২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

লাল কালি

অলঙ্করণ : হামিদুল ইসলাম -

প্যাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে আটান্ন ধাপ উপরে উঠলে তবেই আকাশের সন্ধান পাওয়া যায়। তবুও কাহারপাড়ার মাঠেÑ বিস্তীর্ণ সোনালি ধানক্ষেতের মাথার ওপরে যে আকাশ তাদের শাসন করে সে আকাশ নয়। এখানে পূর্ণ আকাশ ভোগের অধিকার নেই মাতিনের; অবশ্য সে হিসেবে একটা সমতাও আছেÑ এ আকাশও মাতিনকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে পায় না। ইচ্ছে করলে মাতিনকে ভেজাতে পারে নাÑ আবার পোড়াতেও পারে না।
আজ অনেক দিন ভোরের সূর্য ওঠা দেখেনি সে। আজো সে ভাগ্য হলো না। শেষ ধাপ আটান্নর মাথা থেকে মাত্র এগারো ধাপ নিচে তার থাকার ঘর। ঘরের সামনে সামান্য একটু খোলা বারান্দাÑ তাও এ বারান্দার সীমানা ঘেঁষে উঠে গেছে আকাশছোঁয়া আরেকটা দালানÑ নগ্ন ইটের দালান। যা এখনো বালু-সিমেন্টের আঁচলে ঢাকা পড়েনি। ওটা হয়তো মাতিনদের এ দালানটার থেকেও পরিপুষ্ট হবেÑ! সারা দিনÑ সন্ধ্যারাতের পরও চলে ওর শরীরে পুষ্টিদানের খটখট ধপধপ শব্দ। মাতিন এখন একাÑ এ পাশের তিনটি ঘরের আট-নয়জন ছেলে থাকার কথাÑ আর সমস্ত দালানে তিরিশ- পঁয়তিরিশ জন। ঈদের আর মাত্র চার অথবা পাঁচ দিন বাকিÑ ভার্সিটি, রাজশাহী কলেজ, সিটি কলেজ সব বন্ধ। মাতিনও একটা কলেজের ছাত্র কিন্তু আজ তো শুধু ছাত্র নয়Ñ স্থানীয় একটা দৈনিকের প্রুফম্যান। তাই আজো তার যাওয়া হয়নি। গত রাতে লেটনাইট ছিল, সে জন্য আজ ভোরে উঠতে আরো একটু দেরি হয়ে গেল। এখানে তাকে একটা ব্যাপারে বারবার বলা হচ্ছেÑ কোনো একটা ছোট শব্দকেও বিশ্বাস করা যাবে না। প্রত্যেককে সন্দেহ করাই তার প্রথম কাজ। সবাই ভুল করতে পারে, সবই ভুল হতে পারে। সোনার দামের মতোই ঝাঁঝালো সোনালি রঙের রোদ ছড়িয়ে পড়েছে চার দিকেÑ গ্রামে থাকতে অনেক ভোরে সে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ হাতে খোলা মাঠে যেতÑ এই ছিল তার প্রত্যেক দিনের অভ্যাস। একবার খোলা আকাশ আর খোলা মাঠের সাথে দেখা না করে সে কোথাও যেত না।
আজ তার অভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। তবুও রোজ সকালে তাদের এই দালানের পাশের দালানের ছাদে মধ্য বয়স ছুঁই ছুঁই করছে এমন একজন নারীকে তুলসীর মাথায় জল ঢেলে সমস্ত পৃথিবী থেকে নিজেকে আড়াল করতে দেখে মাতিনের ভেতর চৌচির হয়ে যায় জয়পুরের খোলা আকাশÑ খোলা মাঠের জন্য। সে ছাদ ছেড়ে নেমে আসতে থাকে, আবারো বাধা পায়Ñ সিঁড়িঘরের দেয়াল ঘেঁষে এবং ছাদের পশ্চিমের নিরাপত্তা দেয়ালের সামান্য ফাঁকা জায়গায় আধভাংড়ি ইটে। ওদের সাথে উঠে আসা ধুলোবালি অথবা ইটগুলোর পোড়া শরীর থেকে পরিত্যক্ত পোড়া ধুলোয় বেড়ে উঠেছে হাত দেড়েক পুঁইলতাÑ লাল রঙের ইটগুলোর সাথে তার গায়ের রঙেরও একটা সাদৃশ্য আছে। মাতিন যখন এখানে প্রথম আসে, তখনই খোলা আকাশের সন্ধানে এসে তার সাথে পরিচয় হয়। এরপর মাঝের দু-এক দিন বাদ দিলে প্রতিদিন ওর সাথে দেখা হয়েছে। কিন্তু হয়তো খেয়াল করেনি, এ মাসের শুরুতে সে যেমন সতেজ ছিল, আজ আর তা নেই। তার পাতাগুলোর অনেক অংশজুড়ে হলদে রঙ ধরেছে, তার এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। পোড়া ধুলোবালির পুষ্টি নিয়ে হাত দেড়েক পুঁইলতা আর কত দূর এগিয়ে যেতে পারে!
মাতিন পরিপূর্ণ পুঁইলতাদের এগিয়ে যাওয়ার মিছিল দেখেছেÑ সে ছোট থেকে তাদের বাড়ির পেছনে পুঁইমাচা দেখেছে, মাচাভর্তি পুঁইলতা। মায়ের সাথে সেও ওদের গোড়ায় ঢেলেছে ঘড়ায় ঘড়ায় জল। মাতিনের ভেতরের কোথাও যেন হলদে রঙের ছাপ লেগে গেল। সে আবারো ফিরে এলো ঘরে। পুবের পৃথিবী থেকে ভোরের আলোর সাথে সাথে এ বড় কুটির শহরে একদানা পরিত্যক্ত ভাতের খোঁজে আসা কাকগুলো এখন সবাই একা একা, যে যার মতো খুঁজছে ভাত অথবা সমসমান কোনো খাদ্য। ওদের ঘরে ফেরা হয়নি। মাতিন ওদের দিকে তাকিয়ে অপ্রকৃতিস্থ হলো, সারাক্ষণ ওরা কা কা করে ডাকছে। মাতিনের জনককেও যিনি জন্ম দিয়েছেন তিনি ঘরের চালে কাক ডাকতে দেখলে বলতেন, এই দেখ মাতিন আজ আবার কী হলো? অর্থাৎ অমঙ্গলজনক কোনো কিছু। কিন্তু মাতিন জানে এরা কারো অমঙ্গলের জন্য কাঁদছে না। এখন ভার্সিটিসহ এই শহরের সব স্কুল-কলেজই বন্ধ। তাই মেসগুলোতে রান্নাবান্না হচ্ছে না বললেই চলে। এ কারণে ওদেরও খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে। সিটি করপোরেশনের গাড়ি আসার আগ পর্যন্ত রাস্তার পাশে যে উচ্ছিষ্টগুলো পড়ে থাকে তা পায়ে হাঁটা বেওয়ারিশ কুকুর আর গলার বাঁধনহীন গরুগুলোই সাবাড় করে দেয়। কাকেরা এত নিচে নেমে আসার সুযোগ পায় না। মাতিনের এখানে মন টেকে না, সিঁড়িঘরের ভাঙা কাচের জানালা দিয়ে সে বাইরের দিকে তাকায়। এই দালানের মূল দরজার দিকে, কিন্তু ওটা এখনো ভেতর থেকে বন্ধÑ কালো রঙের মস্ত একটা তালা ঝোলানো। এ পৃথিবীর কেউ এত ভোরে বিছানা ছেড়ে ওঠে না। গভীর রাতে বিছানার স্বাদ পাওয়া এদের তার সাথে সখ্যতাও চলে অনেক বেলা পর্যন্ত। মাতিন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে, আবারো সে ছাদে উঠে পদ্মার পূর্ণ শরীরের কিছুটা আয়ত্ত করার চেষ্টা করল। সাদা কাশফুল আর ঘোলা জলের স্রোতকে ধূসর লাগেÑ আকাশের মতো দূরের মনে হয় ওদের। আবারো খোলা মাঠ, খোলা আকাশের বিরহ আগুনে পোড়ে মাতিনের ভেতরের সব কিছু। সে ওদের কাছে ফিরে যেতে চায়, ওদের অসীম প্রেম তাকে ডাকে। কিন্তু স্বপ্না? পড়াশোনা শেষের দিকে তাই স্বপ্নার দিক থেকে চাপটা ক্রমেই বাড়ছে কিছু একটা করার জন্য। এ চাপটা অবশ্য স্বপ্নার একার নয়। তার পরিবারও হয়তো তাকে পেছন থেকে ঠেলা দিচ্ছে। সেটাই স্বাভাবিক! স্বপ্নার ছোট বোন নাদিরার মেয়ের বয়স আড়াই বছর। একটা পরিবার আর কত অপেক্ষা করতে পারে! মাতিনের পরিবারও চায় না সে গ্রামে ফিরে আবারো গ্রাম্য রাজনীতির সাথে জড়িয়ে যাক। অনেক হয়েছে। এ সময় ওর নামে কেস-কাচারি কিছু হলে সারা জীবনই বরবাদ। কোনো কিছু ভেবে পাচ্ছে না সে। চার পাশের কোথাও একটুও শান্তির আশ্বাস মিলছে না। পেছনে ফিরে নামতে চাইল মাতিন। অথচ আবারো আটকে গেল তুলসীতলায়। এবার মাঝবয়সী কোনো নারী নয়, বরং এক উচ্ছল তরুণী। একপলকে তাকিয়ে অল্পক্ষণেই তৃষ্ণা মিটে গেল তার। দ্রুত নেমে এসে হাতমুখে ক’বার পানির ঝাপটা দিয়ে তাকে হাসপাতালে যেতে হবে এমন ভঙ্গিতে শার্ট-প্যান্ট পরে নিলো এবং আবারো সিঁড়িঘরের জানালায় চোখ দিয়ে দেখে নিলো কালো রঙের তালাটি ঝুলছে কি না। নাÑ এবার সেটা খোলা হয়েছে। হয়তো বিছানা থেকে গাফফার ড্রাইভার উঠে বেরিয়ে পড়েছে। হন হন করে বেরিয়ে প্রথম দরজায় গিয়ে তার মনে পড়লÑ ঘরে বোধ হয় তালা লাগানো হয়নি। আবার ফ্যানটাও...? ধীর পায়ে উপরে উঠে আবারো নেমে এলো।
সরু রাস্তাটি পার হয়ে দৈনিক বার্তা অফিসের মুখোমুখি দাঁড়াল সে। আজকাল অবশ্য এটা গ্রামীণফোনের অফিস নামে বেশি পরিচিত। অটোরিকশা অথবা গ্যাসের গাড়ির ড্রাইভারেরা এটাকে গ্রামীণফোনের অফিস নামেই জানে। আলুপট্টি অথবা দৈনিক বার্তা নামটি ওদের কাছেও ধূসর হয়ে যাচ্ছে। নতুন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আজ দৈনিক বার্তা কমপ্লেক্স তার শরীরে এরই মধ্যে গেঁথে গেছে নামীদামি অনেক ক’টা ব্যাংকের শাখা। মাতিন তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ওগুলো গুনে গুনে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছিল। সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত এ মহাসড়কের পূর্ণ শরীরকে নিজেদের শরীরে ধারণ করে রাখছে দৈনিক বার্তা কমপ্লেক্সের এ সচ্ছল ব্যাংকগুলো। দোতলা বাস থেকে রিকশা, অটোরিকশা, এমনকি পথহাঁটা মানুষও ওদের আয়ত্তের বাইরে না। মাতিন ওদের ভিড়ে নিজেকে খোঁজ করছে, কিন্তু পাচ্ছে না। হঠাৎ কখন কাইউম তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সে একটুও বুঝতে পারেনি। এ মানুষটি এই দৈনিক বার্তার যৌবনঘন দিনগুলো দেখেছে। একসাথে যৌবন এসেছিল দৈনিক বার্তা এবং তার ভেতরে-বাইরে।
কোথায় যাচ্ছ? পাশে থেকে এমন প্রশ্নে চেতনা ফেরে মাতিনের। থতমত খেয়ে আঁশজড়ানো কণ্ঠে বলে ওঠেÑ বাড়ি যাচ্ছি চাচা। আর ভালো লাগছে না। গ্রামের কতা মুনে হছে। আমি বোধায় এহিন থাকতে পারব না। স্থির দাঁড়িয়ে থেকে তিনি বললেন, আসো একটা চা খাও বলে চা আসা পর্যন্ত এমনকি দুটো কাপের অর্ধেক শেষ হওয়ার পরও দুজনের মুখে কোনো কথা ফুটল না। চায়ের কাপটা পাশের বেঞ্চের ওপর রেখে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে প্রথম ধোঁয়া ছাড়ার পর তিনি বললেন, দেখ মাতিন আমি ওপার থেকে এপারে এসে আছিÑ আজ চাইলেই আর যখন তখন যেতে পারি না। বিজিবি-বিএসএফ-কাঁটাতারের বেড়া আমি ওদের অতিক্রম করতে পারি না। বাড়ির জন্য আমারও মন কাঁদে। যাও বাড়ি থেকে ঘুরে এসো। এই তো বানেশ্বরÑ এক ঘণ্টার পথ। যাওÑ বলে তিনি আর দাঁড়ালেন না। ডানে-বামে তাকিয়ে তাকিয়ে উঠে গেলেন দৈনিক বার্তা অফিসের জন্য বরাদ্দকৃত অমসৃণ জীর্ণ ঘরটায়। মাতিনও আর ওখানে না দাঁড়িয়ে একটা অটোরিকশার ভেতরে আশ্রয় নিলো। অটোরিকশার ড্রাইভারের পিঠের সাথে মাতিনের পিঠ মাঝেমধ্যেই ঘর্ষণ লাগছে। এতক্ষণ সে একটা বিষয় খেয়াল করেনিÑ তার পেছনে ফেলে যাওয়া গাছপালা, বাঁধের ধারে সারি সারি বিদ্যুতের খুঁটি অথবা নানা রঙের পুষ্ট-অপুষ্ট দালানগুলো সে দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু যেদিকে অটোরিকশা যাচ্ছে অর্থাৎ অটোরিকশার সামনের পৃথিবী তার দুচোখের আয়ত্তের বাইরে। তাহলে কি মাতিন তার অতীতকে নিয়েই পড়ে আছে? হাদির মোড়ে গিয়ে অটো থামার সাথে সাথেই মাতিনের সামনে থেকে একজন নেমে গেল। সে এ সুযোগ আর মিস করল না। বেশ তাড়াহুড়ো করেই বসে পড়ল তার সামনের ফাঁকা স্থানে।
মহাসড়ক থেকে নেমে গেছে সরু একটা পিচঢালা পথ। সে পথে নেমে মাতিন তার দু’পায়ে বল পেল। এই পথটি চলে গেছে তার বাড়ি পর্যন্ত এমনকি তার বাড়িও পার হয়ে গেছে। এটা মহাসড়কের থেকেও প্রশস্ত লাগে মাতিনের কাছে। সারি সারি নারকেলগাছের মাথায় দোলা তলোয়ারগুলো তার দুচোখের সীমানায় ধরা পড়ে। ওটাই মাতিনের গ্রাম। তার নাড়িপোঁতা ঘরবাড়ির ঠিকানা। আরো পরিচিত মানুষ-মাঠ-পুকুরঘাট এসবের ভেতরে ঢোকার ঠিক আগেই সে আটকে যায় রাস্তার পাশের এক ব্রয়লার খামারে। কত যতেœ পালিত হচ্ছে ওগুলো। আর তার পাশ দিয়ে একটা লাল-কালো রঙের দেশি মোরগ জৈবিক দাম্ভিকতা নিয়ে ছুটছে এক অল্প বয়সী মুরগির পেছনে। ওদের গ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে অন্য গ্রামে যাওয়ার সাহস আছে। সামর্থ্য আছে। কিন্তু অতি যতেœ পালিত ব্রয়লারগুলো?
বাড়িতে ঢোকার মুখেই পুকুরঘাটে দেখা হলো ছোট বোনের সাথে। মাতিন কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে ঝাঁপ দিয়ে উঠে পড়ল তার কোলে। তার আনন্দ পাশের পুকুরের বিস্তৃত সমতল জলেও আটকায় না। পুকুরপাড়ের মাচায় বসে ছিল মাতিনের বাবাসহ ওই বয়সী আরো বেশ ক’জন। মাতিন এতটা দূরে থেকেই তার বাবার দুচোখের ভাষার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করল। ওই দুচোখে আতঙ্কের রেখাগুলো স্পষ্ট। বাড়ির ভেতরে যেতেই মা বলল, আজ থাকপি, না? মাতিনের মন আর এখানে টিকছে না। মাত্র এক মাসেই আমি এতটা পর হয়ে গেছি? অল্প পরিচিত অতিথি হলেও মানুষ এর থেকে বেশি সম্মান পায়। মাতিন অস্থির হয়ে উঠছে।
পুরনো আমগাছগুলোর ফাঁকে ফাঁকে যেখানে আলোর বণ্টন বেশিÑ সেখানে লেবুর গাছ লাগানো হয়েছে। মাতিন লেবুর পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে তার ঘ্রাণ নিচ্ছে। এমন সময় তার কানে এলো চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ। এসব আওয়াজ মাতিনের অপরিচিত নয়। হাজীর গোষ্ঠীর লোকজনের গলা। মাতিন ওদিকে কান পাততেই একটা নয়-দশ বছর বয়সী ছেলে দৌড়ে এসে বললÑ চাচা, দাদা আপনেক এহুনি ডাকল। মাতিনের ব্যাপারটা বুঝতে দেরি হলো না। ছোট ছেলেটার পেছনে পেছনে তারই পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়ে গেল মাতিন। এখনো বিকেল হয়নি। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষে একটু বিশ্রামের সময় এটা। কিন্তু মাতিন আবারো তার গ্রামের সীমানা পার হয়ে এসেছে। এখন তার দুচোখে স্পষ্ট ভেসে আসছে তার কাজলি বুবুর কথা, বাবার বাড়িতে হাসিমুখে এলেও এই বাড়িকে পর ভেবে ভেজা চোখে তাকে ফিরে যেতে হয়েছে বারবার। ইদানীং সে এ দিকে তেমন আসে না। ঈদের সময় আসে। ওই বড়জোর একবেলা থাকে।
মহাসড়কে পৌঁছতে দেরি আছে, এখনো পিচঢালা সেই সরু পথেই হাঁটছে মাতিন। তার মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে দলবাঁধা ছোট ছোট পাখিগুলো। ওদের অনেকেই মাতিনের পরিচিত। আবার অনেকেই অপরিচিত। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য

সকল