২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৯ বছর পর এসআই হত্যার আসামি গ্রেফতার

গ্রেফতারকৃত আসামি আলাল (৪৫) - ছবি: নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশের এসআই হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে কালাপাহাড়িয়া পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ওই আসামির নাম আলাল (৪৫)। তিনি বদরপুর গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে।
কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি উপ পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হামলায় মেঘনায় ডুবে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির সিরাজী নিহত হন। এর প্রায় দেড় বছর পর ২০১৩ সালে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় প্রথম এজাহারে থাকা ৩৩ জনকে। সাক্ষীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টির প্রতি একমত হওয়ায় অব্যাহতি পান ওই আসামিরা।

২০১১ সালের ১৭ জুন সিরাজীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলায় মোট ৪ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর পঞ্চম কর্মকর্তা আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো: নাসির উদ্দিন শেখ ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করেন।
চার্জশিটে মামলাটির সাক্ষী করা হয় ৪৫ জনকে। চার্জশিটভুক্ত ১৩ আসামি হলেন, সিদ্দিক, আলেক, লিয়াকত, জসিমউদ্দিন জসু, কালাম, মোবারক, জুয়েল, জলিল, মোয়াজ্জেম, সুহেল, মোস্তফা, আলম ও রমজান। চার্জশিট থেকে বাদ পড়া আসামিরা হলেন- আলম, আহসানউল্লাহ, শফিকুল, ফিরোজ মিয়া, ফাইজুল হক ডালিম, মো: জালাল, আবুল বাশার, কবির, রশিদ, রুকু মিয়া, রব মিয়া, রুবেল, রমজান, সামছুল হক, সবুজ, ফারুক, খলিল, ইসলাম, আলম, মিজান, রতনসহ ৩৩ জন। আসামি ও অব্যাহতি পাওয়া সবাই কালাপাহাডিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন।

জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৭ জুন দিবাগত রাত ২টায় আড়াইহাজার উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া কদমীর চর এলাকায় আসামি ধরতে বিশেষ অভিযানে যান এসআই আহসানউল্লাহর নেতৃত্বে এসআই নাসির সিরাজী, রফিকুল ইসলামসহ কনস্টেবলরা। অভিযানে পুলিশ কালাপাহাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম ফাইজুল ইসলাম ডালিমের সমর্থক চারজনকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে ট্রলারযোগে ফেরার পথে মেঘনা নদীর কালাপাহাড়িয়া এলাকায় আসমিপক্ষের ৪০-৫০ জন লোক ইটপাটকেল, বলম, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে বালুবাহী (বাল্কহেড) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। হামলায় এসআই রফিকুল ইসলাম ও আহসানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

এ ঘটনায় নিখোঁজ থাকার ৩৪ ঘণ্টা পর খাগকান্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়া মেঘনা নদীর তীর থেকে এসআই নাসির সিরাজীর লাশ উদ্ধার করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement