২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

-

যে সব বিশিষ্ট লেখকের অবদানে বাংলা সাহিত্য ধন্য হয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাদের অন্যতম। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বাংলা সাহিত্যে ইউরোপীয় চিন্তা ও চেতনার সার্থক প্রতিফলন ঘটান মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি ও নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুরের অন্তর্গত কপোতা নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা রাজনারায়ণ দত্ত। মাতা জাহ্নবী দেবী। বাংলা কাব্যে তিনিই অমিত্রার ছন্দের প্রবর্তন করেন।
মধুসূদনের প্রাথমিক শিা শুরু হয় তার মা জাহ্নবী দেবীর কাছে। জাহ্নবী দেবীই তাকে রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতির সঙ্গে পরিচিত করে তোলেন। সাগরদাঁড়িতেই মধুসূদনের বাল্যকাল অতিবাহিত হয়। তেরো বছর বয়সে মধুসূদন কলকাতায় যান। স্থানীয় খিদিরপুর স্কুলে কিছু দিন পড়ার পর তিনি তদানীন্তন হিন্দু কলেজের (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) জুনিয়র বিভাগে ভর্তি হন। ১৮৪১ সালে তিনি এই কলেজের সিনিয়র বিভাগে প্রবেশ করেন। মেধাবী ও কৃতী ছাত্ররূপে তার সুনাম ছিল। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি নারী-শিা বিষয়ে প্রবন্ধ লিখে স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন।
মধুসূদনের চোখে তখন মহাকবি হবার প্রবল স্বপ্ন। বিলেত যাওয়ার জন্য তিনি তখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিলেতে যাওয়ার সুবিধা হবে এই ভেবে তিনি ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্র“য়ারি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। নামের শেষে যোগ করেন ‘মাইকেল’। যদিও শেষ অবধি তার সে সময় আর বিলেত যাওয়া হয়নি। ধর্মান্তরিত হওয়ার ফলে পিতার রোষানলে পড়ে ত্যাজ্যপুত্র হলেন। খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করায় একই বছর হিন্দু কলেজ থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয়। পরে তিনি শিবপুরস্থ বিশপস কলেজে ভর্তি হন। এ সময় তিনি গ্রিক, ল্যাটিন ও সংস্কৃতি ভাষা রপ্ত করেন। খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণের ফলে পিতা-মাতা, আত্মীয় স্বজন থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। একসময় পিতা তাকে অর্থসাহায্য বন্ধ করে দেন।
১৮৪৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর মধুসূদন জীবিকার অন্বেষণে মাদ্রাজ গমন করেন। সেখানে প্রথমে তিনি এক অনাথ আশ্রমে মাদ্রাজের ‘অরফান মেইল আসাই লামের স্কুলে’ শিকতার চাকরি পান সামান্য বেতনে। ১৮৪৮ সালের ৩১ জুলাই বিয়ে করলেন রেবেকা ম্যাকটাভিশকে। রেবেকা ছিলেন শ্বেতাঙ্গিনী। তার পিতা-মাতার পরিচয়ও সঠিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন। মাদ্রাজেই কবির আত্মপ্রকাশ ঘটে। মাদ্রাজ থেকেই কবি শিখে নেন হিব্র“, ফরাসি, ইতালিয়ান, তামিল ও তেলেগু ভাষা। এখান থেকেই তার প্রথম কাব্য The Captive Ladie’ প্রকাশ হয়। কবি এই বই প্রকাশ করতে গিয়ে ধার-দেনাতেও পড়ে যান। এ সময় মাদ্রাজের বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকা ‘Spectator’-এর সহকারী সম্পাদক হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। এ ছাড়াও মাদ্রাজের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ইংরেজি ভাষায় তার বহু প্রবন্ধ প্রকাশ হয়।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রথম বিয়ের এক বছর পরই তেরো বছরের কিশোরী অ্যামেলিয়া হেনরিয়েটা সোফিয়ার প্রেমে পড়েন এবং তাকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করেন। এ দিকে ১৮৫৫ সাল অবধি রেবেকার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সময়ে মাইকেলের ঔরসে তার প্রথম স্ত্রী রেবেকার গর্ভজাত সন্তানের সংখ্যা দাঁড়ায় চারেÑ কেনেথ বার্থা, ফিবি রেবেকা সালফেন্ট, জর্জ জন ম্যাকটাভিস ডটন ও মাইকেল জেমস ডটন।
১৮৫৬ সালের ২৮ জানুয়ারি মাদ্রাজে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে কবি ফিরে যান কলকাতায়। পরে হেনরিয়েটাও মাদ্রাজ ছেড়ে চলে আসেন মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাছে। হেনরিয়েটাও চারটি সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। দু’টি সন্তান জন্মেছিল কলকাতায় এবং দু’টি জন্মেছিল ফ্রান্সের ভার্সাইয়ে। ভার্সাইয়ে একটি কন্যাসন্তান জন্মের পরই মারা যায়। হেনরিয়েটার সন্তানেরা হলেনÑ এলাইজা শমিষ্ঠা দত্ত, মেঘনাদ মিল্টন দত্ত, আলবার্ট নেপোলিয়ান দত্ত।
কলকাতায় জীবিকা নির্বাহের জন্য তাকে বহু বিচিত্র পেশা গ্রহণ করতে হয়। প্রথমে পুলিশ আদালতের করণিক এবং পরে তিনি দোভাষীরূপে চাকরি করেন। ১৮৬২ সালে তিনি কিছুকাল কলকাতার ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকা সম্পাদনারও কাজ করেন। এ বছর পিতার সম্পত্তি থেকে তার বেশ কিছু অর্থপ্রাপ্তি ঘটে এবং তিনি ১৮৬২ সালের ৯ জুন ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বিলেত গমন করেন। ১৮৬৩ সালে তিনি সপরিবারে ফ্রান্স গমন করেন এবং সেখানকার ভার্সাই নগরীতে দিনযাপন শুরু করেন। সেখানে তিনি অর্থের তীব্র সঙ্কটে পড়েন। এ বিপদে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাকে অর্থসাহায্য করেন। ১৮৬৬ সালের নভেম্বর মাসে তিনি লন্ডনের ‘গ্রেজ ইন বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে ব্যারিস্টারি পরীায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৮৬৭ সালের জানুয়ারি মাসেই ফিরে আসেন এবং কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
মধুসূদন নাট্যকার হিসেবেই প্রথম বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেন। এই সময় তিনি বাংলায় অনুবাদ করেন রামনারায়ণ তর্করতেœর ১৮২২-১৮৮৬ খ্রি. রতœাবলী (১৮৫৯ খ্রি. নাটক। রামনারায়ণ তর্করতেœর ‘রতœা বলীর’ ১৮৫৪ খ্রি. ইংরেজি অনুবাদ করতে গিয়েই মাইকেল মধুসূদন দত্ত সর্বপ্রথম বাংলা নাটকের সঙ্গে সুপরিচিত হন। মাইকেল মধুসূদন দত্তের অন্য নাটকগুলো হলো- শর্মিষ্ঠা ১৮৫৯ খ্রি., একেই কি বলে সভ্যতা ১৮৬০ খ্রি., বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ ১৮৬০ খ্রি., পদ্মাবতী ১৮৬০ খ্রি., কৃষ্ণকুমারী ১৮৬১ খ্রি. ও সর্বশেষ নাটক মায়া কানন ১৮৭২ খ্রি.। এরপর তার রচিত হয় কাব্যÑ তিলোত্তমা সম্ভব কাব্য ১৮৬০ খ্রি., মেঘনাদ বধ প্রথম খণ্ড [মহাকাব্য] ১৮৬১ খ্রি., মেঘনাদ বধ দ্বিতীয় খণ্ড [মহাকাব্য] ১৮৬১ খ্রি., ব্রজাঙ্গনা কাব্য ১৮৬১ খ্রি., বীরাঙ্গনা কাব্য [পত্রকাব্য] ১৮৬২ খ্রি., চতুর্দশপদী কবিতাবলী ১৮৬৬ খ্রি., হেক্টর বধ [গদ্যকাব্য] ১৮৭১ খ্রি.। তিনিই বাংলায় প্রথম সনেট রচনা করেন এবং তার নাম দেন ‘চতুর্দশপদী’। ‘বিষ না ধর্নুগুণ’ সর্বশেষ নাটক রচনা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত এটি তিনি সমাপ্ত করে যেতে পারেননি। এ ছাড়াও তার একটি ইংরেজি নাটক RIZIA: EMPRESS OF INDIA ১৮৪৯-১৯৫০ খ্রি. ইউরেশিয়ান পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা কাব্যসাহিত্যে আধুনিক যুগের প্রবর্তক। এ দিক থেকে তাকে বিপ্লবী কবি হিসেবে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। মধ্যযুগের কাব্যে দেব-দেবীর মাহাত্মসূচক কাহিনীর বৈশিষ্ট্য অতিক্রম করে বাংলা কাব্য ধারায় মানবতাবোধ সৃষ্টিপূর্বক আধুনিকতার লণ ফুটানোতেই মাইকেল মধুসূদন দত্তের অতুলনীয় কীর্তি প্রকাশ হয়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর নব জাগরণের প্রথম প্রাণপুরুষ মাইকেল। মধ্যযুগের বৈষ্ণব কবিরা বাংলা কবিতার যে রূপমাধুর্য রেখে গিয়েছিলেন মাইকেল মধুসূদনের সযতœ প্রয়াসে তাতে যোগ হয়েছিল নতুন তেজস্বিতা, নতুন গতিবেগ। উনিশ শতকের বৈচিত্র্যহীন বাংলা কবিতার ছন্দ ও বিষয় মুক্তি ঘটে মাইকেল মধুসূদন দত্তের হাতে। অসাধারণ সেবা আর সহজাত শিল্পী প্রতিভার সমন্বয়ে তিনি বাংলা কবিতায় আনয়ন করেন অফুরন্ত সম্ভাবনা। সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা মধুসূদনের সেই অনন্য সাধারণ শিল্পী প্রতিভার উজ্জ্বল স্বার। সনেট রচনা করে বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন যুগের প্রবর্তনের মাধ্যমে মাইকেল মধুসূদন দত্ত আশ্চর্য প্রতিভার যে উজ্জ্বল স্বার রেখে গেছেন তা চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে। ১০০টি সনেট নিয়েই ১৮৬৬ সালে বেরিয়েছিল তার চতুর্দশপদী কবিতাবলী। তিনি সনেট রচনা করেছিলেন ইতালিয়ান কবি পেত্রাকের অনুকরণে। সাহিত্যেেত্র তিনি ছিলেন সব্যসাচী। একান্ত আকস্মিকতায় তার আবির্ভার স্বল্প সময়ে আশ্চর্য প্রতিভার বিকাশ এবং বাংলা নাটক ও কাব্যে যুগস্রষ্টা হিসেবে তার বৈশিষ্ট্য বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে পরম বিস্ময়।
মধুসূদনের শেষ জীবন চরম দুঃখ-দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়। ঋণের দায়, অর্থাভাব, অসুস্থতা, চিকিৎসাহীনতা ইত্যাদি কারণে তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আইন ব্যবসায় তিনি তেমন সাফল্য লাভ করতে পারেননি। শেষ জীবনে মধুসূদন উত্তর পাড়ার জমিদার জয়কৃষ্ণ মুখার্জির লাইব্রেরি ভবনের দ্বিতলে বসবাস করতেন। নাবালক ছেলেমেয়ের কথা ভেবে তার মন সর্বদাই কেঁপে উঠত। ছেলে মিল্টন ও আলবার্ট নেপোলিয়ন কি তাহলে অভুক্ত অবস্থায় মারা যাবে? আদরের দুলালী শর্মিষ্ঠার কী হবে?
মাত্র ৪৫ বছর বয়সে গলায় ঘা-সহ অনেক জটিল রোগ বাসা বাঁধে মধুসূদনের দেহে। আদরের মেয়ের কথা চিন্তা করে অবশেষে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা মধুসূদন তেরো বছর বয়সী কন্যাকে পাত্রস্থ করলেন দ্বিগুণ বয়সী বেকার যুবক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান উইলিয়াম ওয়াল্টার এভান্স ফয়েডের সঙ্গে।
১৮৭৩ সালের ২১ জুন মধুসূদন পরিবারসহ রোগজীর্ণ শরীর নিয়ে কলকাতায় চলে যান। আশ্রয় নিলেন আলীপুর জেনারেল হাসপাতালে। এই হাসপাতালে কবি মাত্র আট দিন জীবিত ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে অনিয়ম ও বিনা চিকিৎসায় তার শরীর ক্রমেই জীর্ণ ও রোগগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। হাসপাতালের চিকিৎসায় তার শরীর একটু উন্নতি হলেও ক্রমাগত গলার ব্যথা ও হৃদরোগসহ জটিল ব্যাধিতে তিনি আক্রান্ত ছিলেন। মধুসূদন নিশ্চিত মৃত্যুর প্রহর গুনছেন শুনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে লাগলো। তিনি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করলেও পাদরিরা তাকে খ্রিষ্টান বলে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। এরকম সময়ই এলো স্ত্রী হেনরিয়েটার মৃত্যুসংবাদ। মধুসূদনের শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত আরো খারাপ হতে লাগলো। একে একে তার বন্ধুরা রেভারেন্ট কৃষ্ণ মোহন ঘোষ, উমেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও মধুসূদনের ভ্রাতুষ্পুত্র ত্রৈলোক্যনাথ দত্ত এসে হাজির হলো হাসপাতালে তার অন্তিম মুহুর্তে।
১৮৭৩ সালের ২৯ জুন রোববার বেলা ২টার সময় মহাকবি মধুসূদন দত্ত বন্ধু, জামাতা, পুত্র-কন্যা পরিবেষ্টিত আলীপুর জেনারেল হাসপাতালে কপর্দকহীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর।
মহাকবির শবদেহ মৃতাগারে ফেলে রেখে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পাদরিরা তার শেষকৃত নিয়ে বাগযুদ্ধে লিপ্ত হলেন। মধুসূদনের বন্ধুরা তার শবদেহ শ্মশানে নেয়ার যাবতীয় আয়োজন করেছিলেন; কিন্তু মধুসূদন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করায় সে পথও তার চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যায়।
বন্ধু রেভারেন্ট কৃষ্ণ মোহন ঘোষ মধুসূদনকে খ্রিষ্টান কবরস্থানে সমাহিত করার অনুমতির জন্য লর্ড বিশপ রবার্ট মিলমানের কাছে ধরনা দিয়েও ব্যর্থ হলেন। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড ভ্যপসা গরমে কবির মরদেহ মর্গে পচতে আরম্ভ করল। তখন সংস্কারমুক্ত অমিতেজ পাদরি রেভারেন্ট ডক্টর পিটার জন জার্বো খ্রিষ্টান পাদরি বিশপের অনুমতি ছাড়াই শবদেহ সমাহিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলেন।
যেখানে চার দিন আগে তার প্রিয়তমা পত্মী হেনরিয়েটাকে সমাহিত করা হয়েছিল তার পাশে শোয়ানো হলো কবিকে। ১৮৭৩ সালের ৩০ জুন সেন্ট জেমস চার্চের ধর্মযাজকের উদ্যোগে খ্রিষ্টীয় রীতি অনুযায়ী কলকাতা লোয়ার সার্কুলার রোডের সমাধিেেত্র বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তার মরদেহ সমাহিত করা হয়।
অলে উচ্চারিত হলো যেন কবির শেষ সংলাপ ‘জীবনের কোন আশা পূর্ণ হয় নাই, অনেক আপে লইয়া মরিতেছি, অনেক কথা আমার বলিবার আছে’। ঘুমিয়ে গেলেন চিরতরে এক মহান কবি।


আরো সংবাদ



premium cement
থামছে না পুঁজিবাজারে পতন বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু: নাগাল্যান্ডে ভোটার উপস্থিতি প্রায় শূন্য কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ ২৩ জন আটক স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার বিজিপির আরো ১৩ সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ২ ভাইকে হত্যা ইরানে ইসরাইলি হামলার খবরে বাড়ল তেল সোনার দাম যতই বাধা আসুক ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো : ডা: শফিকুর রহমান

সকল