২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্যক্তির সৃজনশীলতা ও উদ্দেশ্য

-

সমাজবদ্ধতার শুরু থেকেই মানুষ কিছু শক্তিমানের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কাছে বন্দী রয়েছে। এই বন্দিত্ব ক্ষমতার কাছে সাধারণের। আর ক্ষমতার চক্র যা দিয়ে মানুষকে আটকে ফেলেছে তাই রাজনীতি। মানুষ বসবাস করছে ক্ষমতার বন্ধনীতেÑ সমাজে ও কেন্দ্র মূল ক্ষমতার অধিকারী। কেন্দ্র যতটুকু ক্ষমতা ছাড় দেয় ততটুকু কেন্দ্র ক্ষমতা হারায়। বাস্তবে কেন্দ্র তেমন কোনো ক্ষমতা সাধারণের দিকে প্রসারিত করে না। ফলে সামাজিক জীবনের পরিবর্তনও আমরা একটা নির্দিষ্ট ছকে দেখি। সমাজ ও রাজনীতির বাইরে কোনো মানুষের অবস্থান থাকে না কেবল দেবতা ও পশু ছাড়া। সমাজে বসবাস করে সব শ্রেণীর মানুষ ক্ষমতাবান ও সাধারণ। অন্যান্য পেশার মানুষসহ লেখক, শিল্পী, গায়ক ও রাজনীতিবিদ সবাই সমাজের এবং সবার সামগ্রিকতা সমাজের মধ্যের। জীবনযাপনের বন্দিত্ব যেহেতু চলমান জীবনে আদি থেকে আজো বহমান, তাই এর রূপ প্রকটভাবে সাধারণের নজরে আসে না বা তারা চলমানতায় তার বন্দিত্বেও লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে পারে না। তবে সচেতন মানুষ উপলব্ধি করতে পারে। লেখক শিল্পীরা সমাজে সংবেদনশীল অংশ, তারা কেবল সচেতন এবং চেতন শিল্পী যেমন অনুভব করেন মোসাহেব ও চাটুকারেরা তা করেন না। কারণ তারা নিজ সুবিধা পাওয়ার লোভে জেনেশুনে সৃষ্টিতে প্রকৃত বিশেষত্বকে উপস্থাপন না করে স্তবস্তুতিতে মগ্ন থাকেন এবং নিরপেক্ষ সাহিত্য সৃষ্টির নামে জনগণমানুষের দেখার দৃষ্টিভঙ্গির বৈরী উপাদান সরবরাহ করেন। যদিও সমাজের বৃহৎ অংশ নানা রাজনৈতিক চালবাজিতে দমিত থেকে সারা জীবন পার করে দেয় । আর একপ্রকারের শিল্পী রয়েছেন যারা সচেতন কিন্তু নিজ দায়িত্ব অস্বীকার করে প্রাপ্তির কাক্সক্ষায় সেই তাদেরই সেবাদাস হয়, যারা লক্ষ কোটি মানুষের প্রকৃত বেদনার কারণ। নয় এমন যে, তাদের সৃজনশীল কাজ শিল্পবোধ সম্পন্ন নয়, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা শিল্পের উচ্চতর রূপের প্রতিষ্ঠায় প্রকৃত শিল্পীকেও চমকিত করে।
রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তি শব্দের নান্দনিক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেনÑ ‘ব্যক্তি যে ব্যক্ত হয়’ প্রত্যেক মানুষ সমাজে নানাভাবে ব্যক্ত হয় তার নানামুখী কাজে সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে। যদিও কেবল ব্যক্ত হওয়ার কোনো বৈশিষ্ট নেই, সে টুকুই গুরুত্বপূর্ণ যার দ্বারা মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক, বাচনিক, সাংস্কৃতিক ও নান্দনিক জীবন বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। তাই মানুষের সব কর্মকাণ্ডের সাথে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো যুক্ত থাকে। কোনো একজন সচেতন মানুষের সৃজনশীল কাজে সামাজিক জীবনকে প্রাধান্য দেয় এবং সমাজের অসঙ্গতিগুলোর রূপ তুলে ধরে বদলের কর্মী হয়ে, আবার কোনো অসচেতন মানুষের কাজ দ্বারা সমাজ তার গোচরে-অগোচরে জখমপ্রাপ্ত হয়। যদিও তার নিষ্ঠায় অনিষ্ঠা ছিল না, ছিল চেতনাহীনতার দায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সৃজনশীল মানুষ সমাজজীবনকে প্রাধান্য না দিয়ে এমন সব সৃষ্টিদ্বারা ব্যক্ত হতে চায়, যা ব্যাপক মানুষের দমিত জীবনকে আরো খাঁচাবদ্ধ করে। অর্থাৎ তার ন্যূয়ে পড়া চেতনার জাগ্রত হওয়ার আর কোনো লক্ষণ ফোটে না। যেমন পুরোহিতরা। মানুষ ভয় থেকে বাঘকে দেবতা বানিয়েছে, বাঘ দেবতা নয়; তেমনি আবদ্ধ সমাজে যে মানুষেরা নিশ্চুপ এবং এসব আবর্জনাকে আবর্জনা না ভেবে সম্মানিত করে তাও ভয় থেকেই। প্রকৃত প্রকাশ জোরালো হলেই এগুলো ছবির মতো স্থবির হয়ে যাবে।
কবির উক্তি বাস্তবে পাথর হয়ে আছে ; যদিও তিনি এরূপ উক্তির ‘অথরিটি’ রাখেন। তবুও এটাও সত্যিÑ শুভ ও অশুভ এই দুটি বায়োনারি অপজিশন সমাজে চলমান। এক দিকে বিপুল মানুষের বঞ্চনা চেতনাহীনতা জীবন বদলের পথ ও পন্থা আবিষ্কারের, প্রতিষ্ঠার অপারগতা, অন্য দিকে সামান্য কিছু মানুষের ভোগ রাজনৈতিক ক্ষমতাদ্বারা করায়ত্ত করা অটুট রাখা। সেখানে যে মানুষটি উদ্দেশ্যহীনভাবে ব্যক্ত হবেন তিনি কার পক্ষে ব্যক্ত হচ্ছেন, তার বক্তৃতার বিষয়াবলি কার প্রয়োজনেই বা লাগছে। তাই ব্যক্ত হতে গেলে পরিবেশ-পরিস্থিতি বা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ওই সব প্রকাশ জনশোষণের হাতিয়ার হিসেবেই বিবেচিত হয়। শিল্পী নিজ রাজ্যের সম্রাট, যা খুশি তা তিনি সৃষ্টি করতে পারেন। তিনি কোনো উদ্দেশ্যের দাস নন, এমন কথা আছেÑ আর এই কথাটা ঘুরিয়ে বলা যায়, তিনি অবশ্যই স্বরাজ্যের সম্রাট কিন্তু সম্রাটেরও রয়েছে নাগরিকহিতের দায়িত্ব। তিনি যদি তা পালন না করেন তা হলে তার রাজ্যটি একদিন ছারখার হয়ে যায়। আর এমন বিপদে শিল্পী যদি নিষ্প্রাণ নিষ্কর্মা হয়ে বসে থাকেন, তা হলে নাগরিকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ মানুষের কাছেই তিনি ব্যক্ত হচ্ছেন; তিনি ব্যক্ত হবেন সেই সত্য নিয়ে যার অভাবে সমাজচেতনা স্থবির হয়ে আছে। সে জন্য প্রত্যেক লেখক শিল্পীকে নিজস্ব জগৎ তৈরি করতে হয়, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নয়। বরং সমাজ থেকে নেয়া ও পাওয়া উপাদানগুলোকে বিন্যাসিত করে। চালাকি নয়, সততার মধ্য দিয়ে।
২.
ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একজন লেখক দৈনিক বেতনভোগী শ্রমিকের চেয়ে বেশি কিছু নন। নানাভাবে ধনতন্ত্র লেখকের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে কিনে রাখে। আর তখন তারা স্তবস্তুতিতে আর মোসাহেবিতে মেধাহীনের মতো আচরণ করে এবং তারই সেবায় লাগে সামান্য কিছু প্রাপ্তির বিনিময়ে। কেউ কেউ আবার বড় কিছুও হাতিয়ে নিতে পারেন এবং সারাজীবনের উপোস মিটাতেও পারেন অনেক কিছু প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে। তারা ফরমায়েশি লেখক এবং নিজ মেধা নিয়োজিত করেন বাণিজ্যে এবং উচ্চশ্রেণীর ক্ষমতাকে ভুয়া ঐতিহাসিক ভিত্তি দেয়ার জন্য, জনগণ সেখানে কেবল উপলক্ষ মাত্র যেমন উপলক্ষ বুর্জোয়া রাজনীতিবিদদের কাছে। তাদের সৃষ্ট আইন-আদালতের কাছে, সামাজিক ন্যায়বিচারের কাঠগড়ার কাছে। বাস্তব হলোÑ এই যে সমতাভিত্তিক ন্যায়ে প্রতিষ্ঠিত সমাজই কেবল একজন লেখকের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে পারে এবং তার সৃষ্টির ঐতিহাসিক মূল্য দিয়ে সমাজরাষ্ট্র ও কল্যাণকে সূত্রবদ্ধ করতে পারে। ব্যক্তিস্বার্থ তখনই সামগ্রিক হয়ে ওঠে যখন ব্যক্তি সুষম সমাজনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং কল্যাণ বোধ দিয়ে চালিত হওয়ার প্রেরণা পায়। আর তখনই জাগ্রত হয় একজন লেখক তার চার পাশে আশাময় একটা জীবনের ইঙ্গিত দেখতে পান ও তার নিজ কর্তব্যকে তখনই নির্ধারণ করতে পারেন, যখন সমাজ কোনোভাবে কোনো ভুল ইঙ্গিত দিয়ে লেখককে বিভ্রান্ত বা ব্যবহার করতে চাইবে না। দলবাজির স্বার্থ দিয়ে সৎ লেখককেও তাঁর প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করবে না।
৩.
সাহিত্য বিচারে ইতিহাস বা কালের গুরত্ব রয়েছে। হিপোলাইত তেইনের উক্তি ‘সাহিত্য সৃষ্টি একজনের কল্পনার খেয়াল নয় বা উত্তেজিত মস্তিষ্কের কেবল খুশির প্রকাশ নয়, সমকালে প্রচলিত পদ্ধতি ও স্রষ্টার বিশেষ মানসিকতার প্রতিলিপি সাহিত্য। মার্কস পন্থায় সাহিত্যে ইতিহাস বা কালের গুরুত্ব বহন করে তখন তেইনের বক্তব্য তা থেকে দূরবর্তী নয়। কারণ একজন লেখক লেখেন তার কালের, তার সময়ের, তার অবস্থানরত সমাজের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্কগুলো থেকে প্রাপ্ত উদ্দীপনা যা তার মধ্যে নিজকাক্সক্ষার প্রতিচ্ছবির রূপটিকে সাহিত্য কাঠামোর মধ্যে রূপান্তরিত করেন। কাব্যসাহিত্য তার ভাষা, রীতি, রূপ মানুষের মেজাজ বদল করে। হার্ডারের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য ছিলÑ ‘ভাষাবস্তু ভাব আদান-প্রদানের কোনো স্বর্গীয় পন্থা নেই’। সাহিত্যকে নিত্য পরিবর্তনশীল সমাজ ব্যবস্থার সাথে সমতালযুক্ত সৃষ্টি বলে গণ্য করেছিলেন হেগেল। তবে এ কথাও সত্য যে, সাহিত্যের জন্য পাঠককে শিল্পীসুলভ মানসিকতা নিয়ে গড়ে ওঠা প্রয়োজন। আর তা গড়ে তোলার দায়িত্ব লেখকেরই।
প্রাণিজগতের সব কাজেরই একটা উদ্দেশ্য থাকে। পশুপাখি যে বাসা তৈরি করে, তারও একটা উদ্দেশ্য আছে। হীন- প্রাণীদেরও আশ্রয় নির্মাণে উদ্দেশ্য বর্তমান। তবে তা সাময়িক প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্য, কিন্তু মানুষ যা কিছু করে তা কেবল সময়ের প্রয়োজন মিটিয়ে ক্ষান্ত হয় না; আগাম সময়ের প্রয়োজনের বিষয়টি মাথায় থাকে। অন্যান্য কাজের মতো সৃজনশীল কাজও উদ্দেশ্যমূলক। সাহিত্য, কাব্য, শিল্প যা কিছু মানুষের ‘সৌন্দর্য নির্মাণ’ বলা হয়Ñ তারও উদ্দেশ্য রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য থেকে নিজ মতো করে বলা যায়, আমরা যা কিছু নির্মাণ করি, দেশে দেশে মানুষ যা কিছু করে তার পেছনে থাকে উদ্দেশ্য, পরিচিতির ও অমরতার । আমি যে আমি, যে আমি কিছু বলতে চাই, তাও উদ্দেশ্যমূলক। তবে তিনি সাহিত্য প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেনÑ সাহিত্যের কোনো উদ্দেশ্য নেই, ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য সাহিত্য’ সেটাও একটা উদ্দেশ্য। কারণ, তার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি ব্যক্ত হয় বৃহত্তর সমাজে পরিচিত ও অমরতা মেলে। ‘মানুষ যদি মানুষের জন্য তা হলে তাকে সক্রিয়তার মধ্য দিয়ে সমাজ বদলে সচেতন হতে হবে। মানুষের প্রত্যেকটি সৎকাজই সমাজের প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। উদ্দেশ্যহীনতা সাহিত্যের একমাত্র উদ্দেশ্য; এই মতবাদ কাণ্ট দর্শনের হাত ধরে জার্মানি থেকে ফ্রান্সের বুর্জোয়া বিপ্লবকালে এবং তার পরও বিস্তার লাভ করেছিল।
যাঁরা এ উদ্দেশ্যকে কর্তব্যে পরিণত করেন, তারা তাদের সৃষ্টিতে সেই উদ্দেশ্যটিকে দায়িত্বের সাথে গ্রহণ করেন এবং চলমান সমাজের অসঙ্গতি, কুৎসিতকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপনই করেন না, এর প্রতিকার চিন্তায় বৃহৎ জনস্রোতকে সজাগ করার প্রয়োজনে তার পাশাপাশি মহৎকেও উপস্থাপন করেন সাহিত্যের নিয়মে। মনে রাখা দরকার, প্রতিটি শিল্পের মৌল দাবি হচ্ছে তার সৌন্দর্য নির্মাণে আবেগ ও দক্ষতার স্পষ্ট উপস্থিতি। তা যারা বিশ্বাস করেন না তারা প্রকৃত শিল্পী হয়ে উঠতে পারেন না। যখন একজন শিল্পী দায়িত্ববান হন তার সমাজকে তার মানুষকে তার পরিপার্শ্বকে জানতে, তখন তার প্রেরণা বিষয় এবং রূপের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ হয় এবং তিনি জনমানুষের একজন হয়ে ওঠেন, আর কল্পনা ও কর্মসম্পাদন দক্ষতায় আমরা যে রূপটি পাই তা উত্তোরিত কাঠামোর বন্ধনীতে নতুন সুন্দর সৃষ্টি করে। তৈরি হয় সৎ-সাহিত্য। কেবল ভণ্ডামি, কেবল ভাঁড়ামি কখনো সৎ-সাহিত্য কর্ম নয়। এমন কিছু কবি-সাহিত্যিককে দেখি, তারা রোজ ভাববাদী রহস্যহীন রহস্যপূর্ণ অলিক জীবনবৃত্তান্ত ও বোধহীনতাকে জীবনের হালচাল মনে করেন তাদের সৃষ্টির মূল উপজীব্য করেন, আসলে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করেন নিজ স্বার্থ উদ্ধারের আশায়। ঐতিহাসিকভাবে তারা তাদেরই দালাল, যারা গোটা সমাজকে প্রতিদিন লুট করছে।
৪.
যে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার দায়িত্বপ্রাপ্তরা ন্যায় প্রতিষ্ঠার নামে নিজেরাই অন্যায়ে নিমজ্জিত, সেই সমাজে প্রকৃত নিষ্ঠাবান লেখকের অস্তিত্ব সঙ্কটপূর্ণ থাকে এবং লেখকেরাও নৈতিকতা হারিয়ে এমন সব পর্নোগ্রাফি হাজির করেন, যার দ্বারা সমাজমানস আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রকৃত লেখক কবি তার লেখাকে নিছক জীবিকার জন্য ব্যবহার করেন না, বরং বিশুদ্ধ জীবন গঠনের মৌলিক বিষয় ‘চিত্ত পরিশোধন’-এর কাজটি নির্ভীকভাবে করেন। যখনই কোনো লেখক কেবল জীবিকার জন্য বাণিজ্যপ্রবণ লেখা লেখেন, তখনই তিনি তার স্বাধীনতা হারান। কারণ তাকে ফরমায়েশি লেখাই লিখতে হয় ক্ষমতাবানদের তোষামুদির, এতে জনজীবনস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা যতই উচ্চমানের হোক [বলে আপাতত বিশ্বাস করার যুক্তি আছে] । মোটকথা, শিল্পী সাহিত্যিকের অস্তিত্ব সার্থক হয়ে ওঠে তখনই যখন একজন লেখক বা কবি তার সৃষ্টিকে তার সমাজ তার মানুষের চাহিদাকে সামনে রেখে নতুন পথের সন্ধান দিতে- ন্যায়কে ন্যায় হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন এবং অন্যায়গুলো চিত্রিত করলেও পশ্চাদপটে ন্যায়ই জাগ্রত থাকে। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল