২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ড. মো. আব্দুল ওহাব বারি’র নতুন মহাপরিচালক

-

ড. মো. আব্দুল ওহাবকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)-এর নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয় জারিকৃত আদেশে তিনি বারি’র মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তিনি বর্তমান মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

এর আগে ড. মো. আব্দুল ওহাব বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ও পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইতোপূর্বে তিনি মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রহমতপুর, বরিশাল এ কর্মরত ছিলেন। মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি প্রেষণে ভাসমান বেডে সবজি চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

ড. মো. আব্দুল ওহাব ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন। বিএআরআই এর প্রধান কার্যালয় ছাড়াও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, জামালপুর ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রহমতপুর এ প্রায় ১০ বছর সফলভাবে কৃষকের উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও মাঠ পর্যায়ে মূল্যায়ন ও সম্প্রসারণের কাজ করেন।

সফল বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন বিশেষজ্ঞ হিসাবে সিমিট, প্র্যাকটিকেল একশন এ কাজ করেন। দেশি বিদেশি বিভিন্ন সায়েন্টিফিক জার্নালে তাঁর ২৬টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি দৈনিক ও মাসিক পত্রিকায় নিয়মিত বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ক বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং সিম্পোজিয়ামে যোগদানের উদ্দেশ্যে জাপান, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, আমেরিকা ভ্রমণ করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে ২ সন্তানের জনক এই বিজ্ঞানী রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনস বাংলাদেশ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সদস্য। তিনি সফল বিজ্ঞানী হিসাবে বিএআরআই ও ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

তিনি দেশের কৃষকের উপযোগী খামার যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি ১০টি কৃষি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন যার অধিকাংশই এখন পর্যন্ত কৃষক ব্যবহার করছেন। তার গবেষণালব্ধ জ্ঞান/অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্র (IFDC) ২০১১ ইং সাল থেকে ২০১৫ ইং সাল পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী (কৃষি প্রকৌশল) হিসাবে নিয়োগ দেন। তিনি IFDC তে গবেষণা কাজ করার সময় ২ ধরনের মাটির নিচে গুটি সার প্রয়োগ যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। তার উদ্ভাবিত সার প্রয়োগ যন্ত্র IFDC এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রসারিত হয়। সেনেগালের একটি কৃষি মেলায় IFDC এর স্টলে ২০১৩ সালে গুটি সার প্রয়োগ যন্ত্র প্রদর্শিত হয় যা আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নজরে আসে। বাংলাদেশী এ বিজ্ঞানীর উদ্ভাবনকে তিনি ভূয়সী প্রসংশা করেন যা দেশী বিদেশি অনেক পত্রিকায় প্রকশিত হয়।

ফসল উৎপাদনে সার সাশ্রয় ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে মাটির নিচে গুটি সার প্রয়োগ যন্ত্র উদ্ভাবনে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ২০১৩ সালে IFDC-এর প্রেসিডেন্ট ড. মো. আব্দুল ওহাবকে অধিৎফ প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করেন যা তিনি IFDC-এর প্রধান কার্যালয়, আলাবামা, আমেরিকা থেকে প্রেসিডেন্টের হাত থেকে গ্রহণ করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ আহত ৪ গফরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে সরকার : মির্জা ফখরুল মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ

সকল