এমপির কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খানকে জড়িয়ে ‘মিথ্যা অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হারুনুর রশীদ খান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৮ অক্টোবর পুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আমার দেয়া বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করে একটি কুচক্রী মহল। যার প্রেক্ষিতে শিবপুরের এমপি জহিরুল হক ভূঞা মোহন-এর কতিপয় অনুসারীরা ১১ নভেম্বর মানবন্ধনের নামে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। প্রকৃতপক্ষে ওই সম্মেলনে এমপি মোহনকে প্রধান অতিথি না করায় তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে বিশেষ অতিথি করায় আপত্তিকর বক্তব্য রাখেন এবং আমি কেন তাকে অতিথি করলাম সেজন্য আমাকে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূইয়া রাখিলকে হুমকি ধমকি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে সম্মেলনকে পণ্ড করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি তার অনুসারীদের নিয় সভাস্থল ত্যাগ করেন। ফলে এমপি মোহনের বক্তব্যের প্রতিবাদে আমি বলেছি, সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে বহিষ্কারের ক্ষমতা একমাত্র শেখ হাসিনার, আমার নয়। আপনার (এমপি মোহন) যদি কিছু বলার থাকে শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে বলুন। যেখানে শেখ হাসিনা গণভবনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলামকে দাওয়াত করে, সেখানে আমি করলে দোষ কোথায়। আমি এমপি মোহনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাগান্বিত হয়ে তাকে একটি অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করে দোষারোপ করেছি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোনো ধরনের কুরুচিপূর্ণ কথা বলিনি এবং বলার প্রশ্নই আসে না। ফলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার এবং আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে হেয় করতে অপপ্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি জনসম্মুখে উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার কারণে অনাকাঙ্খিত ভাবে শব্দটি ব্যবহার করে ফেলায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূঞা রাখিল, সহ সভাপতি মোহসীন নাজিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাপসী রাবেয়া, পুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার হাসানউল সানি এলিছ, আইয়ুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান প্রমুখ।