২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

৫৪ মণের সেই ‘সিনবাদ’ অবশেষে কেজি দরে বিক্রি

- ফাইল ছবি

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি গ্রামের বিল্লাল মিয়ার সেই ৫৪ মণ ওজনের ষাঁড় ‘সিনবাদ’কে জবাই করা হবে। আগামী (৩১ জানুয়ারী) শুক্রবার জবাই করে বিক্রির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সিনবাদ নামের ষাঁড়টি। গেল দুই বছর ধরে ঈদুল আযহার কোরবানীর হাটে বিক্রির উপযোগী করলেও উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অবিক্রিত ছিল আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘সিনবাদ’ নামের ষাঁড়টি।

সিনবাদের মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে পরম যত্নে লালন পালন করেছিলাম এ ষাঁড়টিকে। কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি, শুকনো খড়, ভুট্টা, ধান ও গম ভাঙা, ছোলা, চিড়া, আখের গুড়, মালটা, কলা, পেয়ারা, মিষ্টি লাউ, নালী খাওয়ানো হত। কিন্তু গেল বছর ঈদে বিক্রি না করতে পেরে লোকসানে পড়ে খাবার কমিয়ে দেওয়া হয়।

গত দুই বছরের ঈদুল আযহায় কোরবানির হাটে বিক্রির উপযোগী করলেও উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অবিক্রিত রয়ে যায় সিনবাদ নামের ষাঁড়টি। ২০১৯ সালের কোরবানি হাটের সময় ষাঁড়টির ওজন ছিল ৫৪ মণ। এই সিনবাদই দেশের সবচেয়ে বেশি ওজনের ষাঁড় ছিল বলে জানিয়েছিল সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ঈদুল আযহার আগে সিনবাদের ওজন ছিল ৪০ মণ। বাড়ি থেকে প্রচুর ক্রেতা আসলেও উপযুক্ত দাম না পাওয়াতে বিক্রি করিনি। গেল ২০১৯ সালের ঈদের হাটে ওজন ছিল ৫৪ মণ। কিন্তু হাজার হাজার ক্রেতাদের ফোন পেলেও বিক্রি করতে পারিনি সিনবাদকে।

দড়গ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সকাল ৭টার দিকে সিনবাদকে জবাই করা হবে। পুরো গোস্ত ১০৫টি ভাগে ভাগ করে বিক্রয় করা হবে। যারা গোস্ত কিনবেন তাদের জন্য সকালে খাসির কাচ্চি দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে বলেও জানা গেছে।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন ডা. মো. সেলিম জাহান জানান, সিনবাদ ষাঁড়টি হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের। ঈদুল আযহার সময় উচ্চতা ছিল ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি, দাঁত রয়েছে ৪টি, বয়স ৪ বছর ৭ মাস। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়েছে ষাঁড়টি। আমরা ধারণা করছি ৫৪ মন ওজনের ষাঁড়টি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ওজনের ষাঁড়।


আরো সংবাদ



premium cement