২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সোনারগাঁওয়ে গার্মেন্টকর্মীকে রাতভর গণধর্ষণ

৫ ধর্ষক গ্রেফতার, ২ জন পলাতক
-

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এক গার্মেন্টকর্মীকে রাতভর গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ব্রাম্মণবাওগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।

ঘটনার পর ওই গার্মেন্টকর্মীকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: আহসানউল্লা।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতজনকে আসামি করে ওই গার্মেন্টকর্মী বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, তিনি রূপগঞ্জের রবিন গার্মেন্টে কর্মরত। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গার্মেন্ট ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার জন্য গার্মেন্টের সামনে থেকে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন। ওই সময়ে জাহাঙ্গীর নামের এক অভিযুক্ত ধর্ষক পেছনের সিটে বসা ছিল। গাউছিয়া যাওয়ার পর ওই গার্মেন্ট কর্মী সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামতে চাইলে পেছনের সিটে বসা জাহাঙ্গীর তাকে বাধা দেয়। পরে সিএনজি চালককে সিএনজিটি দ্রুতগতিতে সোনারগাঁওয়ের তালতলার দিকে চালিয়ে যেতে বলে। চালক ধর্ষক জাহাঙ্গীরের কথা মতো গাড়িটি চালিয়ে যায়। এসময় ওই গার্মেন্টকর্মীর মুখে সাদা রঙের স্কচটেপ লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরায়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তালতলা এলাকায় হালিম মিয়ার ঘরে নিয়ে আটকে রাখে তাকে। ওই সময় হালিম মিয়া বাড়িতে ছিলেন না। পরে গভীর রাতে ব্রাম্মণবাওগা গ্রামের মুজিবুর রহমানের বখাটে ছেলে আবু সাইদ, রেহাজউদ্দিনের ছেলে ইমরান, নবি হোসেনের ছেলে রনি, আবু সিদ্দিকের ছেলে আবুল হোসেন, ভট্টু মিয়ার ছেলে মাসুদ, আমির হোসেনের ছেলে আরিফ ও সামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর ওই গার্মেন্টকর্মীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

রাত সাড়ে তিনটার দিকে হালিম মিয়া বাড়িতে এসে এ ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষক আরিফ ও জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়। পুলিশ অসুস্থ ওই গার্মেন্টকর্মীকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় ওই গার্মেন্টকর্মী বাদি হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: আহসানউল্লাহ জানান, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জন পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিম উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির জানান, গণধর্ষণের ঘটনার মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালেেত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement