২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবং নৌবিহার

-


আমি আর সাগর। কেউ কাউকে খুব চিনি না। মাঝে মাঝে কথা হয়। দেশ আর দেশ। কোথায় কে কী অনিয়ম করছে তাকেই যেন খুঁজে বের করতে হবে! নিউজ করতে হবে। এ এক কঠিন উন্মাদনা! আমিও যেন রঙিন এক ঘোরে পড়ে গেলাম! এদেশ কি লুটের মাল! যেমন ইচ্ছে লুট করবে? আজ বাংলাদেশ ব্যাংক, কাল সোনালী ব্যাংক, পরশু বেসিক ব্যাংক! ব্যাংক পাড়া লুট, শেয়ার বাজার লুট এ! এসব নিয়ে সাগরের যেন উন্মাাদনার শেষ নেই। এই তো আজকের রিপোর্ট পেয়ে রমনা থানার ওসি সাসপেন্ড। এ দর্নীতির যুগে সাগরের সাহসী পদক্ষেপে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায়? কথায় কথায় দেখার ইচ্ছে প্রবল হয়ে উঠল। কিন্তু সময় কোথায়? উ™£ান্ত আগুনে পুড়তে পুড়তে দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছেই! হঠাৎ একদিন মালিবাগেই দেখা হয়ে গেল। সাফেনা ডেন্টাল হাসপাতালের সামনে কথা বলছিলাম দারোয়ানের সাথে। পেছন থেকে কে একজন বলে উঠল আমি সাগর। কিছুক্ষণ অবাক তাকিয়ে থাকলাম। ঠিক যেন সাগরই। তেমনই চঞ্চল, প্রবল, উত্তাল, দুর্বার। এই সাগরে অনায়াসেই ঝাঁপ দেয়া যায় ! তার পর কথা থেকে দেখা। দেখা থেকে আলাপ। একসাথে লাঞ্চ করা, দেশ উদ্ধারের তুমুল তর্ক। রাজনীতিতেও বিপরীত ঘরানার মানুষ। ফলে তর্কেও টেবিল জমে ভালো। তর্ক করতে করতে কখন যে কী হয়ে গেল, বোঝা গেল না। শুধু অনুভব করলাম, কিছু হয়েছে! একদিন দেখি তর্কের টেবিলে উপচানো কফির পেয়ালায় দুটো হাত যুগবদ্ধ! পরস্পর এক পলকের চাওয়াই যেন টেনে নিয়ে গেল হৃদয়ের খুব কাছে। অচেনার মাঝে চেনার আভরণ। প্রলেপ পেয়ে পেয়ে দারুণ চকচক করে উঠল। আমার তো আর দিন কাটে না। কাজ কর্ম নেই। খাই দাই ঘুরে বেড়াই। মনে হঠাৎ এমন রঙধনু উঠল যে খেই হারিয়ে ফেলার দশা। এ কী! এক দণ্ড না দেখলে অস্থির লাগে। কিন্তু এ আশ্চর্য রূপম তো আঁচলে বাধা পড়ার মানুষ নই। এ যে ক্ষুদিরাম। দেশই তার একমাত্র স্বপ্ন। এ দিকে অনেক দিন দেখা নেই। অপেক্ষার প্রহর আর কাটে না। এই তুমি কোথায়? ফোন করব? না, তা হয় না। সময় হলে নিজেই ফোন করবে। বাইরে বৃষ্টির প্রকোপ আরো বাড়ছে। শরতে এমন বৃষ্টি অবাক করার মতো। চোখ বুজে দেখছি, আজ কোন তরঙ্গে দোল খাচ্ছে কে জানে! ঠিক তখনই কলিং বেলের শব্দে চমকে উঠলাম। কে? কে?
হাতে ক্যাপ খোলা কলম নিয়ে দরজায় বিস্ময় দাঁড়িয়ে- তুমি?
-ভূত দেখলে নাকি?
-এতো রাতে?
- আরে তুমি কিছুই জানো না! পুরো ঢাকা শহর তো ক্যাসিনো শহর হয়ে গেছে! হীরক রাজার দেশের মতো আমরা হা করে বসে আছি, গোপী গায়েন বাঘা গায়েনেরা কখন গান ধরে সব শয়তানদের মূর্তি বানিয়ে দেবে। হবে না! হবে না! এ দেশে কিছুই হবে না! মন্ত্রীর ছেলে ভাগনে ক্যাসিনোর খেলোয়াড়, জনগণের ট্যাক্সের টাকা তো কারো বাপের টাকা নয়! পাবলিক ভার্সিটিতে যারা পড়ে তারা কাদের টাকায় পড়ে? সেখানে কী পড়ে যে এক একটি বালিশের দাম সাত হাজার টাকা পড়ে? এত টাকা কিভাবে পাচার করে! সারা শরীর ভিজে একাকার। দ্রুত তোয়ালে এগিয়ে দিলাম। হাত বাড়িয়ে নিতে গিয়েও থমকে গেল, বুঝলাম দেশ উদ্ধার করলেও এখনো একটি মন আছে। সাগরের সাথে এটা আমার দ্বিতীয়বারের দেখা। অথচ মনে হচ্ছে কত কালের সহঅবস্থান। মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হলো, হয়তো দুপুরেও কিছুই পেটে পড়েনি। রান্নাঘরের দিকে এগোলাম। কিছু পেলেও পেতে পারি। ঠিকই পেয়ে গেলাম। ভাত, মাছ, ডাল। সেও আমার পিছু পিছু রান্না ঘরে হাজির। বললাম, তুমি বসো, আমি দিচ্ছি। কী দ্রুততার সাথে আমার হাত থেকে প্লেট কেড়ে নিয়ে নিজেই বেড়ে নিলো। মুখে চলছেই কোন শামীমের কাছে কত কোটি টাকা পাওয়া গেল, কত টাকা এফডি আর পাওয়া গেল আমিও অবাক হচ্ছি। মসজিদের শহর ঢাকা কিভাবে আমাদের রাজনীতি আর ক্ষমতা প্রীতির কাছে ক্যাসিনোর শহর হয়ে গেল! রাত্রি প্রায় শেষ দিকে পৌঁছে গেছে। ঝড়ের মাত্রা উত্তরোত্তর বাড়ছে। যেন উত্তাল সাগরের মাঝে ছুটে চলা এক নদী যৌথ প্রয়াসে সভ্যতার পত্তনে বীজ বপন করে যাচ্ছে। সাগরের চোখ থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসছে দুর্দমনীয় আগুনের ফুলকি। আমি যেন পুড়ে যাচ্ছি। এই তুমি পারো না আমার সাথে এক সাথে কাজ করতে! পড়াশোনা শেষ করে বেকার কেন বসে আছো? তুমি দেশের শত্রু।
আমিও ছেড়ে দিলাম নিজেকে। হ্যাঁ। পারি। তুমি সাথে নাও। নেশাগ্রস্ত মানুষের মতো ক্যাসিনোর গল্প করেই যাচ্ছে। জানো, ক্যাসিনো ঢাকায় কিন্তু নতুন নয়। সবাই জানে। প্রশাসন, পুলিশ, নেতা, সাংবাদিক। কারো অজানা ছিল না। এখন কেন এত ধরা পড়ছে জানো? বললাম, না। উদাস চোখে যেন দেখতে পাচ্ছে নীলকরদের অত্যাচার! মুখে বলে যাচ্ছে জানো আমরা একদম পচে গেছি। আমাদের সব সেক্টরে কঠিন পচন ধরেছে। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষেই যেন দূষিত পদার্থ আমাদেরকে গিলে ফেলেছে। একটি গণজাগরণ দরকার! একটা মোরাল রেভ্যুলেশন দরকার! কে হবে সেই নেতা এক কথায় পিলপিল বেরিয়ে আসবে জনতা! শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষণজন্মা। তিনি পেরেছেন। আমরা পারব না! সায় দিলাম পারতেই হবে। আগে আমাদের ঠিক করতে হবে মোরালিটি কী? তোমরা তাদের পেছনে সময় ব্যয় করো যারা আসলে প্রেমিকমাত্র! যারা ভালোবাসে তাদের পেছনে দৌড়াও কিন্তু যারা সত্যিকার ক্রিমিনাল তাদের থেকে টাকা খেয়ে ক্রিমিনালি আরো চলতে দাও। কী বলতে চাও? আজ রমনার যে পুলিশকে তোমার রিপোর্টেই, যে অপরাধের জন্য সাসপেন্ড করেছে তার জন্য সে সাসপেন্ড কেন হবে? এটা তার একান্তই পারসোনাল ব্যাপার। সে একজন নারীকে ভালোবেসেছে, নারীও তাকে ভালোবেসেছে। তারা কিছু সময় একান্তে কাটিয়েছে মাত্র। এ সময় তারা খুব আনন্দে ছিল। হয়তো এ কারণেই পুলিশ অফিসার তার অন্যন্য কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পেরেছে। এটা কেন অপরাধ হবে? সে ঘুষ খেয়েছে? অন্যায়ভাবে কাউকে ধরে নিয়ে টরচার করেছে? এসব করলে তোমরা ভাগের অংশ নিয়ে চুপ থাকতে, তাই না?। মানুষের মনের নার্সিং খুব দরকার। মন ভালো না থাকলে তার পক্ষে সামাজিক দৃষ্টিতে যেকোনো খারাপ কাজ করা সম্ভব! প্রেম বা ভালোবাসার সাথে বাচ্চা উৎপাদনের কোনো সম্পর্ক নেই। বর্ধিত জনগোষ্ঠীকে সুসংহত রাখার জন্যই পরিবার নামক সংগঠনটি মানুষই গঠন করেছে। কিন্তু মানুষের মনকে কোনো দেয়ালে তোমরা আটকাতে চাও? ভাগে মেলেনি তাই বুঝি ঝাল তুললে! সাগর আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল, এত কথা কবে শিখলে? এসব কথা আর বলবে না, অন্ধ মানুষেরা তোমায় দেশ ছাড়া করবে, না হয় মেরে ফেলবে। মৃত্যু অবধারিত, এড়ানো যায় কী? তার পর নীরবতায় ছেয়ে যায় পুরো বসার ঘর। একটা বিতিকিচ্ছিরি স্বাদ গলা পর্যন্ত উঠে এলো। স্বগোতোক্তি করল সাগর, সব কিছুই মানুষেরই বানানো নিয়ম জানি, সমাজের প্রয়োজনে মেনে চলতে হয়। আস্তে করে বললাম, বদলানো উচিত। যা কিছু অন্যের ক্ষতি করে না, তা কেন অন্যায় হবে। বরং তোমাদের ক্যাসিনো সম্রাটদের খুঁজে বের করো। শেয়ারবাজারে ধসের কারণ বের করো। ঠিক এই সময়ে বিদ্যুৎ চলে গেল। অন্ধকারে বসে আছি। কারো মুখে কোনো কথা নেই। অন্ধকারের নিজস্ব ভাষা আছে। সে ভাষা যে পড়তে পারে সে খুঁজে পায় সাপের মণি! মানুষের ভেতর লুকিয়ে থাকা অজানা মানুষটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে বেরিয়ে আসে। সেখানে প্রশাসন,পুলিশ বাহিনী, সিভিল, সাংবাদিক, চিত্রকর, মাওলানা কোনো নাম থাকে না। একটিই নামÑ দেহ! জীবন্ত দেহ! টালমাটাল সমুদ্র! একে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, যে অস্বীকার করে সেই কেবল শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে ধর্ষণ করে! ইদানীং ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে। এ আমাদের জন্য লজ্জাজনক অধ্যায়। সাগর চুপচাপ। হাত দুটো কখন অজান্তেই আমার হাতের মুঠোয় খেলে যাচ্ছে শারদীয় মেঘের খেলা! ভাবছি ওই রেভ্যুলেশন শুরু করব। দারুণ প্ল্যান করেছি। তা এক্সিকিউট করতে পারলেই এ দেশ দাঁড়িয়ে যাবে। বাইরের কীটপতঙ্গের অবিশ্রান্ত গান। কবুতরের হুমহুম ডাক। সেই যে হারিয়ে গেলাম আর খুঁজে পেলাম না। কোথায়, কোথায় আমি? যে সাগরকে চিনতাম ধাতব পদার্থের মতো, আজ মনে হলো শরতের তুলতুলে মেঘ। দেখা যায় ধরা যায় না। অনুভব করা যায় বাঁধা যায় না। অপূর্ব এক আবেশে কাছে টানে ধরে রাখে না। কী এক মায়ার জাল বিস্তার করে চলে গেল। কী নিয়ে গেল, দিয়ে গেল কী? হিসেবের খাতা খোলা যায় না।

কাল নৌবিহারে যাবো। যাবে? উত্তরের অপেক্ষা না করেই বলল, তৈরি থেক। নিয়ে যাবো। এত বিশাল লঞ্চ যাত্রী কেবল দু’জন। সোহানা-সাগর। গন্তব্য অজানা। মাথার ওপর পূর্ণ চাঁদের জোছনাবিকিরণ মহড়া চলছে, সাগরের শীতল বাতাসের কামড় যেন উড়িয়ে নিচ্ছে স্বপ্নের কোনো শহরে। যেখানে চোর মার্কা আমলা নেই, ক্যাসিনো মার্কা রাজনীতি নেই, ব্যাংকলুটমার্কা ক্ষমতাসীন নেই, শিশু-কিশোরের শৈশব কেড়ে নেয়া উঁচু উঁচু দালান নেই, যেখানকার মানুষ শোষণ নয় ভালোবাসার শেকলে জড়াজড়ি করে বাস করছে। যেখানে যুদ্ধ নেই, ধর্মের ছায়া নেই, যেখানে সবার একই পরিচয় কেবল মানুষ। সাগর সাগরের দিকে মাথা দিয়েই শুয়ে আছে। তার চোখে মুখে অপূর্ব এক দ্যুতি, হাওয়ায় উড়ছে মাথাভর্তি কালো চুল। একটি হাত আমার হাতের ওপর আলতো করে রাখা। নরম স্পর্শ যেন বহুকালের হারানো গ্যালাক্সির মৃদু গুঞ্জরণ!
সাগরের গর্জনে তোলপাড় হৃদয় সূর্যের চার পাশে ঘুরে বেড়ানো অজানা গ্রহের জালিকার মতো লেপ্টে থাকা সৌরভ। আমাদের মুখে কোনো কথা নেই। অথচ বলে যাচ্ছি অনন্ত স্বপ্নের কথা। যে স্বপ্নে জেগে আছে এ দেশের দুঃখী মানুষের বদলে দেয়ার ভাবনা।
পরস্পরের ইলেকট্রন, প্রোটন এভাবেই কাছে টেনে নিচ্ছে...
-এই চলো আমরা বিয়ে করি।
-বিয়ে? কেন? আমাকে একলা রেখে কোথায় চলে যাবে তার ঠিক নেই..
-উহু! যাবো না। গেলেও ফিরবোই। তুমিই আমার নিয়তি। জয়েন করছ কবে?
- যে দিন তুমি বলবে? কোথায়?
-আজই করো। আমার অফিসে।
বলো কী! এই বিয়ে! এই চাকরি! কোনটা করবা
- দুটোই করো
হাসলাম। নিজেকে আর পারবে না আটকে রাখতে! এ রাত, এ নৌবিহার, এ শ্যামল সময় আশি^নের বন্যার মতো টেনে নিচ্ছে। এ তোমাকে আমি চিনি না। আমি তারেই জানি যার ভেতর ছিল খড়খড়ে। হঠাৎ দেখি দারুণ এক ভোর। তুলতুলে তার স্পর্শ, মানস সরোবর যেখানে অনায়াসে সাঁতার কাটা যায়। যে চপল-চঞ্চল, যে উর্বর, তাপিত, যে খঞ্জর, যুদ্ধ, যে উপল, সুন্দর, অদ্ভুত মায়াময়।
এই কী হচ্ছে!
হাসতে হাসতে বললাম, আর শুনবে ?
যার ভেতর রয়েছে শব্দের কোলাহল, ছন্দের জাদু, সুরের দোলা। পাবলো পিকাশোর তুলিতে যে নিজেকে উত্থিত করেই ফিরে আসে আপন বলয়ে। একান্তই নিজস্ব স্বরে গেয়ে ওঠেÑ
না গো না। আমারে তুমি ছেড়ে যেও না...
-না না, এভাবে বলো না। আমি যে তোমার কাছে কবি হতে চাই না। কবি কবিতার ঘোরে থাকে। যেখানে হৃদয় নিয়ে মিছে মিছি খেলা চলে। এ আমি চাই না। আমি তোমাকে চাই। দেহ-মনে।
মনের কোনো অস্তিত্ব নেই। দেহই সত্য। এ মাটিই জীবনের ঘাঁটি। এ মাটিই সত্য! দেহকে অস্বীকার করলে যে জীবনকেই অস্বীকার কারা হয়! প্রাত্যহিক জীবনের যাবতীয় আনন্দ যে এক জায়গাতেই সন্নিহিত। এ ধ্রুব সত্যের মাঝে যে ধূম্রজাল পাতানো তা যে আমাদের মাঝে উন্মাদনা তৈরি করছে এর থেকে মুক্তির উপায় নেই। তবুও মানি না আমি তোমার। এ দেহ তোমার। তবুও কবিতা থাকবে। শব্দ থাকবে। আরাধনা থাকবে। আর থাকবে নিবিড় প্রেম। আমি লাবণ্য নই, লতা। রাজহংসী নই মাছরাঙা!
রাত ক্রমাগত গভীর থেকে গভীর। দুপাশে জলে দাগ কেটে ছুটে চলছে ‘এমভি ৭’। রাত্রির নীরবতা ভেঙে দিচ্ছে জলযানের শব্দ। হাজারো কৌশলে নাবিকের নৌবিহার ক্রমাগত আরাধ্য হয়ে উঠল পীড়িত মানুষের বুকে। দুলে উঠলাম, বিস্ফোরণের অভিজাত মরণে সমাহিত হলাম। তুমি পাশে থাকলে পারব সব দুর্গমগিরি জয় করতে। থাকবে তো? উত্তর দেয়ার আগেই নির্লজ্জ সূর্য উঁকি দিলো নাবিকের করতলে।
সে দিন ভোর হলো বিস্ময় নিয়ে। সাগরের ডাক পড়ল রাজদরবারে। আমার হাতে অফিসের চাবি দিয়ে দ্রুততার সাথে চলে গেল, যাওয়ার আগে একবার ঘুরে দাঁড়াল। আমাদের সন্তানকে স্বপ্নগুলো উপহার দিও। একটুকরো স্নিগ্ধ হাসি ঠোঁটের কোণে লেগে আছে। তার পরই হনহন করে এগিয়ে গেল। লাট সাহেবকে রিপোর্ট করতে গিয়ে নাকি মেম সাহেবকে করেছে। ‘ক্ষুদিরাম’ চলছে ফাঁসির মঞ্চে। আমি মুঠোভর্তি সাগরকণা নিয়ে দাঁড়িয়ে ...

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ ভারতের মাঝারি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চেন্নাইকে হারাল লক্ষৌ

সকল