১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গোপালগঞ্জে বুলবুলের আঘাতে প্রাণ গেল ৩ জনের

- ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে পৃথক স্থানে শিশুসহ ৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জেলার পাঁচটি উপজেলাতেই বোরোধানসহ রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ভেঙেছে অসংখ্য গাছপালা, কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি, উপড়ে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ জেলার অভ্যন্তরীণ প্রায় সকল রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।

রোববার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাটিয়াগড় গ্রামের মৃত বাবন কাজীর বাড়িতে তার স্ত্রী মাজু বেগম (৮৫) রান্না ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে। গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা যান তিনি।
কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি গ্রামে রাস্তার গাছ পড়ে সেকেল হাওলাদার (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হন। এছাড়াও সোমবার সকালে ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া গাছের ডাল পড়ে একই উপজেলার কান্দি গ্রামের সুখরঞ্জন বৈদ্যর মেয়ে সাথী বৈদ্যের (৬) মৃত্যু হয়।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে গোপালগঞ্জে শুক্রবার থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। শনিবার রাতভরও হয় বৃষ্টি।

রোববার সকাল থেকে বৃষ্টির সাথে সাথে শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া। ভেঙে যায় অসংখ্য গাছপালা। তলিয়ে গেছে পাকা আমন ধান, নষ্ট হয়েছে কয়েক লক্ষ হেক্টর জমিতে সদ্য বপন করা রবি শস্য।
এদিকে ঝড়ের প্রভাবে ভেঙে গেছে অসংখ্য টিনের ঘর। উপড়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি, ছিঁড়েছে তার। ফলে বন্ধ জেলার অধিকাংশ এলাকাতেই এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে মোবাইল ফোন যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেলেও সোমবার অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।

কৃষকরা জানিয়েছে, সবেমাত্র আমন ধান কাটতে শুরু করেছিলাম। এরই মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ ধানই পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এছাড়াও সদ্য বপন করা হয়েছিল রবিশস্য। অতিবৃষ্টির ফলে তাও সব নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে ফলবাগন ও টমেটোসহ শীতকালীন সবজিও। ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষক।


আরো সংবাদ



premium cement