২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গুজবে কোটালীপাড়ায় লবণ ক্রয়ের হিড়িক

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন দোকানে লাইন ধরে ক্রেতাদের লবণ কিনতে দেখা যায় - নয়া দিগন্ত

‘২০০ টাকা হবে লবণের কেজি’ এমন গুজবে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় লবণ ক্রয়ের হিড়িক পড়েছে। উপজেলার ঘাঘর বাজারের প্রায় অর্ধশতাধিক পাইকারি ও খুচরা দোকানে লাইন দিয়ে খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের লবণ ক্রয় করতে দেখা গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিংয়ে নামতে হয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, সোমবার রাত থেকে জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় লবণের কেজি ২০০ টাকা হবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ গুজবের কারণে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ঘাঘর বাজারে লবণের ডিলার, পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে লবণ ক্রয়ের জন্য ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। দুপুর ১২টার মধ্যে ডিলার ও অনেক পাইকারি ব্যবসায়ীর গোডাউন লবণ শূণ্য হয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন লবণের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মাঠে নামে।

এদিকে হঠাৎ করে এভাবে লবণ ক্রয়ের কারণে অনেক ডিলার বা পাইকারি ব্যবসায়ীরাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। মধুমতি সল্টের কোটালীপাড়ার ডিলার জালাল শেখ বলেন, একটি গুজবের উপরে ভর করে জনগণ হঠাৎ করে এভাবে লবণ ক্রয় শুরু করেছে। আমরা পূর্বের দামেই লবণ বিক্রি করছি। এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই।

পাইকারী ব্যবসায়ী গনেশ সাহা বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই আমাদের দোকানে লবণ ক্রয়ের জন্য সাধারণ মানুষ ও খুচরা বিক্রেতারা ভীড় করে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে আমাদের দোকানের সমস্ত লবণ বিক্রি হয়ে যায়।

ভ্যানে করে বস্তাভর্তি লবণ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এক ক্রেতা - ছবি : নয়া দিগন্ত

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার নাগরা গ্রামের এক ভ্যান চালক বলেন, সোমবার রাতে ঢাকা থেকে আমার এক আত্মীয় ফোন করে আমাকে জানিয়েছেন- লবণের কেজি ২০০ টাকা হবে। তাই মঙ্গলবার সকালে এসেই ঘাঘর বাজার থেকে ১০ কেজি লবণ ক্রয় করেছি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহসিন উদ্দিন বলেন, লবণের মূল্য বৃদ্ধির গুজবের কারণে ঘাঘর বাজারে মঙ্গলবার সকাল থেকেই লবণ ক্রয়ের হিড়িক পড়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাজারে ছুটে আসি। প্রত্যেক ডিলারকে বলে দিয়েছি পূর্বে তারা ব্যবসায়ীদের কাছে যে পরিমান লবণ বিক্রি করতো এখন সেই পরিমাণ বিক্রি করতে হবে। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদেরকে ১ কেজি থেকে ২ কেজির উপরে লবণ বিক্রি করতে নিষেধ করেছি।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে লবণের কোন সংকট নেই। তাই দাম বৃদ্ধির কোন সম্ভবনাও নেই। যদি কোন ডিলার বা ব্যবসায়ী বাজার মূল্যোর চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করে তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement