১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘বিপুল প্লাস’ জাতের টমেটো চাষে কৃষকের মুখে হাসি

‘বিপুল প্লাস’ জাতের টমেটো চাষে কৃষকের হাসি - ছবি: নয়া দিগন্ত

রাজবাড়ীতে ‘বিপুল প্লাস’ জাতের টমেটো চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে এই জাতের টমেটোর চাষ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছর রাজবাড়ীর সদর উপজেলায় ৩১৫ হেক্টর, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর, পাংশা উপজেলায় ৮৫ হেক্টর, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১০ হেক্টর ও কালুখালী উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে মোট ৭৭৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছিলো।

এ বছর রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৩২০ হেক্টর, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৩৪৫ হেক্টর, পাংশা উপজেলায় ৮৫ হেক্টর, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১০ হেক্টর ও কালুখালী উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে মোট ৮০০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ২০ হাজার মেট্টিক টন টমেটো উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়াজানি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাঠের পর মাঠ টমেটোর আবাদ হয়েছে। বাজারে দাম বেশি তাই পাকা টমেটো তুলতে ব্যস্ত কৃষক।

সেখানকার কৃষক নিজাম শেখ বলেন, আমি এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে ‘বিপুল প্লাস’ জাতের টমেটা রোপন করেছি। ৬০ শতাংশ জমিতে টমেটো রোপন সার ও কীট নাশকসহ মোট খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। এ থেকে সব মিলিয়ে কমপক্ষে আড়াই লক্ষ টাকা বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।

সুলাইল সরদার নামে আরেক কৃষক বলেন, এই কাওয়াজানি গ্রামটি চরাঞ্চলের হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পলি মাটি পরে জমির উর্বরতা বাড়ে। তাই এই অঞ্চলে সব ধরনের সবজিরই ভালো ফলন হয়। এ বছর সবচেয়ে বেশি হয়েছে টমেটোর চাষ। এখন বাজারে টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছারা এই এলাকার টমেটো বিষমুক্ত যে কারণে অনেক সময় ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকেই টমেটো কিনে নিয়ে যায়।

সুফিয়া নামে অন্য এক কৃষানী বলেন, আমি এ বছর এক বিঘা জমিতে টমোটোর চাষ করেছি। ‘বিপুল প্লাস’ জাতের এই টমোটো ৭ থেকে ৮ টিতেই এক কেজি ওজন হয়। এই জাতের টমেটো ফলনও বেশি। তিনি আরো বলেন, আমরা টমেটো ক্ষেত থেকে তোলার পর ট্রাকে করে ঢাকার মিরপুর বাজারে নিয়ে যাই। এবং সেখানে পাইকারি বিক্রি করি। এ বছর টমেটো চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে বলেও জানান তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজবাড়ীর উপ-পরিচালক গোপাল কৃঞ্চ দাস বলেন, টমেটা চাষে কৃষকদের বিভিন্ন ধরণের পরামর্র্শ প্রদান করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে প্রনোদনা। তাছাড়াও টমেটোর রোগ বালাই থেকে মুক্তির জন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা খোঁজ-খবর রাখছেন। টমোটো ভালো ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় আগামীতে টমেটো আবাদ আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement