক সে কথা তারা ভাবতে পারেন না। পারেন না কারণ তারা অতীতমুখীই হতে চান না। তারা ভাবেন অতীত তো অতীত। আর অতীত মানেই প্রাচীন। যাকে আধুনিক বলা যায় না। অথচ নিজেদের ভাবনাকে কিছুটা বিস্তৃত করলেই স্পষ্ট হবে যে, সেই প্রাচীনও আধুনিক। অর্থাৎ আজকে যে সময়কে প্রাচীন বলা হচ্ছে প্রকৃত অর্থে সে সময়ও আধুনিক ছিল। কারণ সে সময় যারা অভিধানে আধুনিকের অর্থ খুঁজছে তারাও আজকের মতোই একই অর্থ পেয়েছে। অর্থাৎ পেয়েছে আধুনিক মানে সাম্প্রতিক। এবাবে যত পেছনে যাওয়া যাবে তার প্রত্যেক সময়েই আধুনিকের সন্ধান পাওয়া যাবে। যেমন উলঙ্গ মানুষ যখন লজ্জা নিবারণের জন্য কিংবা শীত নিবারণের জন্য গাছের ছাল পাতা কিংবা পশুর চামড়া ব্যবহার করতে শিখেছিল তাদের জন্য সেই সময়টি ছিল আধুনিক। আর গাছের ছাল, পাতা এবং চামড়াই ছিল আধুনিক পোশাক। সুতরাং এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, আধুনিক শব্দটি মূলত গতি শব্দের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ফলে এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, সভ্যতার প্রতিটা যুগেই আধুনিকতার স্পর্শ লেগেছে। প্রতিটি মুহূর্তকে ছুঁয়ে ছুঁয়েই আধুনিক জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, আধুনিক পূর্বেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। মুক্তমন, উদার নীতি, স্বাধীন শিক্ষা এবং শিল্প সংস্কৃতির গতি ও প্রগতির সাথে যারা যত বেশি একাত্ম হতে পারে তাদের তত বেশি আধুনিক মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। আধুনিকতার যে ব্যাখ্যা অভিধানে পাওয়া যায়, সেই ব্যাখ্যার দৃষ্টিকোণ থেকে গুহা যুগের অশিক্ষিত ও অসভ্য মানুষদের সৃষ্ট শিল্পকর্মকে সেই যুগের জন্য আধুনিক শিল্পকর্ম বলা যেতে পারে। কিন্তু আজকের যুগের তুলনায় সে যুগের শিল্পকর্ম অবশ্যই প্রাচীন শিল্প হিসেবে বিবেচিত হবে। অতীতের শিল্পকর্ম এ জন্যই একই সাথে প্রাচীন এবং আধুনিক।
শিল্পের ইতিহাসে শিল্পকলার সময়কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমনÑ ১. ইতিহাসের আগের যুগ, অর্থাৎ প্রাগৈতিহাসিক যুগ এবং ২. ইতিহাসের যুগ বা ঐতিহাসিক যুগ। এই হিসাব অনুযায়ী খ্রিষ্টের জন্মের চার হাজার বছর আগের যুগকে প্রাগৈতিহাসিক এবং পরের অর্থাৎ ৪ঃয সরষষবহহরঁস ই.ঈ. থেকে এর পরের যুগকে বলা হয় ঐতিহাসিক যুগ। এই হিসাব অনুসারে ইতিহাসের যাত্রা শুরু। ৪ঃয সরষষবহহরঁস ই.ঈ. থেকে অর্থাৎ যখন থেকে লিখন পদ্ধতির শুরু তখন থেকে ইতিহাসেরও শুরু। এ জন্য সাংকেতিক লিখন বা চৎড়ঃড়-ডৎরঃরহম এর সময়কে ইতিহাসের জন্ম গণ্য করা হয়। কিন্তু লিখন পদ্ধতির শুরু এবং শুরুর স্থান নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। অনেকে মনে করেন তাম্রযুগে প্রথম লিখন পদ্ধতির শুরু। কেউ কেউ মনে করেন যে, মিসর এবং সুমেরুর স্ক্রিপ্ট বা লিখন রূপের প্রতীক এবং হাইয়ারো গ্লিফিকের ১০০টি চিত্রসদৃশ্য প্রতীক গঠনের মাধ্যমে লিখন পদ্ধতি স্পষ্টরূপ ধারণ করে। লিখন পদ্ধতির শুরু যেখানেই হোক কিংবা যেভাবেই হোক না কেন প্রকৃত অর্থে লিখন প্রক্রিয়া শুরুর সময় থেকেই ইতিহাসের সময় গণনার শুরু। এই ইতিহাস অর্ধ অতীত কথা, প্রাচীন কাহিনী, ইতিকথা, যে কথা বা কাহিনী হবে অবশ্যই সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত। অন্যথায় ইতিহাস হবে বিকৃত। মানুষকে করবে বিভ্রান্ত। সঠিক তথ্য থেকে মানুষ হবে বঞ্চিত। যে ইতিহাসের কথা জানা গেল সেই ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী মডার্ন আর্ট বা আধুনিক শিল্পের জন্ম ১৮৬০ সালে। এই মডার্ন আর্ট অত্যন্ত দাপটের সাথে রাজত্ব করে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ মডার্ন আর্টের সময়কাল ১৮৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ ১১০ বছর। মডার্ন আর্টের শুরু শিল্পী পল সেজানের মাধ্যমে। এ জন্য সেজানকে মডার্ন আর্টের জনক বলা হয়। ১৯৭০-এর পর থেকে যেসব শিল্পের চর্চা হচ্ছে সেসব শিল্পকর্মকে বলা হয় কন্টেম্পোরারি আর্ট। কিংবা বলা যায় পোস্ট মডার্ন আর্ট বা পোস্ট মডার্নিজম।
লক্ষ করার বিষয় হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় একই সময় মডার্ন আর্টের যাত্রা শুরু হয়। কারণ, ব্রিটিশরা ভারতে শাসনব্যবস্থা কায়েম করার পর ভারতে চিত্রশিল্পীদেরও আগমন ঘটতে থাকে। তারা তেলরঙ, জলরঙ, ক্যানভাস, উন্নত মানের কাগজ এনে ভারতীয় শিল্পীদের ব্রিটিশ ধারায় শিক্ষা দিতে থাকেন। তারা ন্যুড মডেল স্টাডিরও প্রচলন করেন। ফলে ব্যাপকভাবে শিল্পীরা ব্রিটিশদের ধারা গ্রহণ করেন। এভাবেই ভারতে পশ্চিমা আধুনিক শিল্পের চর্চা শুরু হয়। এর আগে ভারতে ছিল নিজস্ব শিল্প ধারা। অর্থাৎ প্রাচ্য ধারা। কিন্তু এর পাশাপাশি অব্যাহত ছিল কোম্পানি শৈলী। ইতিহাসের তথ্য, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে ভারতে আগমন এবং বসবাসের একপর্যায়ে যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে যুদ্ধে পরাজিত করে ভারত দখল করে তখন থেকে ১০১ বছর ক্ষমতায় থাকার সময়কে কোম্পানি আমল (১৭৫৭-১৮৫৮) গণ্য করা হয়। এ সময় শিল্পীদের শিল্পে তেমন একটা পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না (যাকে মডার্ন বলা যায়)।
তবে শিল্পের চরিত্রে কিছুটা হলেও ব্রিটিশদের স্পর্শ অনুভব করা যায়। যেমনÑ অজ্ঞাতনামা শিল্পী অন্মিত ‘শেতপদ্ম’, জেমস বেইলি ফ্রেজার-এর ‘চিৎপুরের বাজার’ (১৮১৯) এবং শিল্পী শেখ মোহাম্মদ আমির-এর ‘ময়দানে কুকুর’ (১৮৪৫) নামক চিত্র। এছাড়া ১৭৮৪ সালে শিল্পী সোয়ান জোকানি ‘ওয়ারেন হেস্টিংস ও তার পতœী’ নামক যে চিত্র এঁকেছেন তাতে ব্রিটিশ প্রভাব পুরোমাত্রায় উপস্থিত। কারণ পোশাক ও চেহারায় তারা ভারতীয়দের থেকে ভিন্ন। অথচ তাদের পাশেই উপস্থিত ভারতীয় পরিচারিকা পোশাক আশাক এবং চেহারায় পুরো ভারতীয়। উল্লেখ্য, চিত্রে ব্রিটিশ প্রভাব থাকলেও তাতে সনাতনী প্রভাব স্পষ্ট। এই কোম্পানি আমলের পরের যুগই হচ্ছে ভারতে ব্রিটিশ শিল্পীদের প্রবর্তিত আধুনিক যুগ। যে কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতে ব্রিটিশ প্রভাবে প্রভাবিত শিল্পীদের মধ্যে রাজা রবি বর্মার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ তিনি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ধারার একেবারেই বিপরীতধর্মী শিল্পের জন্ম দিয়েছিলেন। ফলে শিল্পবোদ্ধা কুমার স্বামী, নিবেদিতা এবং হ্যাভেল সাহেবসহ অনেকেই তার চিত্রের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। রাজা রবি বর্মার জন্ম ভারতের ত্রিবাংকুরে ১৮৪৮ সালে। তিনি প্রথম জীবনে মাদুরার রামসামী নায়েক-এর কাছে চিত্রকলার শিক্ষা নিয়েছিলেন। এরপর ১৯৬৪ সালে থিওডোর জনসন যখন ত্রিবাংকুরের রাজপরিবারের সাথে দেখা করতে আসেন তখন তার কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। রবি বর্মা তার কাছে তেলরঙ চিত্রের শিক্ষা নেন এবং দক্ষতা অর্জন করেন। ফলে তৎকালে ভারতে রবি বর্মাকে পশ্চিমা আধুনিক তেলরঙ চিত্রের অগ্রদূত বা পথিকৃৎ বলা হতো। রামায়ণ মহাভারতের কাহিনী অবলম্বনে আঁকা তার চিত্রগুলো এখনো সারা ভারতে জনপ্রিয়। তার চিত্রগুলোকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে মহিসুর, বরদা এবং সালারজং মিউজিয়াম ও কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ার হলে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
রাজা রবি বর্মার চিত্রগুলোর মধ্যে শকুন্তলার পত্র লিখা (ঝধশঁহঃধষধ ৎিরঃরহম ধ ষবঃঃবৎ) নামক চিত্রটি খুবই জনপ্রিয়। শকুন্তলা রাজা দুষ্মন্তকে পদ্ম-পাতায় পত্র লিখছেন মাঠের মধ্যে সবুজ ঘাসের ওপর শুয়ে। শকুন্তলার উভয় পাশে উপবিষ্ট দুই বন্ধু অনুসুয়া এবং প্রিয়াংবদা। চিত্রের পেছনে শকুন্তলার এক পোষা হরিণ বিচরণ করছে। শিল্পীর অন্য চিত্রগুলোর মধ্যে ‘উর্বশীর প্রস্থান’, ‘জটায়ু বধ’ এবং ‘ইন্দুমতির মৃত্যু’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
শিল্পী বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় আরেকজন শিল্পী, যিনি ইউরোপীয় ধারা সার্থকভাবে রপ্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার ‘দুষ্মন্ত শকুন্তলা’ নামক চিত্রটি এক উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। এ চিত্রে পরিধেয় বস্ত্রের প্রতিটি ভাঁজ এবং আলোছায়ার সার্থক ব্যবহার চিত্রকে বিমেষ বৈশিষ্ট্য দান করেছে।
রাজা রবি বর্মা, বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ভারতের কলকাতায় আধুনিক শিল্প শিক্ষায় শিক্ষিত এক ঝাঁকশিল্পী বাংলা বিভক্ত হওয়ার কারণে (১৯৪৭) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় এসে শিল্প শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়বার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। উদ্যোক্তাদের মধ্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, সফিউদ্দিন আহমেদ, কামরুল হাসান, খাজা শফিক আহমেদ, আনোয়ারুল হক, শফিকুল আমিন, শিক্ষাবিদ ড. কুদরত-ই-খুদা এবং সলিমুল্লাহ ফাহমির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তৎকালে কলকাতা সরকারি চারুকলা কলেজে প্রাচ্যকলা (ইন্ডিয়ান আর্ট) বিষয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও ঢাকায় ফিরে আসা কোনো শিল্পীই প্রাচ্য ধারায় শিল্প শিক্ষা গ্রহণ করেননি। সবাই ব্রিটিশ প্রবর্তিত পশ্চিমা ধারায় শিল্পচর্চার রীতিনীতি গ্রহণ করেছেন। রপ্ত করেছেন তেলরঙ, জলরঙের ব্যবহার পদ্ধতি। ফলে পশ্চিমা ধারায় শিক্ষিত এসব শিল্পী ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত শিল্প শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে পশ্চিমা ধারাতেই শিক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের। এ কারণে প্রাচ্যকলা বিভাগ থাকা সত্ত্বেও ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাচ্যকলা চর্চা শুরুই হতে পারেনি। বিভাগটি বন্ধ ছিল দীর্ঘ দিন। ফলে বাংলাদেশে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয়েছে পশ্চিমা ধারা। কিন্তু ভারতবর্ষে ব্রিটিশ প্রবর্তিত ধারা প্রাধান্য পেলেও প্রাচ্য ধারার চর্চা অব্যাহত ছিল। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নন্দলাল বসু। কিন্তু তারা প্রাচ্য ধারার আধুনিকীকরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। শিল্পী আবদুর রহমান চুখতাইয়ের কথা অনেকেই জানেন। তিনিও প্রাচ্য ধারায় নিজস্বতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে মাস্টার পেইন্টার হিসেবে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
ভারতের বিখ্যাত শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাচ্য ধারার আধুনিকীকরণের যে পথ দেখিয়েছেন সেই পথ ধরেই নন্দলাল বসু, চুখতাইসহ সবাই কাজ করেছেন। প্রাচ্যকলার চিত্র সাধারণত কাগজে, কাপড়ে, জলরঙ মাধ্যমে কিংবা টেম্প্যারা মাধ্যমে করার যে রীতি ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই রীতি ভেঙে কাঠের পাটায় তেলরঙে ‘শাহজাহানের মৃত্যু’ নামক চিত্র এঁকে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। তিনি পশ্চিমাদের উপকরণে প্রাচ্যধারার চিত্র এঁকে আধুনিকতার চরম প্রকাশ ঘটিয়েছেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রদর্শিত পথেই বাংলাদেশে বিলম্বে হলেও প্রাচ্যচিত্রের চর্চা চলছে। সাফল্যজনকভাবে শিল্পীরা আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাচ্য চিত্রের। ষাটের দশকে প্রাচ্যশিল্পের যাত্রা শুরু হলেও ফলাফল সন্তোষজনক। এই প্রাচ্যচিত্রের সন্তোষজনক ফলাফল এবং পশ্চিমা ধারার চিত্র চর্চাকে কী বলা হবে? আধুনিক (গড়ফবৎহ), আধুনিকের পরবর্তী (চড়ংঃ-সড়ফবৎহ) নাকি সমসাময়িক (পড়হঃবসঢ়ড়ৎধৎু) আর্ট? অভিধানের অর্থ অনুযায়ী আধুনিক বলা গেলেও ইতিহাসের তথ্য অনুসারে সমসাময়িক বা আধুনিক-পরবর্তী শিল্প ধারা বলাই যুক্তিযুক্ত।
কারণ ইতিহাস আধুনিকের সময়কে ১৯৭০ পর্যন্ত নির্ধারিত করে দিয়েছে। ইতিহাসে আধুনিক শিল্পের কিছুটা ধারণা পাওয়া গেলেও অভিধানের অর্থ আর ইতিহাসের তথ্যের মধ্যে কিছুটা হলেও দ্বন্দ্ব থেকেই গেল। কারণ আজ থেকে শতবর্ষ কিংবা হাজার বর্ষ পরেও মানুষ পড়ে জানবে আধুনিক অর্থ বর্তমানকালের, হালের, নব্য, অধুনাতন, সাম্প্রতিক সময়ের শিল্প।


আরো সংবাদ



premium cement