২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাস-ট্রাকের সাথে নৌবন্দরেও অচলাবস্থা ফরিদপুরে

বাস-ট্রাকের সাথে নৌবন্দরেও অচলাবস্থা ফরিদপুরে - ছবি : নয়া দিগন্ত

সড়ক পরিবহন আইনের সংস্কারের দাবীতে ফরিদপুরে বাস ও ট্রাক শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার লোকাল ও দুরপাল্লার বাস চলাচল করছে না। এতে যাত্রীরা চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে ট্রাক চলাচল।

ফরিদপুর জেলা মোটর ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সভাপতি জোবায়ের জাকির বলেন, ধর্মঘটের ব্যাপারে তাদের কোন নির্দেশণা নেই। শ্রমিকেরা স্বপ্রনোদিত হয়েই বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। সরেজমিনে বৃহস্পতিবারও ফরিদপুরে সকল বাস চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে নৌপথেও। শহর সংলগ্ন সিএন্ডবি ঘাটে পণ্যবাহী জাহাজ, ট্রলার ও কার্গো থেকে গত তিনদিনযাবত কোন মালামাল খালাস হতে পারেনি। অঅটকা পড়ে আছে সারবাগী নৌযানও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রাক চলাচল না করায় তারা পণ্য খালাস করতে পারছেন না।

হঠাৎ করে ট্রাক শ্রমিকদের এই ধর্মঘটের কারনে ফরিদপুরের এই নৌবন্দরটি স্থবির হয়ে পড়েছে। বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরের কয়েক হাজার কুলি শ্রমিক।

বৃহস্পতিবার ফরিদপুর সিএন্ডবি ঘাটের এই নৌ বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, গত তিনদিন ট্রাক ধর্মঘটের কারণে বন্দরে আসা পণ্যবাহী নৌযানগুলো মালামাল নিয়ে খালাশের অপেক্ষায় রয়েছে। সময় মতো পণ্য খালাশ করতে না পেরে তাদের নানা খাতে অতিরিক্ত অর্থ মাশুল দিতে হচ্ছে।

এমভি ওয়াটার হেন নামে একটি কার্গো জাহাজের চালক আতিয়ার হোসেন জানান, তিনদিন হলো এ বন্দরে নারায়নগঞ্জ থেকে সিমেন্ট নিয়ে এসেছি। কিন্তু ট্রাক শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে সিমেন্ট খারাস করতে পারিনি। এই বিলম্বের কারণে আমাদের থাকা খাওয়াসহ নানা খাতে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।

চলতি মৌসুমের কৃষি কাজে ব্যবহৃত ইউরিয়া সার বোঝাই কার্গো জাহাজও আটকা পড়েছে। চট্রগ্রাম থেকে জাহাজ বোঝাই আমদানিকৃত ইউরিয়া সার নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ হাকিম। তিনি জানালেন, ফরিদপুর বন্দর থেকে ইউরিয়া সার ট্রাকে করে সরকারের গোডাউনে নেওয়া হবে। সেখান থেকে ডিলাররা বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাবেন। কিন্তু এই ধর্মঘটের কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।

হাজী শিপিং লাইন্সের মালিক রেজাউল করিম জানান, ট্রাক চলাচল না করায় পণ্য ট্রান্সপোর্ট করতে পারছিনা। অথচ প্রতিদিন শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে। আমার মতো অনেক ব্যবসায়ী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বন্দরের শ্রমিকরা জানান, ধর্মঘটের কারণে আমাদের কাজ বন্ধ রয়েছে। তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান দাবি করেন ।


আরো সংবাদ



premium cement