২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
তিন সিটিতে গ্রেফতার ও পুলিশ আতঙ্কে বিএনপি

প্রতিকারের কোনো পদক্ষেপ নেই ইসির

-

রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই আতঙ্কে ভুগছে বিএনপি প্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, তাদের দলের লোকদের পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে, হয়রানি করছে, নতুন নতুন মামলায় জড়িত করছে। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এই তিন সিটি নির্বাচনে সরকারবিরোধী প্রার্থীরা রীতিমতো শঙ্কিত। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের রাতে বাসায় না থেকে অন্য কোথাও রাত কাটাতে নির্দেশ দিয়েছে।
এ দিকে, হাইকোর্ট গত পরশু আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র প্রার্থীদের সমর্থক ও কর্মীদের বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হওয়ার আগ পর্যন্ত গ্রেফতার ও হয়রানি না করতে। আদালত এরও আগে একই ধরনের আদেশ দিয়েছিলেন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে। কিন্তু গত পরশুর নির্দেশে কোর্ট সরকারের কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়েছেনÑ কেন বিএনপির নেতাকর্মীদের বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় গণহারে গ্রেফতারকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।
আগে দেয়া উচ্চ আদালতের আদেশ তো বটেই গত পরশু দেয়া হাইকোর্টের আদেশ বিএনপি মেয়র প্রার্থীদের আশ্বস্তই করতে পারেনি। কারণ, এরা দেখেছেন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে কিভাবে তাদের নির্বাচনী কর্মী ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এবারো সেই নতুন নতুন মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার ও নানা ধরনের পুলিশি হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। বরং তা আরো জোরদার করা হয়েছে বলে বিএনপির অভিযোগ। তারা বলছেনÑ তফসিল ঘোষণার পর থেকে নতুন নতুন মামলা দিয়ে বিএনপির সক্রিয় কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারে থাকা দলের নেতাকর্মীদের দিনের বেলায় চিহ্নিত করে রাতে তাদের বাসাবাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে।
জাতীয় একটি দৈনিকের খবর মতে, সিলেটে গত পাঁচ দিনে দায়ের করা তিন মামলায় ২৪১ জন আসামি হওয়ার পর সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীদের অনেকেই এখন আত্মগোপনে চলে গেছেন। সর্বশেষ মামলা গত বুধবার রাতে দায়ের করা হয়। ওই থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তার ওপর ককটেল হামলার মামলার অভিযোগে ওই কর্মকর্তা বাদি হয়ে ৭৩ জনকে আসামি করেন। প্রধান আসামি করা হয় দক্ষিণ সুরমা থানার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেনকে। এজাহারে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়াও রয়েছে ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি। এর আগে কয়েকবার সিলেটে এ ধরনের গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট করে অনেককে মুক্ত করেন। অন্য একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছেÑ সিটি নির্বাচনে এমন অনেক কিছুই ঘটছে যা সিলেটের মানুষ এর আগে কখনোই দেখেনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধরপাকড়, তল্লাশি, হুমকি-ধমকি, হামলা-মামলা এ শহরে এই প্রথম। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের ধরনেও রয়েছে নতুনত্ব। বরিশালেও চলছে বিএনপি নেতাদের একই ধরনের গ্রেফতার ও হয়রানি। রাজশাহীর চিত্রও ভিন্ন কিছু নয়।
সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাজীপুর ও খুলনা নির্বাচনের যাবতীয় বদনাম থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। বরং এ তিন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে নতুন করে আরো কিছু নির্বাচনী অনিয়মের কলঙ্ক কপালে মাখতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল নির্বাচন কমিশন এবার অন্তত জাতিকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে। জানি না নির্বাচন কমিশনের মনে কী আছে। তবে তাদের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। আর কত বদনাম মাথায় নেবে এই নির্বাচন কমিশন?

 


আরো সংবাদ



premium cement
পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় নদীতে ৪ মোটরসাইকেল ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল