২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাড়িহীন রাস্তায় ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটে ফাঁকা ঢাকার রাজপথ - নয়া দিগন্ত

নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘট চলছে। বুধবার সকাল সোয়া ছয়টা থেকে পরিবহন শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এসময় তারা মহাসড়কে চলাচলরত গাড়ি আটকে দেয় এবং গাড়িগুলো থেকে চালকদের নামিয়ে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয়। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া শ্রমিকদের এই ধর্মঘট চলছে।

এদিকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শ্রমিকদের ধর্মঘট ও সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীসহ বিভিন্ন কর্মস্থানে যাতায়াতরত সাধারণ মানুষ। ধর্মঘটের কারণে ঢাকাগামী এবং বিভিন্নরুটে যাতায়াতকারী শত শত মানুষ রাস্তায় আটকা পড়েছেন। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ ও পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।

বুধবার দুপুর ১২টায় সরজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগড়াপারা এলাকায় দেখা যায় বিভিন্ন স্থানে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য শত শত যাত্রী গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। আবার আশেপাশের এলাকায় যারা যাবেন তারা গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন।

সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া এলাকার হাবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা সোনিয়া সুলতানা নয়া দিগন্ত অনলাইনকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছি। আজ বুধবার কয়েকটি জরুরী মেডিকেল রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখাতে হবে। সে জন্য যেকোনো মূল্যে ঢাকায় যেতে হবে। বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে দেখি কোনো গাড়ি চলছে না। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। এখন কিভাবে হাসপাতালে পৌঁছাবো সেটা বুঝতে পারছি না।

স্থানীয় হাবিবপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা ও হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম হোসেন নয়া দিগন্ত অনলাইনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে দেখি কোনো গাড়ি নেই। আজ বুধবার গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্লাস টেস্ট ছিল। কিন্তু গাড়ি বন্ধ থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে পারবো কিনা সে নিয়ে চিন্তায় আছি।

ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তাজনিন আক্তার নয়া দিগন্ত অনলাইনকে বলেন, কলেজে বুধবার জরুরী একটি ক্লাস ছিল। কিন্তু গাড়ি না থাকার কারণে যেতে পারছি না।

দড়িকান্দি এলাকার বাসিন্দা ফরাজী মো: রবিন নয়া দিগন্ত অনলাইনকে বলেন, জরুরী কাজে ঢাকা যেতে হবে। কিন্তু বাসা থেকে বের হয়ে দেখি রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই। নিরুপায় হয়ে আবারো বাসায় ফেরত যেতে হচ্ছে।

গ্রামীণফোনের কর্পোরেট বিভাগে কর্মরত নাবিউল ইসলাম নয়া দিগন্ত অনলাইনকে বলেন, বুধবার সকাল দশটায় অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছি। কিন্তু গাড়ি না থাকার কারণে যেতে পারছি না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ আর অফিস করবো না।

ডাক্তারের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়া লুনা আক্তার নামে এক যাত্রী নয়া দিগন্ত অনলাইনকে বলেন, আমার ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। কিন্তু রাস্তায় গাড়ি না থাকায় বাসায় ফেরত যাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement