২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জীবনসায়াহ্নে নজরুলকে যেমন দেখেছি

-

বাংলা সাহিত্যভুবনে এক কিংবদন্তি কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। এ দেশের মাটি ও মানুষের সাথে ছিল তাঁর অগাধ প্রেম ও ভালোবাসা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর কবিতা-গান অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের। তাঁর জন্মই যেন হয়েছিল দেশমাতৃকা আর নিগৃহীত মানবগোষ্ঠীর সাম্য, মৈত্রীর গান শোনাবার জন্য। শৈশবে হাজার দুঃখ-কষ্টে বেড়ে উঠতে গিয়ে দুখু মিয়া উপাধি পাওয়া নজরুলের পুরো জীবনই কেটেছে অনাবিল দুঃখে। জীবনসায়াহ্নে এসে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত্যুর পর থেকে বন্ধুবান্ধব, ভক্তপ্রেমী ও সহচরেরা নজরুলকে নিয়ে লেখালেখি অব্যাহত রেখেছেন। তবু তাঁর জীবনের কথা, সাহিত্যকর্মের কথা লেখা শেষ হচ্ছে না। প্রতি বছর তাঁর জন্ম ও মৃত্যুদিবসে ভারত ও বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাগুলোতে বিশেষ লেখা ছাপা হয়, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচার হয় বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। তবু তাঁর কত কথা, কত ঘটনা, কত স্মৃতি অজানা থেকে যাচ্ছে। নজরুলকে নিয়ে যাঁরা লেখালেখি করছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন লেখকের নাম শফি চাকলাদার। নজরুলকে নিয়ে তিনি বেশ কয়েকটা বই লিখেছেন। ‘আমাদের নজরুল’, ‘সঙ্গীতে নজরুল সঙ্গীত’, ‘নজরুল উপমায় চাঁদ’, ‘নজরুল উপমায় ফুল’ ‘জীবনসায়াহ্নে নজরুলকে যেমন দেখেছি’ ইত্যাদি গবেষণা ও স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ।
শফি চাকলাদার ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত অসুস্থ নজরুলের সেবাযতœ করেছেন। তাঁর শেষ দিনগুলোতে তিনি একেবারে কাছ থেকে দেখেছেন এবং সেসব দিনের অনেক অজানা কথা স্মৃতিচারণের মতো করে তুলে ধরেছেন ‘জীবনসায়াহ্নে নজরুলকে যেমন দেখেছি’ গ্রন্থে। তিনি এ গ্রন্থে নজরুলের শেষ জীবনের যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তা আর কেউ দিতে পারেননি। এসব অজানা মূল্যবান ও কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য নজরুল গবেষকদের প্রয়োজনীয় রসদ জোগাবে। কবি কিভাবে ঢাকায় এলেন, অসুখের সময়গুলোতে কবির দিন কিভাবে কাটত, কোন কোন হাসপাতালে কবির জন্মদিন পালিত হয়েছেÑ সেসব ঘটনার স্মৃতি, দু’টি সাক্ষাৎকার, নজরুল ও তাঁর মা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও অজানা তথ্য তিনি লিখেছেন আলোচ্য গ্রন্থটিতে।
শফি চাকলাদারের জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩ সালে। তাঁর পৈতৃক নিবাস বিক্রমপুরের লৌহজংয়ের ধাইদা গ্রামে।

 


আরো সংবাদ



premium cement