অদ্ভুত ভাবনা
- বকুল আশরাফ
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আনন্দকে এসএমএস পাঠালাম, উত্তর নেই
ইমেইল করলাম; উত্তর নেই, ফোনটা বন্ধ।
অস্থিরতাকে বললাম, বাহির থেকে ঘুরে আয়
অনেক তো হলো, কথা কয় না স্তব্ধ, নিরানন্দ।
উচ্ছ্বাস মাঝে মধ্যে বিকেলে আসে, সন্ধ্যায়
পালায়, টিউশনি করে, বাস্তবতাকে পড়ায়।
কবিতারা ডেঙ্গুজরে ক্লান্ত, অসহায় মুখ
অথচ কত সহজ-সরল শব্দ-পেটা শরীর,
রসুনের আমদানি ভালো, তাই পালানে ড্রাগন
চাষ করে মেক্সিকোর ভিসা চায়, কৃষক অস্থির।
শহরের নব্যতা নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে
কতিপয় অসহায় গবেষক সালাম পাঠায়,
দুটো কাক স্বরহীন শব্দে প্রতিবাদ জানায়
ওরাও কিঞ্চিত আহত, রাতে অপারেশনে যায়।
দাদী থাকলে বলতেন, যা বাছারা, ‘ভাদ্দরের’
রোদটা নেতিয়ে আছে, চেতিয়ে দিয়ে আয়।
দুঃখের কাঁথা-সেলাই আর শেষই হয় না যদিও
এসেন্সের সুতা, সভ্যতায় ডাইং করে আনা।
করমচার রঙ দিয়ে কদম আলি কার্পাস রাঙায়
কারপাশে যেন শুয়ে থাকে নারী হয়ে মহাভারত
ধান-পাট জোট বাঁধে, উতলা ফর্মালিন কলা,
পুত্রহারা শোকে অনর্র্গল কাঁদে চামড়ার আড়ত।
ফেরত আসে না ইমেইল, হঠাৎ চোখ ছানাবড়া
আনন্দ বেঁচে আছে! জাঙ্ক-মেলেই বুঝি নাড়ে কড়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা